ই-পেপার রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪
রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪

পররাষ্ট্রে বৈষম্যের আগুন
প্রকাশ: রবিবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৪, ৭:২০ এএম আপডেট: ২৫.০৮.২০২৪ ৫:৫৫ পিএম  (ভিজিট : ৭৬৭১)
শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সারা দেশে যখন তোলপাড় চলছে তখন থেমে নেই ঢাকার কূটনীতিকরাও। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মাঝেও বৈষম্যবিরোধী আগুন দানা বাঁধছে। যেকোনো সময় বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএসএ) চ্যাটবক্সে কর্মকর্তারা তাদের বৈষম্য সম্পর্কে মুখ খুলেছেন এবং একত্রিত হয়ে বৈষম্যরোধের জন্য আওয়াজ তুলেছেন।

দৈনিক সময়ের আলোর এই প্রতিনিধিদের কাছে ওই চ্যাটবক্সে প্রকাশ করা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মন্তব্যগুলোর বেশিরভাগই হাতে এসেছে। যেখানে তারা পদায়ন নীতিমালা, পররাষ্ট্রে বিভিন্ন ক্যাডারদের আধিপত্য, রাজনৈতিক পদায়ন ইত্যাদি একাধিক বিষয়ে আওয়াজ তুলেছেন।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, পররাষ্ট্র কর্মকর্তাদের অ্যাসোসিয়েশন বিএফএসএর নির্বাহী কমিটির একটি বৈঠক সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রদূত ড. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে গত মঙ্গলবার বিকালে অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সংগঠনটির এক্সট্রা অর্ডিনারি জেনারেল মিটিং (ইজিএম) এবং সংগঠনের পরবর্তী ভোট অনুষ্ঠান নিয়ে আলাপ হয়। এ ছাড়া ওই বৈঠকে ২৫ আগস্ট ইজিএম করার সিদ্ধান্ত হয়। তার আগে কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈষম্য নিয়ে অভিযোগগুলো ২২ আগস্টের মধ্যে ব্যাচভিত্তিকভাবে মেইল করে কমিটিকে জানানো হবে। ইজিএমে অভিযোগগুলো যাচাই-বাছাই করে আগামী ১ সেপ্টেম্বর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের কাছে উপস্থাপন করা হবে।

অন্যদিকে বিএফএসএর চ্যাটবক্সে কর্মকর্তারা বৈষম্যের বিরুদ্ধে আওয়াজের ঝড় তোলেন। বিএফএসএর চ্যাটবক্সে রাষ্ট্রদূত পদ মর্যাদার একজন বলেন, আমাদের এই ফোরাম রাজনীতি মুক্ত। এটি শুধু পররাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের স্বার্থ রক্ষার জন্য। আমরা এখানে রাজনৈতিক স্পর্শকাতর বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা না করলেই ভালো। রাজনৈতিক ইস্যুতে কথা বলার জন্য অন্য ফোরাম আছে। এখানে আমাদের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করলেই ভালো।

এর জবাবে আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, এই সময়ে দেশে যে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তা অরাজনৈতিক কারণে ঘটেনি। আমাদেরই কিছু কর্মকর্তা এসব ঘটনাকে অরাজনৈতিক বলে অন্যদের বিভ্রান্ত করছেন।

আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, তোমার দুটো কান, একটা মুখ। কথা কম কবা। আমি তাই কথা কম বলতে চাই। কিন্তু আজ একটু কথা বলতেই হচ্ছে। আমার আফসোস। আজ বলা হচ্ছে, এই ফোরাম অ্যাপলিটিক্যাল (অরাজনৈতিক)। কয়েক দিন আগে যখন এখানে ভিডিও শেয়ার করা হতো এবং বেশি বেশি প্রচার করতে বলা হতো কোনো এক গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়ার জন্য, তখন কি এটি পলিটিক্যাল ছিল? যদি উত্তর ‘না’ হয়, তবে আপনারা এতদিন কোথায় ছিলেন?

আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, কয়েক দিন আগেও এই ফোরামে এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অন্য আরও একটি ফোরামে কিছু কর্মকর্তা ভিডিও দিতেন। ওইসব ভিডিওতে প্রমাণ করার চেষ্টা করতেন যে পুলিশের গুলিতে শিক্ষার্থীরা মারা যাননি। এই ভিডিওগুলো তারা ঢাকায় নিযুক্তি একাধিক রাষ্ট্রদূতদেরও দিতেন। আমরা বুঝি যে দেশের ভাবমূর্তি রক্ষার জন্য তারা রাষ্ট্রদূতদের এমন ভিডিও বার্তা দিতেন। কিন্তু আমি এটি বুঝি না যে তারা আমাদের গ্রুপে কেন ওইসব ভিডিও বার্তাগুলো দিতেন। আমরা কী জানি না যে বাংলাদেশে কী ঘটছে? কিছু কর্মকর্তা এমন করে গত সরকারের কাছ থেকে সুবিধা নিয়েছেন, এখনও তারা আবার এই সময়ে এসেও সুবিধা নিতে চাচ্ছেন।

আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, যে দেশে এতগুলো বাচ্চা ছেলেমেয়ে জীবন দিয়ে একটা অকল্পনীয় গণঅভ্যুত্থান সফল করেছে, সে দেশে থেকে উচিত কথা অথবা কথা বলতে পারার স্বাধীনতা আর মেরুদণ্ড থাকা খুব দরকার। যে কয়দিন আছি, মেরুদণ্ড ঠিকঠাক রাখতে চাই। আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, পররাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের পদায়নের জন্য নীতিমালা আছে। কিন্তু এই নীতিমালা কী যথাযথভাবে মানা হয়?

আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, আমাদের সিনিয়র কর্মকর্তাদের কাছ থেকে অনেক হুমকি পাচ্ছি। তারা এই ফোরামে নিজেদের বৈষম্য নিয়ে কথা না বলার জন্য জুনিয়র কর্মকর্তাদের নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। সিনিয়রদের এমন আচরণ করা থেকে বিরত থাকতে বলছি। নতুবা তাদের নাম প্রকাশ করে দেব। 

আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, সাধু সাবধান! ইতিহাসের সঠিক পথে থাকি! ৫ আগস্টের পরের বাংলাদেশ হবে মুক্ত চিন্তা বিকাশের বাংলাদেশ। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে থাকতে গিয়ে আমরা আজ্ঞাবহ একটা জীবে পরিণত হয়েছি। আমরা ভুলে গিয়েছি সরকারি চাকুরে আর সরকারি চাকরের মধ্যে পার্থক্য আছে। সরকারি চাকর আজ্ঞাবহ হয়ে মাথা নিচু করে থাকতে পারেন। কিন্তু সরকারি চাকুরে একটা দায়িত্ব নিয়ে চাকরিতে যোগদান করেছিলেন, যা দায়িত্বশীল নাগরিক, এই দায়িত্ব থেকে কিন্তু আমাদের নিষ্কৃতি হয়নি।

অন্য আরেক কর্মকর্তা বলেন, জুনিয়রদের এসিআরে (বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন) কম নম্বর দেওয়ার হুমকি দেন সিনিয়ররা। আমি বলতে চাই যে সিনিয়ররা এসিআর দেখেন, তাদের এই এসিআর দেখার মেধা কতটুকু আছে।

আরেক কর্মকর্তা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে পররাষ্ট্র ক্যাডার ননÑএমন অনেককে রাজনৈতিকভাবে মিশনের অনেক পদে পদায়ন করা হয়েছে। তাদের অনেককেই এখন ফিরে আসার বার্তা দেওয়া হয়েছে। সবশেষ গত দুই বছরে উত্তর আমেরিকার মিশনে এমন ব্যক্তিদের নিয়োগ দেওয়া হয় যাদের সরকারি কাজ বা কূটনীতি নিয়ে কোনো অভিজ্ঞতাই নেই।

আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের আদলে আমাদের পররাষ্ট্র সার্ভিসকে ধরে না রাখতে পারলে একসময় এলেই এই সার্ভিসের প্রয়োজন বা প্রাসঙ্গিকতা আছে কি না-সে প্রশ্ন অন্যদের মনে উঁকি দেবে। পররাষ্ট্র সার্ভিসের কাজ কি? আমাদের নিজেদের বিশেষায়িত তেমন কোনো কাজ নেই। আমাদের মূলত করতে হয় কো-অর্ডিনেশন। কিন্তু সেটি করার জন্য যদি কাঠামো ঠিক না থাকে তা হলে কাজ করার উপায় কি? সবার ওপরে এখন যেটি প্রয়োজন সেটি হলো, আমাদের সার্ভিসের পদসমূহে (মিশন প্রধান ও অন্যান্য পর্যায়ে) বাইরে থেকে প্রবেশ বন্ধ করা। এটি করা যেতে পারে আদালতের শরণাপন্ন হয়ে, অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে। যেহেতু দক্ষিণ এশিয়ায় এটি প্রচলিত রায় আমাদের পক্ষে আসতে পারে। আমার জানা মতে পাকিস্তানে ১০-১২ বছর আগে এ রকম বাইরের লোক প্রবেশের চেষ্টা হয়েছিল তারপর আদালতের মাধ্যমে পররাষ্ট্র সার্ভিস এটি বন্ধ করেছে। বর্তমানে যেখানে অনিয়মের বিরুদ্ধে সবাই সোচ্চার হচ্ছে, এটি করার এখনই উপযুক্ত সময় মনে হয়। পররাষ্ট্র সচিবের পক্ষে এটি করা কঠিন-তাই আদালতে যাওয়াই সর্বোত্তম। আর তারপর আমাদের নিজেদের ভেতর সংস্কার করতে হবে যাতে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের আদলে আমরা কো-অর্ডিনেশনের কাজ করতে পারি। তখন আর আমাদের অপ্রাসঙ্গিক মনে হবে না। আর এগুলো কিন্তু আমাদের গোষ্ঠী স্বার্থে নয় বরং দেশের স্বার্থে, দেশের সার্বভৌমত্বের সিম্বল পররাষ্ট্র সার্ভিস, সঠিক কো-অর্ডিনেশনের মাধ্যমেই তার সর্বোত্তম রক্ষাকবচ হয়।

বহিরাগত অনুপ্রবেশ ঠেকানোর শুরুটা হোক মন্ত্রণালয় থেকেই। জনকূটনীতি বিভাগে তথ্য ক্যাডারের পদায়ন বন্ধ করা আবশ্যক এবং বর্তমানে মিনিস্ট্রিতে পদায়িত বহিরাগতদের নিজ নিজ অফিসে ফেরত পাঠানো হোক। ফরেন সার্ভিস মিনিস্ট্রি হোক কেবল পররাষ্ট্র ক্যাডারের জন্য।

