ঢাকার নবাবগঞ্জে শেখ হাসিনা সরকারের পতন পরবর্তী বাড়িতে হামলায় আহত ইউপি সদস্য আব্দুস ছামাদ (৬৩) মারা গেছেন।
বুধবার (১৪ আগষ্ট) ভোরে নিজ বাড়িতে মারা যান। এর আগে তিনি রাজধানীর স্কয়ারসহ বেশকয়েকটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
নিহত আব্দুস ছামাদ উপজেলার বান্দুরা ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের ফালু ফকিরের ছেলে। তিনি বান্দুরা ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি ও বান্দুরা ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ড সদস্য ছিলেন বলে জানা গেছে।
নিহতের ভাতিজা আব্দুল হালিম জানান, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ৭ আগষ্ট রাত ৮টার দিকে ৭/৮ জন লোক এসে সামাদ চাচার বাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এসময় তিনি বাড়ির সামনের বারাম্দার গ্রিল খোলা মাত্র ধারালো কিছু দিয়ে চাচার গলায় ঢুকিয়ে দেয়। মারাত্মক আহতাবস্থায় তিনি বাড়ির দোতলা বিল্ডিংয়ের পিছন দিক দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। হামলাকারীরা চলে গেলে চাচাকে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে স্কয়ার হাসপাতাল সহ আরো দুটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। টানা এক সপ্তাহ আইসিইউ'তে থাকার পর মঙ্গলবার রাতে বাড়িতে আনা হয়। বুধবার ভোরের দিকে তিনি মারা যান।
আব্দুস ছামাদের একমাত্র ছেলে, দুবাই প্রবাসী আনোয়ার হোসেন বলেন, গত সাতদিন বাবাকে বাঁচানোর অনেক চেষ্টা করেছি। আমার কোন অভিযোগ নেই। সর্বোত্তম বিচারক মহান আল্লাহ। তিনি এর বিচার করবেন। আমি সেটা দেখার অপেক্ষায় থাকবো।
নবাবগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজালাল বলেন, ঘটনার খোঁজ নেয়া হচ্ছে।
সময়ের আলো/এএ/