স্থানীয়দের আল্টিমেটামে হল ছাড়ল শিক্ষার্থীরা

প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৪, ৪:৪৩ এএম (ভিজিট : ২১০)

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আবাসিক হলগুলোতে ছাত্রলীগের দোসর রয়েছে এমন অভিযোগ এনে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে আবাসিক হল ছাড়ার আল্টিমেটাম দিয়েছিল স্থানীয় জনগণ। আল্টিমেটামের মধ্যেই আবাসিক হলগুলো ছেড়ে চলে গেছেন শিক্ষার্থীরা।

সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে স্থানীয় লোকজন মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরান হলের সামনে অবস্থান করে ছাত্রলীগ বিরোধী মিছিল করতে থাকে এবং সবাইকে হল ছাড়তে বলেন। স্থানীয় লোকজনের দাবি, দীর্ঘ ১৫ বছর শেখ হাসিনার আমলে ছাত্রলীগের দোসররা ক্যাম্পাসে বিভিন্ন অপরাজনীতির চেষ্টা চালিয়ে মানুষকে খুন, গুম হত্যার সঙ্গে লিপ্ত ছিল।

স্থানীয় লোকজন আরও দাবি করে, ছাত্রলীগের একটা চক্র বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। হল খালি হওয়ার পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিয়ম অনুযায়ী প্রশাসন যাদের হলে রাখবে তারাই শুধু হলে অবস্থান করবে। কিন্তু এখন আমরা ছাত্রলীগের কোনো এজেন্টকে হলে দেখতে চাই না।

এদিকে গত কয়েক দিন ধরে শাবিপ্রবির ছাত্রছাত্রীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বিবৃতি দিতে দেখা যায়। এ সংবাদ পেয়ে এলাকাবাসী মনে করে যারা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছেন আজ তাদের ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছে কিছু দুষ্কৃতকারী। এসব কাজ হলের ছাত্রলীগের মাধ্যমে হচ্ছে বলেও তারা দাবি করে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সমন্বয়করা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ক্যাম্পাসে এসে ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান জানালে নিপীড়নবিরোধী শিক্ষক সমাজ ক্যাম্পাসে জনতার সঙ্গে কথা বলে ছাত্রদের নিরাপত্তার বিষয়টি সামনে রেখে ছাত্রদের হল ছেড়ে যাওয়ার অনুরোধ করলে ছাত্ররা হল ছেড়ে যায়।

তবে ছাত্ররা দাবি করেন, তারা সাধারণ শিক্ষার্থী এবং আন্দোলনেও জড়িত ছিলেন। তারা তাদের রুমে রক্ষিত মালামাল যেন অক্ষত থাকে সেই দাবিও জানান। শিক্ষক এবং এলাকাবাসী জানান, হল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে। পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসন দায়িত্বে এলে মেধা ও দরিদ্রতা বিবেচনা করে যে সিদ্ধান্ত নেবে সেই আলোকে হলে ছাত্র উঠবে। যদি এর ব্যত্যয় ঘটে তা হলে জনতা আবার মাঠে নামবে। সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত মেনে চলে ক্যাম্পাসের শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য শিক্ষকদের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. সাজেদুল করিম বলেন, আমরা হলে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির কথা জানতে পেরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলি। শিক্ষার্থীরা আমাকে জানান যেহেতু পরিস্থিতি এখন ভালো না তাই আমরা পিসফুলি এক্সিট করতে চাই। আমি সমন্বয়কদের সঙ্গেও কথা বলেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসন এলে যেভাবে ভালো হয় সেভাবেই শিক্ষার্থীদের হলে সিট দেওয়া হবে।

সময়ের আলো/জিকে