ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

চিকিৎসা নিয়ে দুশ্চিন্তায় গুলিবিদ্ধ মাসুদ
প্রকাশ: শনিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৪, ৪:৪৮ এএম  (ভিজিট : ২৫৬)
প্রাণে বেঁচে গেলেও ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত অনেকেই দুঃসহ জীবনযাপন করছেন। কেউ কেউ সহায়-সম্বল বিক্রি ও ধারদেনার টাকায় মিটিয়েছেন চিকিৎসা ব্যয়। অনেকেই শারীরিক ও মানুষিক কারণে আর কাজে ফিরতে পারেননি। এ রকমই একজন মানুষ মাসুদ মিয়া (৩০)। 
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা সরকার পতনের এক দফা দাবিতে গত ৫ আগস্ট ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা, সুস্থতা ও কাজে ফেরা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। টাকার অভাবে উন্নত চিকিৎসা করাতে না পেরে বাড়িতে যন্ত্রণা নিয়ে কাতরাচ্ছেন তিনি। একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তির এই দুরবস্থায় উদ্বিগ্ন তার পরিবারের সদস্যরা। মাসুদ মিয়া গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নের রামনগর (ফকিরপাড়া) গ্রামের কৃষক সাহেব মিয়া ও মোরশেদা বেগম দম্পতির ছেলে। সরকার পতনের উত্তাল মুহূর্তে ৫ আগস্ট তিনি গাজীপুরে গুলিবিদ্ধ হন।

সরেজমিনে রামনগর ফকিরপাড়া গ্রামে মাসুদ মিয়ার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তিনি বিছানায় কাতরাচ্ছেন। পাশে হতাশা আর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা নিয়ে বসে আছেন মা-বাবা। সন্তান সুস্থ হতে পারবে কি না, এ নিয়ে চিন্তিত তারা। স্ত্রী ও দুই কন্যার চোখ বেয়ে অশ্রু ঝরছিল।

সেদিন গুলিবিদ্ধ হওয়ার বর্ণনা দিতে গিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলেন মাসুদ মিয়া। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রক্তস্নাত বিজয়ের কোনো আনন্দ তাকে স্পর্শ করতে পারেনি। অসংখ্য মানুষের গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর দৃশ্যগুলো চোখে ভেসে উঠলেই শিউরে উঠছেন তিনি। সেদিনের ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে মাসুদ মিয়া বলেন, তিনি গাজীপুরে এপেক্স হোল্ডিং লিমিটেড নামের একটি তৈরি পোশাক কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। ৫ আগস্ট ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে অংশ নিতে রাজপথে ছাত্র-জনতার ঢল নামে। তিনিও অন্যদের সঙ্গে রাস্তায় নেমে আন্দোলনে শামিল হন। একপর্যায়ে সফীপুর আনসার একাডেমির সামনে গেলে সেখানে অস্ত্র হাতে পুলিশ সদস্যদের বাধার মুখে পড়েন। তারা ছাত্র-জনতার সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়লে শুরু হয় সংঘর্ষ। এ সময় বাম পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হন তিনি। 

মাসুদের বাবা কৃষক সাহেব মিয়া সময়ের আলোকে বলেন, ছেলেটা চাকরি করায় তিনি চিন্তামুক্ত ছিলেন। সংসারের অভাব কিছুটা দূর হচ্ছিল। তিনি ছেলের সুচিকিৎসার ব্যবস্থার দাবি জানিয়ে বলেন, শুনেছি ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হতাহতদের পাশে দাঁড়িছে সরকার। কিন্তু আমাদের পরিবারের পাশে আজও কেউ আসেনি। সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা না পেলে হয়তো বা মাসুদকে সারা জীবনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করতে হবে।


সময়ের আলো/আরএস/




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close