ই-পেপার রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪
রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪

‘চোখ হারিয়েও দুঃখ নেই, দেশের জন্য অবদান রাখতে পারায় গর্বিত’
প্রকাশ: সোমবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৪, ৯:১১ এএম আপডেট: ২৬.০৮.২০২৪ ১১:৩৯ এএম  (ভিজিট : ২০৫)
কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নিয়ে গুলিবিদ্ধ হয় কলেজ ছাত্র মোস্তাহিদ হোসেন সামী। তার চোখ, মুখসহ সারা শরীরে অন্তত ১৭টি ছররা গুলি (স্প্রিন্টার) লাগে। দুটি স্প্রিন্টার বাম চোখে ঢুকে যায়। কয়েক দফা অপারেশনের পরও ১টি ছররা গুলি (স্প্রিন্টার) চোখ থেকে বের করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে বাম চোখ দিয়ে কিছুই দেখতে পায় না সে। মোস্তাহিদ হোসেন সামী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌরশহরের খড়মপুর এলাকার আক্তার হোসেন ভূইয়ার ছেলে। সে উত্তরা হাই স্কুল এন্ড কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এবছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৭টি পরীক্ষা দিয়েছে। এক মাস যাবত চোখের যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে সামী। সারা জীবনের জন্য একটি চোখ হারানোর দুশ্চিন্তায় ভুগছে সামীসহ তার পরিবার। তার ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত স্বজনরা।

সামীর সাথে কথা বলে জানা যায়, টঙ্গীর পূর্ব আরিচপুরে মা-বাবার সাথে বসবাস করে সামী। কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হলে বন্ধুদের সাথে সেও যোগ দেয়। ১৮ জুলাই রাজউক স্কুলের সামনে আন্দোলন করার সময় পুলিশ এলোপাথারি গুলি শুরু করে। এসময় তার বাম চোখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলির স্প্রিন্টার বিঁধে যায়। পরিচিতরা তাকে উদ্ধার করে আগারগাও জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে কারফিউ শিথিল হলে হাসপাতালে গিয়ে শরীরের স্প্রিন্টার বের করা হয়। কিন্তু গুলির কিছু অংশ চোখে রয়ে যায়। এটি বের করতে না পারলে আজীবন এক চোখ অন্ধত্ব নিয়ে চলতে হবে। চিকিৎসকরা তাকে দেশের বাইরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে এজন্য প্রয়োজন বিপুল পরিমাণ অর্থ। ইতিমধ্যে তার চিকিৎসায় বহু টাকা খরচ হয়েছে। তার চিকিৎসা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত স্বজনরা।

সামী বলেন, আমি একটি চোখে এখন পুরোপুরি দেখতে পাচ্ছি না কিন্তু তাতে আমার কোন আক্ষেপ নেই, আমি  দেশের জন্য কিছুটা হলেও অবদান রাখতে পেরেছি সেটাই আমার জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি, এজন্য গর্ববোধ করছি। এক চোখে দেখতে কষ্ট হয় জানিয়ে সে আরও বলেন, আমার একটি চোখ গেলেও আরেকটি চোখ তো ভালো আছে। অনেকের তো দুটি চোখ হারিয়েছে।

সামীর বাবা আক্তার হোসেন ভূইয়া বলেন, সামীর চোখে দুই বার অপারেশন করা হয়েছে। প্রথমে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট এবং পরে ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালে। গুলির একটি অংশ এখনও চোখে রয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছে এটি বের করা সম্ভব না। দেশের বাইরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এজন্য ২০-২৫ লক্ষ টাকার প্রয়োজন। নতুবা এই চোখে আর কোন দিন দেখতে পারবে না।


সময়ের আলো/এএ/




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close