প্রকাশ: শুক্রবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৪, ৯:৪৫ পিএম (ভিজিট : ৩১৮)
ঢাকায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার রুহিতশী গ্রামের শাহাবুদ্দিনের ছেলে কারিমুল ইসলাম (২২) ঢামেকে চিকিৎসাধীন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন বলে জানা গেছে। গত ৫ আগস্ট দুপুরে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানার সামনে সংঘটিত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে তার শরীরের বিভিন্ন অংশে গুলি লাগে, পরে আন্দোলনকারীরা ঢামেকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভর্তি করেন।
গুলিবিদ্ধ কারিমুলের মামা শরিফ এ প্রতিবেদককে মুঠোফোনে জানান, ভর্তির ১২ দিনেও কারিমুলের বুকের ১টি গুলি বের করা যায়নি, ডাক্তার শনিবার আসলে অপারেশনের ব্যাপারে কথা বলব, এর আগে অপারেশন করতে নিয়ে গেলে অপারেশন হয়নি। কি কারণে হচ্ছে না তা জানিনা।
তিনি আরও বলেন- শুধু বুকেই নয়, তার একটি হাতের কব্জির অংশে গুলি লাগলে হাড় ভেঙ্গে গুড়ো হয়ে ক্ষতবিক্ষত হয়, হাত কেটে ফেলে দিবার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সরকারিভাবেই তার চিকিৎসা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
জানা যায়, কারিমুল ৪ ভাই-বোনদের মাঝে সে বড়, যাত্রাবাড়ীর লেবুর হাটে দিনমুজুরের কাজ করে, দৈনিক ৫/৬শ টাকা আয় করে সংসার চালাতো। আর বাবা নারায়ণগঞ্জে একটি ক্ষুদ্র ব্যাবসা করেন।
এব্যাপারে কথা হলে কারিমুলের এক খালা বলেন, কারিমুলের অবস্থা ভালো না, একটি হাত ভেঙ্গে ক্ষত হয়ে গেছে, গতকাল ড্রসিং করেছিল, দেখেছি হাতের অবস্থা খুব খারাপ, রাতে ব্যাথায় কান্নাকাটি করে, তার মুখের নিচের অংশের ক্ষত স্থানে ইনফেকশন হয়েছে বলে ডাক্তার জানিয়েছেন। এখন সে ঘুমাচ্ছে।
ঢাবির সোহেল নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, আমি কারিমুলকে দেখে আসছি ঢামেকে, আমাদের সকলেই থাকে আর্থিক সহযোগিতা করে পাশে দাড়ানো উচিত বলে মনে করি।
এব্যাপারে লাখাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা সুলতানার সাথে যোগাযোগ করলেও এবিষয়ে কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
সময়ের আলো/জিকে