ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

শিগগিরই নিত্যপণ্যের দাম কমবে, বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নিতে হবে
প্রকাশ: শুক্রবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৪, ১২:৫৫ এএম  (ভিজিট : ১৬২)
অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রভাবে বিগত কয়েক বছরে শুধু নিম্নবিত্ত নয়, সমাজের মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের নাভিশ্বাস চরমে উঠেছে। উদার বাণিজ্য ব্যবস্থার সুযোগ নিয়ে কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বাজারের স্বাভাবিক গতি ব্যাহত করার অপপ্রয়াস চালিয়ে থাকে। অতীতে সময় ও সুযোগ বুঝে বাজারকে অস্থিতিশীল করে তোলার নানারকম চেষ্টা চালানো হয়েছে।

কারসাজি বা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাজার ব্যবস্থার স্বাভাবিক গতি যদি বাধাগ্রস্ত করা হয় তা হলে একদিকে যেমন ভোক্তাস্বার্থ ক্ষুণ্ন হয়, অন্যদিকে দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে এর বিরূপ প্রভাব পড়ে। প্রচারমাধ্যমগুলোতে উঠে এসেছে, বেশ কিছুদিন ধরেই সরবরাহ সংকট না থাকলেও কিছু অসাধু আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের একটি অংশ নিত্যপণ্যের বাজার অস্থির করে তুলছে। 

বৃহস্পতিবার সময়ের আলো থেকে জানা যায়, শিগগিরই বাজারে নিত্যপণ্যের দাম কমবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, এ বিষয়ে সাধারণ মানুষ স্বস্তি পাবে। শিগগিরই বলতে রাতারাতি যে দাম কমে যাবে সেটা বলব না। তবে জিনিসপত্রের দাম কমবে। বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।

অতীতে ভোজ্য তেল, চিনি, পেঁয়াজসহ কয়েকটি পণ্য নিয়ে বড় ধরনের কারসাজি করা হলেও দোষীদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এতে অন্যরা উৎসাহিত হয়। আরও উদ্বেগজনক বিষয় হলো, পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়ার পরও তা কার্যকর করা যায়নি। এ ধরনের অনিয়ম বন্ধ করতে হবে। সিন্ডিকেটের কারসাজি বন্ধে প্রয়োজন সময়মতো জোরালো পদক্ষেপ। 

নিত্যপণ্যের আকাশছোঁয়া দামে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ ও নিম্নআয়ের মানুষকে। এসব সমস্যার সমাধানে বাস্তবসম্মত ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। বাজার তদারকি সংস্থার অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে অসাধু ব্যবসায়ীদের আঁতাতের বিষয়টিও খতিয়ে দেখা জরুরি। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে যারা কারসাজি করছে, এমন অসাধু মজুদদারদের চিহ্নিত ও শাস্তির আওতায় আনাই হবে বাজার নিয়ন্ত্রণের কার্যকর পথ। 

আমরা মনে করি, মানুষের মাঝে স্বস্তি ফেরাতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। বাজার নিয়ন্ত্রণে দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠান টিসিবি, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে কঠোর জবাবদিহির আওতায় এনে সক্রিয় করে তুলতে হবে। প্রয়োজনে সরেজমিনে বাজার মনিটরিংয়ের জন্য বিশেষ সেল গঠন করে মুনাফালোভী অসাধু ব্যবসায়ী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্মূল করতে হবে। অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে পণ্য গুদামজাত করতে না পারে, সে ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে হবে। একই সঙ্গে আমদানিপণ্যের ওপর শুল্ক যথাসম্ভব কমিয়ে আনতে হবে। সাধারণ মানুষের জন্য পণ্য সরবরাহ করে দেশীয় বাজার স্থিতিশীল রাখতে হবে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাগুলো সমন্বিতভাবে নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে যথাযথ পদক্ষেপ নেবে-এটাই প্রত্যাশা।  


সময়ের আলো/আরএস




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close