স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও মিউজিক রেগুলেটরি কমিশনের অনুমোদন, কণ্ঠশিল্পী, গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালক, যন্ত্রশিল্পী ও শব্দগ্রাহক পেশা হিসেবে মেলেনি স্বীকৃতি। শিল্পী সম্মানী বৃদ্ধি, রয়্যালিটি বন্টনে বৈষম্য, প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে এবার সরব হয়েছেন একদল মুক্ত শিল্পী সমাজ।
মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে রিপোর্টার্স ইউনিটে তারা আট দফা দাবি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত কণ্ঠশিল্পী মুহিনের সঞ্চালনায় এতে কণ্ঠশিল্পী সুজন আরিফ, শাহরিয়ার রাফাত, বামবা’র কোষাদক্ষ সুমন, সংগীত পরিচালক বিনোদ রায়, রাজিব হোসাইন, সুরকার ও তবলা বাদক পল্লব স্যানালসহ অনেকে বক্তব্য রাখেন।
মুক্ত শিল্পী সমাজের আট দফা দাবি হলো
১. সংগীতসংশ্লিষ্ট সকলকে (কণ্ঠশিল্পী, গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালক, যন্ত্রশিল্পী ও শব্দগ্রাহক) ‘সংগীত পেশার’ স্বীকৃতি নিশ্চিত করতে হবে। সেসঙ্গে জাতীয়করণ, এককালীন অবসর ভাতা ও পেনশন নিশ্চত করতে হবে।
২. বাংলাদেশ টেলিভিশন, বেতার, শিল্পকলাসহ সকল প্রচার মাধ্যমে ‘দলীয়করণ বন্ধ’ করে সার্বজনীন শিল্পী সমাজের পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
৩. আন্তর্জাতিকভাবে ও দেশীয় প্রযুক্তির মাধ্যমে আমাদের অনুমোদিত দেশীয় ‘মিউজিক রেগুলেটরি কমিশন’র ব্যবহার করে, সকল ডিজিটাল মাধ্যমে অডিও ভিডিও মনিটরিং সিস্টেম তৈরি নিশ্চিত করতে হবে।
৪. জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এবং সকল প্রকার প্রচার মাধ্যমে সংগীত সংশ্লীষ্ট (কণ্ঠশিল্পী, গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালক, যন্ত্রশিল্পী ও শব্দগ্রাহক) সকলের মান অনুযায়ী সম্মানী দশগুণ বৃদ্ধি করতে হবে।
৫. সকল সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংগীত পেশা নিয়োগের ক্ষেত্রে ‘বয়সের বৈষম্যতা’ বন্ধ নিশ্চিত করতে হবে।
৬. দেশের সকল সরকারি, বেসরকারি, আন্তর্জাতিক প্রচার মাধ্যমে (টেলিভিশন, বেতার, শিল্পকলা) এর লাইভ অনুষ্ঠান, রেকর্ডকৃত অনুষ্ঠান ও অন্যান্য ডিজিটাল মাধ্যমে আয়কৃত অর্থ থেকে কপিরাইট আইন অনুযায়ী ‘রয়্যালিটি প্রদান’ নিশ্চিত করতে হবে।
৭. সুশিক্ষিত সংস্কৃতি ভিত্তিক সমাজ গড়তে ১ম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সিলেবাসে ‘সংগীত বিষয়’ পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্তিকরণ নিশ্চিত করতে হবে।
৮. দেশি ও বিদেশি শিল্পীদের সমন্বয়ে অনুষ্ঠান করলে আমাদের শিল্পীদের সমান অধিকার ও সমপরিমাণ সম্মনী নিশ্চিত করতে হবে, সেই সঙ্গে কর ফাঁকি দিয়ে আর কোনো অনুষ্ঠান এ দেশে করতে দেওয়া হবে না।
সময়ের আলো/এম