ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

বাবাকে না পেয়ে ছেলেকে হত্যা
সাতক্ষীরার সাবেক এসপি-ওসিসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২২ আগস্ট, ২০২৪, ৭:০৬ পিএম  (ভিজিট : ৩৬৬)
বাবাকে না পেয়ে ৯ম শ্রেণি পড়ুয়া শিশু পুত্রকে তুলে নিয়ে গুলি করে হত্যার অভিযোগে তৎকালীন পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর (বর্তমানে র‌্যাবে কর্মরত), সদর সার্কেলের তৎকালীন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান (পরবর্তীতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার), সদর থানার তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ মো. ইনামুল হকসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুপুরে নিহতের বাবা সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পদ্ম শাখরা গ্রামের শহর আলী গাজী বাদী হয়ে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। আমলী ১নং আদালতের বিচারক নয়ন বড়ালের মামলাটি এফআইআর হিসেবে গণ্য করার জন্য সদর থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- সাতক্ষীরার সাবেক ডিবি প্রধান আ. হান্নান, এস আই আব্দুল মালেক, এস আই আব্দুল কালাম, ভোমরা গ্রামের মৃত সোনা গাজীর ছেলে ওহিদুল ইসলাম, ভোমরা দাসপাড়া গ্রামের আব্দুস সোবহানের ছেলে আশরাফুল ইসলাম, হাড়দ্দহা গ্রামের বাদল গাজীর ছেলে শহীদুল ইসলাম গাজী, মৃত মোহাম্মাদ গাজীর ছেলে আব্দুল গণি, পদ্ম শাখরা গ্রামের মৃত আ. রহিম গাজীর ছেলে মফিজুল ইসলাম, খানপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে ইব্রাহিম খলিল, চৌবাড়িয়া গ্রামের মফিজুদ্দীন সরদারের ছেলে আব্দুস সাত্তার সরদার, আব্দুল গণির ছেলে মোশারফ হোসেন, পদ্মশাখরা গ্রামের মৃত এনাম বক্সগাজীর ছেলে রেজাউল ইসলাম, ভোমরা গ্রামের মৃত মোকছেদ আলীর ছেলে আনারুল ইসলাম গাজী, লহ্মীদাড়ী গ্রামের মৃত কাদের মোল্লার ছেলে জালাল উদ্দিন, হাড়দ্দহা গ্রামের আব্দুস সামাদ সরদারের ছেলে খলিলুর রহমান, আ. রাজ্জাকের ছেলে তরিকুল ইসলাম, মৃত নেছার উদ্দিনের ছেলে এমাদুল ইসলাম, মৃত রহিম বক্সেও ছেলে শহীদুল ইসলাম, ভোমরা গ্রামের আবু শেখের ছেলে মফিজুল ইসলাম, সায়েদ ফকিরের ছেলে আবু বাক্কার ফকির, আনছার আলীর ছেলে ইসমাঈল হোসেন, হারু কাপালীর ছেলে সুবাস ডাক্তার, লহ্মীদাড়ী গ্রামের মৃত কাদের মোল্লার ছেলে জালাল মোল্ল্যা, বিজয় কৃষ্ণ ঘোষের হারান চন্দ্র হারু ঘোষ, রমজান গাজীর ছেলে আব্দুল গফুর গাজী।

বাদী আদালতে দাখিল করা অভিযোগে উল্লেখ করেন, ১ হতে ৬নং আসামি একই চেইন অফ কমান্ডের অর্ন্তভুক্ত এবং ৭ হতে ২৬নং আসামি হত্যার ষড়যন্ত্রকারী, হত্যার পরিকল্পনাকারী এবং পুলিশকে সরেজমিনে সাহায্য সহায়তাকারী ব্যক্তিবর্গ। বাদী একজন কৃষক মানুষ। বাদীর ছোট ছেলে মৃত আবু হানিফ ছোটন বয়স ১৫ বছর। যে ভোমরা ইউপি দাখিল মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণির ছাত্র ছিল। সে একজন ভাল ক্রীড়াবিদ।

মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ইন্ধনে এসপি মঞ্জুরুল কবির, সার্কেল এসপি কাজী মনিরুজ্জামান এবং ওসি এনামুল হকের নেতৃত্বে পুলিশের সদস্যরা বাদী শহর আলীর বাড়িতে যান। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জীবনের ভয়ে তিনিসহ তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা প্রতিবেশীর বাড়িতে আশ্রয় গ্রহণ করে। বাড়িতে কাউকে না পেয়ে বাড়িতে থাকা শিশুপুত্র আবু হানিফ ছোটনকে তুলে নিয়ে যায়। পরে ভোমরা স্থলবন্দরের লাভলু স্কেল সামনে ফাঁকা স্থানে ছোটনের শরীরে তিনটি গুলি করে হত্যা করে।

এরপর পুলিশ বাদীর শিশু পুত্রকে হত্যা করে তার লাশ পিকআপ ভ্যানে তুলে সদর হাসপাতালের চাতালে রাখে এবং ময়নাতদন্ত শেষ করে ১৮ জানুয়ারি বিকেলে বর্তমানে মৃত তৎকালীন স্থানীয় মেম্বর জাকির হোসেনের কাছে পুলিশ বাদীর পুত্রের লাশ হস্তান্তর করে। পরে বাদীর বাড়ির সম্মুখে রাস্তার পার্শ্বে কবর খুড়ে জানাজা শেষে শিশু পুত্র আবু হানিফ ছোটনকে দাফন সম্পন্ন করেন। 

সে সময় মামলার করার সুযোগ না পেয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) মামলা দাখিল করা হয়েছে বলে জানান বাদী শহর আলী।

সময়ের আলো/আরআই


আরও সংবাদ   বিষয়:  হত্যা মামলা-আসামি   সাতক্ষীরা  




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close