আরেক কর্মকর্তা বলেন, আমরা কি কোনোভাবে আবারও কন্স্যুলার সেবা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডারে আনতে পারি? অধিকাংশ দূতাবাসের প্রতি প্রবাসীদের ক্ষোভের সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে কন্স্যুলার সেবা ঠিকমতো প্রদান না করা। কন্স্যুলার সেবা প্রদান করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধিকাংশ অফিসারই পারদর্শী। প্রবাসীদের সঙ্গে ডিল করার বিষয়েও তারা দক্ষ। কিন্তু নিজেকে খুব অসহায় লাগে যখন পরিচিত কেউ কোনো সেবার জন্য অনুরোধ করে এবং তার জন্য অন্য ক্যাডারের কাউকে আমার বা আমাদের ফোন করতে হয়, অনুরোধ করতে হয়। এমনকি দূতাবাসের লেবার উইংকে কোনো পররাষ্ট্র ক্যাডারদের কেউ কোনো অনুরোধ করলে তারা সে অনুরোধ না রাখলেও প্রশাসন ক্যাডারের অনুরোধ তারা সবসময়ই রাখে। এমনকি অন্য ক্যাডারের অফিসার দিয়ে কন্স্যুলার/লেবার উইং পরিচালনা করায় তারা প্রবাসীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করায় বা সেবা সঠিকভাবে প্রদান না করায় প্রবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আবার একটু সরাসরি যদি বলি বিভিন্ন মিশনের এসব উইংয়ের কর্মকাণ্ডের ওপর কিন্তু পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণ থাকার কথা থাকলেও আসলে কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। সেখানে দুর্নীতি করার সুযোগ অনেক বেশি এবং দুর্নীতি হলে দায়ভার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নিতে হয়।
মিশনগুলোর সেবার মান উন্নতির দিকে যাচ্ছে নাকি অধঃপতন হচ্ছে তা আমি সরাসরি বলতে চাই না। আপনারা মানুষের প্রবাসীদের সঙ্গে কথা বলেও তা জানতে পারেন। এমনকি কয়েকটা কন্স্যুলেট জেনারেলে কন্সাল জেনারেল এবং লেবার কাউন্সেলর একই ব্যাচের হওয়ায় কন্সাল জেনারেলদের কোনো কথা তারা শোনার প্রয়োজনই বোধ করেন না এবং এটি খুব গর্বসহকারে বলে বেড়াতেও শুনি। লেবার উইং মানেই যে, অন্য ক্যাডার দ্বারা পরিচালিত হবে এটি আমরা মেনেই নিয়েছি। আর এই লেবার উইংয়ের খারাপ কোনো কর্মকাণ্ডের কারণেই দূতাবাসগুলো প্রবাসীদের কাছে খারাপ হচ্ছে আর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেশের মানুষের কাছে হেয় হচ্ছে। আমাদের মন্ত্রণালয়ের অধিকাংশ অফিসারই এ ধরনের সেবা প্রদানে সিদ্ধহস্ত এবং ঘুষ সম্পর্কিত কোনো দুর্নীতির ভেতর তারা নেই। তাই পররাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে আমরা অন্তত কন্স্যুলার/লেবার উইং ফেরত পেতে আবেদন জানাতে পারি কি না? কারণ তিনি যেহেতু ক্যারিয়ার ডিপ্লোম্যাট সেহেতু তিনি ইস্যুগুলো খুব ভালোই জানেন।

আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, আমাদের কয়েকটা মিশনের কথা যদি বলি বিশেষ করে কলকাতা মিশনে যারা কাজ করেছেন বা গিয়েছেন খুব ভালো বলতে পারবেন যে, স্বয়ং ঈশ^রের আশীর্বাদ ছাড়া এই মিশনে পররাষ্ট্র ক্যাডারদের টিকে থাকা সম্ভব নয়। সেখানে পোস্টেড এনএসআই, ডিজিএফআইর সদস্যরা কি উদ্দেশ্যে পোস্টেড হন এবং হওয়ার পরে তাদের কর্মকাণ্ড ক্যামন হয়। তাদের আচরণ দেখে মনে হয় তাদের ওখানে পোস্টিং দেওয়া হয়েছে শুধু পররাষ্ট্র ক্যাডারদের পেছনে লাগার জন্য। বিভিন্ন ভিভিআইপি ভিজিট বা অন্যান্য সময় আমরা লক্ষ্য করেছি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অফিসারদের তারা গালমন্দ করেছেন ভিভিআইপির সঙ্গে কেন তাদের প্রটোকল দেওয়া হচ্ছে না। আর একেকজনের আকাশচুম্বি একেকটা আকাক্সক্ষার কথা এখানে নাই বা বললাম। মিশন প্রটোকল সম্পর্কে বা নিজের কাজ, সিটিজেন চার্টার কোনো কিছু না জেনেই তারা মিশনে পোস্টেড হচ্ছেন। এসব মিশনে সবচেয়ে নির্যাতনের শিকার পররাষ্ট্র ক্যাডাররা। তারা যে কতটা অসহায় ওখানে তা কিন্তু, আমরা সবাই জানি। এসব বিষয় নিয়েও একটা সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দরকার।

সময়ের আলো/আরএস/




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close