প্রকাশ: শুক্রবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৪, ৭:৫৮ পিএম আপডেট: ২৩.০৮.২০২৪ ৮:৪৬ পিএম (ভিজিট : ২৩১)
কাপ্তাই হ্রদের পানি শুক্রবার (২৩ আগস্ট) বিকেল ৫টা পর্যন্ত ১০৬ এমএসএলে পৌঁছে গেছে। প্রায় কানায় কানায় পরিপূর্ণ এ হ্রদের পানি হু হু করে বেড়ে বিপদ সীমার খুব কাছাকাছি অবস্থান করছে। প্রতি বছরের মতো এবারও রাঙামাটি পর্যটন ঝুলন্ত ব্রিজ ডুবে গেছে।
বিদ্যুৎ বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে, টানা ভারী বর্ষণ ও ভারতীয় উজানের পাহাড়ী ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানি স্তর দ্রুত বাড়ছে। মাত্র ২ দিনের ব্যবধানে ১০১ এমএসএল থেকে ১০৬ এমএসএলে পৌঁছে গেছে। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়নি। সেই কারণে কাপ্তাই হ্রদের পানি বাড়ার গতি কিছুটা মন্থর। কিন্তু ভারতীয় উজানের পাহাড়ী ঢল অব্যাহত রয়েছে। যে কারণে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
এছাড়া কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি ইউনিট পুরোদমে উৎপাদন শুরু করেছে। ২১৫-১৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। চালু এই ৫টি ইউনিট দিয়ে হ্রদ থেকে প্রতি সেকেন্ডে ৩০ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলী নদীতে পড়ছে। বর্তমানে ১০৬ এমএসএল পানি বিদ্যমান। ১০৭-৮ এমএসএল অতিক্রম করলে পানি ছাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ভারতীয় উজানের পাহাড়ী ঢল সাথে ভারী বর্ষণ হলে, শুক্রবার দিবাগত রাতের মধ্যে পানির স্তর ১০৯ এমএসএলে পৌঁছাতে পারে। সেই ক্ষেত্রে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাঁধের নিরাপত্তার স্বার্থে ১৬টি স্পীলওয়ে ১ ফুট করে খুলে দিতে হবে। তবে হ্রদের পানি ভাটির চট্টগ্রামে ছাড়ার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে, মিডিয়ার মাধ্যমে ৬ ঘণ্টা আগে জানানো হবে নিশ্চিত করেছে পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ।
এদিকে কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়ায় ডুবে গেছে রাঙামাটির নান্দনিক ঝুলন্ত ব্রিজ। যেটি রাঙামাটি ঝুলন্ত ব্রিজ নামেও দেশে বিদেশে ভ্রমণ পিপাসুদের নিকট সমধিক পরিচিত। আকর্ষণীয় এ ব্রিজ ডুবে যাওয়ার কারণে পর্যটন কর্তৃপক্ষ প্রতিদিন অর্ধ লাখ টাকা লোকসান গুনছে। পর্যটন হোটেল মোটেলেও লোকজন হচ্ছে না। সাথে যোগ হয়েছে দেশের বন্যা পরিস্থিতি চাপ। অফ-সিজনে এই ব্রিজের মাধ্যমে যাওয়া হতো, ব্রিজ ডুবে যাওয়ার কারণে সেটা অনিশ্চিত হয়ে গেছে। ব্রিজে কোন লোকজনে ওঠানামা নিষিদ্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ।
রাঙামাটি পর্যটন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপক অলক বিকাশ চাকমা বলেন, ঝুলন্ত ব্রিজ ডুবে যাওয়ায় পর্যটন কর্তৃপক্ষ প্রতিদিন ৫০ হাজার টাকা লোকসান গুনছে। নিরাপত্তার স্বার্থে ব্রিজে ওঠানামা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সময়ের আলো/জিকে