ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

দখল-পুনরুদ্ধারের পাল্টাপাল্টি দাবি ইউক্রেন ও রাশিয়ার
প্রকাশ: শনিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৪, ১:১০ এএম  (ভিজিট : ২২৮)
রাশিয়ার অভ্যন্তরে ইউক্রেনীয় সেনারা যুক্তরাজ্যের সরবরাহ করা চ্যালেঞ্জার ট্যাঙ্ক-২ ব্যবহার করছে। যুক্তরাজ্যের এক সূত্র বিবিসিকে এ কথা জানিয়েছেন। এদিকে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, চলমান অভিযানে নতুন করে অগ্রগতির দাবি করেছে ইউক্রেন।

বৃহস্পতিবার ইউক্রেন দাবি করেছে, তারা ১ হাজার ১০০ বর্গকিলোমিটারের বেশি এলাকা দখল করেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এটি রাশিয়ার ভূখণ্ডে কোনো বিদেশি সেনাবাহিনীর চালানো সবচেয়ে বড় হামলার ঘটনা। এদিকে রাশিয়াও ইউক্রেনীয় বাহিনীর হাত থেকে কুরস্ক সীমান্ত অঞ্চলের একটি গ্রাম দখলমুক্ত করার দাবি করেছে। তাদের দাবি, কয়েক হাজার ইউক্রেনীয় সেনাকে হত্যা করেছে তারা। 

ব্রিটিশ ট্যাঙ্ক ব্যবহার : যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় রাশিয়ার ভূখণ্ডে ইউক্রেনীয় বাহিনী তাদের অভিযানে নিজেদের সুরক্ষার জন্য ব্রিটিশ অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে এবং তাদের এই অস্ত্র ব্যবহারের ‘স্পষ্ট অধিকার’ আছে বলে জানিয়েছে বৃহস্পতিবার। এর প্রেক্ষাপটেই ইউক্রেনের সেনাদের চ্যালেঞ্জার ট্যাঙ্ক-২ ব্যবহারের এই খবর এলো। তবে কিয়েভকে দেওয়া দূরপাল্লার স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের ওপর এখনও কড়াকড়ি বজায় রেখেছে যুক্তরাজ্য।

ইউক্রেন লড়াইয়ে কতগুলো ব্রিটিশ চ্যালেঞ্জার ট্যাঙ্ক ব্যবহার করছে তা স্পষ্ট নয়। তবে গত বছর দক্ষিণ ইউক্রেনে লড়াই চলাকালে কিয়েভকে কেবল ১৪টি চ্যালেঞ্জার ট্যাঙ্ক দিয়েছিল যুক্তরাজ্য, যার একটি ধ্বংস হয়ে গেছে।

দখল ও পুনরুদ্ধারের পাল্টাপাল্টি দাবি : দুই বছরের বেশি সময় ধরে রাশিয়ার অভিযানের বিরুদ্ধে লড়াই করতে থাকা ইউক্রেন গত ৬ আগস্ট পাল্টা অভিযান শুরু করে। কিয়েভ বলছে, তারা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি বসতি এবং সুদঝা শহরের দখল নিয়েছে। সীমান্ত থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে শহরটির অবস্থান। শীর্ষ সেনা কমান্ডার ওলেকসান্দর সিরস্কি বলেন, ‘আমরা ১ হাজার ১৫০ বর্গকিলোমিটার এলাকা এবং ৮২টি বসতির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছি।’ 

এদিকে কুরস্ক সীমান্ত অঞ্চলে একটি গ্রামকে ইউক্রেনীয় বাহিনীর হাত থেকে দখলমুক্ত করার দাবি করে রাশিয়া বলেছে, বেলগোরোদ অঞ্চলে অতিরিক্ত সেনা পাঠাচ্ছে তারা।

কুরস্কের সীমান্ত এলাকাগুলো থেকে সরিয়ে নেওয়া মানুষের মধ্যে রাশিয়ান রেডক্রসকে খাবার ও কাপড় বিতরণ করতে দেখেছেন এএফপির সংবাদকর্মীরা। ৫০০ জনের মতো মানুষ সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে খাবার ও কাপড় সংগ্রহ করেছেন। রাশিয়া বলেছে, ১ লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষ এলাকা ছেড়েছে অথবা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

সুদঝা থেকে নিরাপদ জায়গায় সরে যাওয়া নিনা গলিনিয়ায়েভা এএফপিকে বলেন, ‘আমি খুব ভয় পেয়েছিলাম, খুব ভীত ছিলাম। সবদিক থেকে শেল ছোড়া হচ্ছিল। বাড়ির ওপর দিয়ে হেলিকপ্টার, উড়োজাহাজ, যুদ্ধবিমান ওড়াউড়ি করছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি সন্ধ্যার সময় রাস্তায় রাস্তায় সেনাদের দেখলাম। তারা বলছিলেন, ‘আপনাদের অবশ্যই জরুরি ভিত্তিতে সরে যেতে হবে, না হলে তারা আপনাদের মেরে ফেলবে।’

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রুশ অভিযান শুরুর পর কুরস্ক ও বেলগোরোদে ছোটখাটো হামলা হলেও এত বড় ধরনের অভিযান এবারই প্রথম। ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের দাবি, আত্মরক্ষার্থে তারা এ অভিযান চালাচ্ছেন। এদিকে রাশিয়ার ইজভেস্তিয়া সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রুশ প্রেসিডেন্টের সহযোগী নিকোলাই পত্রুশেভ বলেছেন, কুরস্কে ইউক্রেনের অভিযান চালানোর পরিকল্পনার সঙ্গে ন্যাটো ও পশ্চিমা বিশ্ব জড়িত।

রুশ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত : রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, রাশিয়ার সাইবেরিয়ায় ইরকুৎসক অঞ্চলে একটি রুশ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এটি বিধ্বস্ত হয়। 

কয়েক হাজার সেনা হত্যার দাবি : রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গতকাল শুক্রবার দাবি করেছে, কুরস্কে আসা ইউক্রেনের ২ হাজার ৮৬০ সেনা নিহত হয়েছে। এ ছাড়া ধ্বংস করা হয়েছে ৪১টি ট্যাঙ্ক, ৪০টি সাঁজোয়া যান। বিবৃতিতে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ইউক্রেনীয় বাহিনী ২৩টি ইনফ্রেন্টারি ফাইটিং যান, ২১৩টি সাঁজোয়া যুদ্ধযান, ১০২টি গাড়ি, চারটি ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী সিস্টেম, ছয়টি মাল্টিপল লঞ্চ রকেট সিস্টেম, দুইটি পরিবহন এবং লোডিং গাড়ি, ২২টি ফিল্ড আর্টিলারি গান এবং তিনটি ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার স্টেশন হারিয়েছে।

সময়ের আলো/আরএস/ 




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close