ই-পেপার রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪
রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪

ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার দৌরাত্ম্যে নাকাল পৌরবাসী
প্রকাশ: বুধবার, ২১ আগস্ট, ২০২৪, ২:১৬ এএম  (ভিজিট : ১৯৬)
কুড়িগ্রাম পৌর শহরের বিভিন স্থানে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও মিশুক স্ট্যান্ড। বিভিন্ন মোড়সহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় গড়ে ওঠা এসব স্ট্যান্ড যাত্রী ও মালামাল টানাটানির কারণে নাগরিক জীবনে নেমে এসেছে চরম ভোগান্তি। যেন দেখার কেউ নেই।

শহরের প্রবেশমুখে ত্রিমোহনী, ধরলা ব্রিজ ও জজ কোর্ট মোড় থাকে অটোরিকশা ও মিশুকের দখলে। এ ছাড়া কলেজ মোড়, নতুনবাজার, শাপলা চত্বর থেকে পৌরসভার প্রবেশ গেট, ঘোষপাড়া, দাদা মোড়সহ প্রধান সড়কের অধিকাংশ জায়গা অবৈধ ব্যাটারিচালিত যানবাহনের চাপে অন্যান্য যান চলাচল কঠিন হয় পড়েছে। বাস-ট্রাকসহ বড় যানবাহনের ধীরগতিতে চলাচলের জায়গা মিললেও মোটরসাইকেল ও সাইকেল চালকদের বেকায়দায় পড়তে হয়। পথচারীরা স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করতে পারছে না। প্রতিদিনই শহরে ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা। 

কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের প্রবেশপথে নতুনবাজার ও ঘোষপাড়ায় স্ট্যান্ড থাকায় প্রায়শই জরুরি রোগী নিয়ে হাসপাতালে যেতে বেগ পেতে হয়। অটোরিকশাগুলো এসব স্ট্যান্ড থেকে শুরু করে একটু পরপর সড়কের মধ্যে হঠাৎ দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানামা করে থাকে। ফলে স্কুল-কলেজ ও অফিসের সময়গুলোতে রাস্তায় যানজট তীব্র আকার ধারণ করে। অনেক সময় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, কর্মজীবী মানুষজন যানজটে পড়ে গন্তব্যে সঠিক সময়ে পৌঁছতে পারছে না। শহরের যানজট নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশ কাজ করলেও যানবাহনগুলো প্রায়শই অমান্য করছে ট্রাফিক আইন।

ট্রাফিক বিভাগ থেকে ব্যারিকেড দিয়ে একমুখী যান চলাচল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। শাপলা চত্বর এলাকায় তিন দিক অটোস্ট্যান্ড হওয়ায় বড় যানবাহনগুলো সহজে যেতে পারে না। ফলে দীর্ঘ সময় ধরে এই এলাকায় যানজটের চিত্র লক্ষ করা যায়। রাস্তায় ব্যারিকেড থাকলেও এখানে অনেকেই আইনের তোয়াক্কা না করে ব্যারিকেডের মাঝ দিয়ে যানবাহন পারাপার করে থাকে। শিক্ষার্থী সাহানুর রহমান বলেন, টিউশনি শেষ করে সঠিক সময়ে স্কুল যেতে পারি না যানজটের কারণে। রাস্তায় অতিরিক্ত রিকশার কারণে সাইকেল চালাতেও অসুবিধা হয়।

নাগেশ্বরী থেকে জেলা শহরে দাফতরিক কাজে এসে তীব্র যানজটে নাকাল হয়ে ফিরছিলেন আবদুস সালাম। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার বিষয়ে তিনি বলেন, কৃষক, গ্রাম্য ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীসহ অন্যান্য পেশার লোকজন কোনো প্রকার প্রশিক্ষণ ছাড়াই রিকশা নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়ছে। এতে করে বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা মো. মোস্তাফা জানান, উলিপুর থেকে মোটরসাইকেলে শহরের খলিলগঞ্জ এলাকায় পৌঁছলে একটি মিশুক সিগন্যাল না দিয়ে সজোড়ে আঘাত করে। এতে তার ডান হাত কেটে যায়।

কুড়িগ্রাম সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) সভাপতি অ্যাডভোকেট আহসান হাবীব নীলু বলেন, ভিকেল অ্যাক্ট অনুযায়ী ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও মিশুকের কোনো বৈধতা নেই। এসব যানবাহনের চালকদের কোনো প্রশিক্ষণ বা লাইসেন্স না থাকায় নিয়মিত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। শহর থেকে গ্রামের দূরত্ব কমলেও অনিয়ন্ত্রিত গতি, ঝুঁকি ও যত্রপত্র স্ট্যান্ডের কারণ যানগুলো এখন বিষফোড়ায় পরিণত হয়েছে। অটোরিকশা ও মিশুক চলাচল একটি নীতিমালা ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠন করে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারলে এই সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।

কুড়িগ্রাম সদর ট্রাফিক ইনচার্জ এ কে এম বানিউল আনাম বলেন, শহরকে যানজটমুক্ত রাখতে ট্রাফিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। এ ছাড়া অটোস্ট্যান্ডগুলোকে স্থানান্তরের জন্য আমরা পরিকল্পনা করছি।

সময়ের আলো/আরএস/ 




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close