ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

মোংলায় মাঠ দখলে মরিয়া বিএনপি-জামায়াত
প্রকাশ: সোমবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৪, ২:১২ এএম  (ভিজিট : ৩৭২)
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের দ্বিতীয় সমুদ্রবন্দর মোংলায় চলছে রাজনৈতিক মাঠ দখলের প্রতিযোগিতা। আগামী নির্বাচন সামনে রেখে জনগণের কাছাকাছি গিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করছেন দল দুইটির নেতারা। প্রতিদিনই তারা নানা জায়গায় সমাবেশ করছেন। ওই সমাবেশে স্থানীয় নেতাকর্মীরা অংশ নিচ্ছেন।

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আবদুর রহমানসহ সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুজ্জামান জসিম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুনিল কুমার বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক মো. ইব্রাহিম হাওলাদার ও ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ সমর্থিত পাঁচ চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে চলে যান। গা ঢাকা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত পৌরসভার কাউন্সিলর ও ইউপি সদস্যরাও। তবে নিয়মিত কার্যালয়ে আসছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার ও তার পত্নী সোনাইলতলা ইউপি চেয়ারম্যান নাজরিনা বেগম।

এদিকে গত ৫ আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত কোনো কর্মসূচি পালন করেনি স্থানীয় পৌর ও উপজেলা আওয়ামী লীগ। এমনকি ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীর দিনেও কোনো কর্মসূচি ছিল না তাদের। শহরের শেখ আবদুল হাই সড়কে হামলা করে ভেঙে দেওয়া হয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কার্যালয়। জানতে চাইলে এ বিষয়ে পৌর আওয়ামী লীগের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, অনেক নেতাকর্মী আত্মগোপনে থাকার কারণে এই মুহূর্তে কোনো কর্মসূচি করা যাচ্ছে না। গত ১ আগস্ট রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার। জামায়াত নিষিদ্ধ করার চার দিন পর ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এরপরই সারা দেশে কোনো রকমের দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছাড়াই প্রকাশ্যে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালাচ্ছে জামায়াতে ইসলামী।

মোংলা উপজেলায়ও দীর্ঘদিন পর রাজপথে প্রকাশ্যে এসে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে দেখা যায় দলটির স্থানীয় পর্যায়ের নেতাকর্মীদের। প্রতিশোধপরায়ণ না হয়ে সৌহার্দপূর্ণ রাজনীতি করতে চায় তারা। 

দলটির মোংলা উপজেলা কমিটির সেক্রেটারি ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক কহিনুর সরদার বলেন, আমরা সবসময় রাজনীতিতে সহাবস্থান-নীতি অবলম্বন করতে চাই। অসাম্প্রদায়িক রাজনীতিতে বিশ্বাসী। এখানে সংখ্যালঘু বলতে কোনো মানুষ নেই, সবাই আমরা এক দেশের মানুষ। গত ৫ আগস্টের পর এখানে হিন্দু ধর্মের মানুষের জানমাল এবং তাদের মন্দিরের নিরাপত্তা দিতে তাদের কর্মীরা রাত জেগে ছিল। কোনো হিংসা-বিভেদ এমনকি প্রতিশোধপরায়ণের রাজনীতি কখনোই জামায়াত ইসলামের আদর্শে নাই।

বাগেরহাট জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট মাওলানা আবদুল ওয়াদুদ বলেন, আওয়ামী সরকার আমাদের সঙ্গে যা করেছিল তা মোটেও যুক্তিযুক্ত ছিল না। ছাত্রদের ক্ষোভ আমাদের ওপর ঝেড়ে পার্শ^বর্তী একটি দেশের এজেন্ডা বাস্তবায়নে পরিকল্পিতভাবে আমাদের দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এ ছাড়া শেখ হাসিনা সরকার দমন-পীড়ন, মিথ্যা মামলা, গ্রেফতার, পুলিশি হয়রানিসহ সব ধরনের নির্যাতন করে আমাদের কোণঠাসা করে রেখেছিল। জেল-জুলুম নির্যাতনের শিকার আমাদের নেতাকর্মীরা জামায়াতের আদর্শ ছেড়ে যাননি।

এদিকে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরই চাঙ্গাভাব ফিরে এসেছে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মধ্যে। পৌর বিএনপির আহ্বায়ক জুলফিকার আলী বলেন, ‘বিএনপি গণমানুষের দল। দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে বন্দি রেখেও বিএনপিকে শেষ করা যায়নি। 

বাগেরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ডক্টর ফরিদুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে এ দেশের মানুষ মুক্ত হয়েছে। বাকস্বাধীনতা ফিরে পেয়েছে। দীর্ঘদিন পর মুক্তমনে রাজপথে ফিরতে পেরে খুশি নেতাকর্মীরা।


সময়ের আলো/আরএস/ 






https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close