স্বৈরাচার বিরোধী গণআন্দোলনে আহত ছাত্রদের সু-চিকিৎসায় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীক।
রোববার (১৮ আগস্ট) দুপুরে পটিয়ায় আহত ছাত্রদের দেখতে আল জামেয়া আল ইসলামিয়া মাদ্রাসায় যান তিনি। এসময় আহত ছাত্রদের মধ্যে চোখ হারানো মোর্শেদুল আলম, নুর হোসেন, ওসমান গণি, সাকের, নাঈম, আবু সৈয়দ, রায়হান, আবুল বাসেতের সাথে একান্ত কথা বলে স্বান্তনা দেন তিনি।
উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বলেন, আমরা একাত্তরে তোমাদের জন্য যুদ্ধ করে একটা স্বাধীন দেশ এনেছি। আর তোমরা আমাদেরকে দ্বিতীয় স্বাধীনতা। এই স্বাধীনতা বৈষম্যের বিরুদ্ধে, এই স্বাধীনতা স্বৈরাচার মুক্ত করতে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী সরকারকে হঠাতে যে সব ছাত্র ও সাধারণ মানুষ জীবন দিয়েছে তাদের জন্য জাতীয় আর্কাইভ হবে। সেখানে সকল বীর শহিদ ও আহতদের ছবি সংরক্ষণ থাকবে। সরকার প্রধান ড. ইউনুসের নির্দেশে তিনি আহতদের দেখতে এখানে এসেছেন।
তাদের সু-চিকিৎসা রাষ্ট্রীয়ভাবে করা হবে। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলিতে চোখ হারানো মাদ্রাসার ছাত্র মোর্শেদুল আলমের সাথে কথা বলে তাকে স্বান্তনা দেন। তিনি বলেন, যদি দেশের চিকিৎসায় মোর্শেদের চোখ ফিরিয়ে না আসে তাহলে তাকে বিদেশে পাঠাবে সরকার।
এসময় তার সাথে ছিলেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, মাদ্রাসার মহাপরিচালক আবু তাহের নদভী, পটিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এমদাদ হোসেন, ইউএনও আলাউদ্দিন ভূঁইয়া জনি, এসিল্যান্ড প্লাবণ কুমার বিশ্বাস, ওসি জসিম উদ্দীনসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রিদুয়ান সিদ্দিকী, রাসেল মাহমুদ প্রমুখ।
উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীক জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে দ্রুত আন্দোলনে শহীদদের তালিকা, আহতদের তালিকা ও আন্দোলনের ভিডিও চিত্র, স্থির ছবি মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সময়ের আলো/আরআই