প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২০ আগস্ট, ২০২৪, ১১:০৯ পিএম (ভিজিট : ৬১০)
গত কয়েকদিন ধরে ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। কয়েকটি এলাকার মূল সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে মারাত্মকভাবে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এসব এলাকায় পানিবন্দী মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে প্রশাসন নানান উদ্যোগ নিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার দাঁতমারা, নারায়ণহাট, ভুজপুর, পাইন্দং, হারুয়ালছড়ি, সুয়াবিল, লেলাং, রোসাংগিরি, সমিতিরহাট ইউনিয়নের প্রধান কয়েকটি সড়কসহ বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। নারায়ণহাট ইউনিয়নের প্রধান কয়েকটি সড়ক প্লাবিত হয়ে চলাচল বন্ধ রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোর মানুষের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য উপজেলা প্রশাসন থেকে জরুরি সেবাকেন্দ্র খোলা হয়েছে।
পানিতে এলাকাগুলোর কয়েকশ’ একর রোপা আমন, বীজতলা ও বর্ষাকালীন সবজির ক্ষেত পানিতে ডুবে গেছে। এ ছাড়াও উপজেলার ২০ থেকে ৩০টি মাছের ঘের ও বেশকিছু পুকুর ডুবে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া বন্যায় মুরগি ও গরুর খামারগুলোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে, গত ৫ আগস্ট থেকে উপজেলার কয়েকটি পৌরসভার মেয়র, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় আওয়ামীপন্থী জনপ্রতিনিধিরা আত্মগোপনে রয়েছেন। ফলে সৃষ্ট বন্যায় স্থানীয়রা তাদের পাশে পাচ্ছেন না। অসহায় হয়ে পড়ছেন পানিবন্দী হাজারো মানুষ। কষ্টে আছেন তারা।
সুয়াবিল ইউনিয়নের বাসিন্দা মীর এইচ এম আইয়ুব বলেন, ‘গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে পুরো সুয়াবিল এলাকায় সৃষ্ট বন্যায় জনদুর্ভোগ তৈরি হয়েছে। যে যার মতো করে তাদের জান মাল রক্ষায় কাজ করছেন। তিনি দ্রুত উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করেন।’
রোসাংগিরী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এস এম শোয়েব আল ছালেহীন বলেন, ‘অতিবৃষ্টিতে ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। মানুষের ঘর-বাড়িসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করেছে। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্গতদের মাঝে শুকনা খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টিতে লোকজনের দুর্ভোগ বেড়েছে। আমরা ইতিমধ্যে ক্ষতির বিষয়ে জেলা প্রশাসনকে জানিয়েছি। বন্যা কবলিত এলাকাগুলো পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সময়ের আলো/আরআই