চাঁদপুরে দিনরাত টানা বৃষ্টিতে জেলা জুড়ে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। বৃষ্টির পানির কারণে চাঁদপুরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চলের বসতঘর। এতে করে অসহনীয় ভোগান্তিতে পড়েছেন মানুষ। বিশেষ করে শহরের বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় মসজিদ, বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
শহর ঘুরে দেখা গেছে, গত কয়েক দিনের টানা ভারি বর্ষণে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে জেলা জুড়ে। শহরে বিষ্ণুদী মাদ্রাসা রোড, নাজির পাড়া, ট্রাকরোড, রহমতপুর কলোনি, ব্যাংক কলোনি, চেয়ারম্যান ঘাট, চাঁদপুর সরকারি কলেজ গেইট, তালতলা সড়কসহ ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দারা। বিশেষ করে শহরের সড়ক ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা সংস্কার না হওয়ায় বৃষ্টির পানি জমে ঝুঁকি বেড়েছে। কোথাও কোথাও ঘটছে দুর্ঘটনা।
এদিকে বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে বীজতলা, শাক-সবজির মাঠ। এছাড়া মাঠে পানি বেশি থাকায় অনেক এলাকার কৃষক খেতে ফসলের কাজ করতে পারছে না। বিশেষ করে চাঁদপুরের হাইমচরে পানিতে ভেসে গেছে পান চাষিদের স্বপ্ন। বৃষ্টির পানিতে আবাদকৃত পান নষ্ট হয়ে গেছে। জমে থাকা পানিতে পচে গেছে পানের লতা। এছাড়া ফরিদগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে টানা বৃষ্টিপাতে অর্ধশত পুকুর পানিতে তলিয়ে যায়। এতে ভেসে গেছে ছোট-বড় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ।
চাঁদপুর শহরের মাদ্রাসা রোড এলাকার বাসিন্দা হেলাল হোসেন বলেন, বৃষ্টি হলেই এই সড়কে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। যা কমতে সময় লাগে একদিনেরও বেশি। অনেক নিচু দোকানে পানি ঢুকেছে। বৃষ্টি চলমান থাকলে বন্যা হয়ে যাবে।
হাইমচর এলাকার বাসিন্দা জাহিদুর ইসলাম বলেন, হাইমচরেন নিচু এলাকায় বৃষ্টির পানি জমেছে। পানের বরজে পানি জমে থাকার কারণে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পানি নিষ্কাশন করা না গেল হাইমচরে পানের পলনে ব্যাপক ক্ষতি হবে।
চাঁদপুর আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক শাহ মো. শোয়েব জানান, চাঁদপুরে শুধুমাত্র ২৪ ঘণ্টাই ১৬৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সকালেও ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। দুপুর থেকে থেমে থেমে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে, যা সারাদিন চলমান থাকবে।
সময়ের আলো/এএ/