প্রকাশ: শুক্রবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৪, ৬:৪৯ পিএম (ভিজিট : ২০২)
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশ জুড়ে শুরু হওয়া সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ ও অগ্নিদগ্ধ হয়ে আহত হওয়া এক আইনজীবীসহ ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তারা কুমিল্লা সদর উপজেলার আইনজীবী আবুল কালাম (৫৫), চুয়াডাঙ্গার রাজমিস্ত্রী উজ্জল হোসেন (৩০), নোয়াখালীর দোকান কর্মচারী আসিফ (২৬) ও বরগুনার ওষুধ কোম্পানির সেলসম্যান আলআমিন হোসেন (২৭)। তারা আহত হওয়ার পর ঢাকা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
ময়নাতদন্ত শেষে শুক্রবার (১৬ আগস্ট) তাদের মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
জানা গেছে, নিহত আইনজীবী আবুল কালামের বাড়ির চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে। তবে থাকতেন কুমিল্লা সদর উপজেলার মহিলা কলেজ রোডে।
ধানমন্ডি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আকিব নূর জানান, গত ৫ আগস্ট সরকারের পদত্যাগের এক দফার কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন আবুল কালাম। কুমিল্লা সদর থানার পাশে কুমিল্লা হাই স্কুল সংলগ্ন রাস্তায় মুঘলটুলি সিটি করপোরেশনের ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রায়হান ও তার বাহিনী আবুল কালামের উপর হামলা করে এবং তাকে গুলি করে। ওইদিনই তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরের দিন ৬ আগস্ট তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার ধানমন্ডি পপুলার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ আগস্ট সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মারা যান তিনি।
মৃত উজ্জ্বল হোসাইনের বাড়ি চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার মুক্তারপুর গ্রামে। তার বাবার নাম আলতাফ হোসাইন। তার স্ত্রী শিলু আক্তার জানান, পেশায় রাজমিস্ত্রি উজ্জ্বল। ৫ই আগস্ট কাজ থেকে বাসায় ফিরে সন্ধ্যায় গিয়েছিলেন মুক্তারপুর মোল্লাবাজারে চা পান করতে। সরকারের পদত্যাগের সেইদিন বাজারের একটি হার্ডওয়ারের দোকানে আন্দোলনকারী আগুন লাগিয়ে দেয়। ওই দোকানটিতে বসে ছিলেন উজ্জ্বলসহ এলাকার বেশ কিছু লোকজন। সঙ্গে সঙ্গে দোকানে থাকা গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। এতে উজ্জ্বলসহ আরো কয়েকজন গুরুতর আহত ও দগ্ধ হন। তাদেরকে উদ্ধার করে ঢামেকের পুরাতন বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। শরীরের ৬৬ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে ঢামেকে ভর্তি হওয়া উজ্জ্বল শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে মারা যান।
অপরদিকে মৃত আসিফের বাড়ি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার মীরআলিপুর গ্রামে। তার বাবার নাম মোর্শেদ আলম। তার গ্রামের প্রতিবেশী জামাল উদ্দিন জানান, আসিফ কিছুদিন আগে পড়ালেখা বাদ দিয়েছেন। বর্তমানে এলাকাতে একটি দোকানে কাজ করতেন। গত ৫ই আগস্ট মিছিল দিয়ে বেগমগঞ্জ থেকে পার্শ্ববর্তী সোনাইমুড়ি থানায় গিয়েছিলেন আসিফ। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন। ওইদিনই তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে ৭ আগস্ট তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসাধীন গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মারা যান আসিফ।
মৃত আলআমিন হোসেনের বাড়ি যশোরের চৌগাছা উপজেলার আফরা গ্রামে। বাবার নাম আনোয়ার হোসেন বাবু।
নিহতের ছোট ভাই মো. রাসেল হোসেন জানান, বরগুনার আমতলীতে রেনেটা ও ওষুধ কোম্পানির সেলসম্যানের চাকরি করতেন আলআমিন। থাকতেন আমতলী শহরে। গত ৫ আগস্ট কাজ শেষে তিনি সেখানকার বাসার দ্বিতীয় তলায় ঘুমিয়ে ছিলেন। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে আন্দোলনকারীরা বাসার নিচ তলায় আগুন লাগিয়ে দেয়। আগুন ছড়িয়ে পড়ে দ্বিতীয় তলায়। ঘুমিয়ে থাকা আলআমিনসহ তার কয়েকজন সহকর্মীর শরীরেও আগুন ধরে যায়। তখন তারা শরীরে আগুন নিয়েই ২য় তলা থেকে লাফিয়ে রাস্তায় পড়েন। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেলে নিয়ে যান। পরদিন ৬ আগস্ট তাকে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে এনে ভর্তি করা হয়। শরীরের ৩৬ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টায় আইসিইউতে তিনি মারা যান।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ ৪টি ময়নাতদন্ত শেষে শুক্রবার তাদের স্বজনদেরকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
সময়ের আলো/জেডআই
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
ছুটি ছাড়াই পার তিন দশক
দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনেও অস্বস্তিতে রিয়াল
দিয়াবাতেকে ছাড়বে না মোহামেডান
বিসর্জনে অর্জন
ডুবছে বাড়ি, ডুবছে ঘর
মৃত্যুঞ্জয়ী গাজা
হাতিয়ায় জামায়াতে ইসলামীর ব্যবসায়ী সমাবেশ
কালিহাতীতে কোটা আন্দোলনের মামলায় গ্রেফতার ৩
সোলস আমার পরিবারের একটি অংশ: তুষার
ছাত্রদলের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
টস জিতলো ভারত, ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী
শেয়ারবাজারে এক সপ্তাহে হাওয়া ১৩ হাজার কোটি টাকা!