ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

আত্মগোপনে ঝালকাঠির জনপ্রতিনিধিরা, ব্যাহত নাগরিক সেবা
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৪, ৮:২৬ পিএম  (ভিজিট : ৩৪৪)
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ঝালকাঠির চারটি উপজেলা ও ৩২টি ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের দেখা মিলছে না। পাশাপাশি জেলা পরিষদ ও জেলার দুটি পৌরসভার জনপ্রতিনিধিরাও রয়েছেন আড়ালে। জনপ্রতিনিধিরা আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় স্থানীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সেবা-পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে জনগণ। ব্যাহত হচ্ছে নাগরিক সেবা কার্যক্রমও। 

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশ দিলেও তা মানছেন না জনপ্রতিনিধিরা। জনপ্রতিনিধিদের আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় এ অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। 

তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সারা দেশের মতো ঝালকাঠি জেলার জনসাধারণ স্থানীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সেবা-পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে জনগণ। ঝালকাঠি জেলা পরিষদ, জেলায় দুটি পৌরসভা, চারটি উপজেলা ও ৩২টি ইউনিয়নের অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি আত্মগোপনে চলে গেছেন। সরকারি নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কর্মচারী, উদ্যোক্তা, সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মচারীরা উপস্থিত থাকলেও নেই কোনো জনপ্রতিনিধি।

ঝালকাঠি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদেরও দায়িত্ব পালন করছেন দীর্ঘদিন। চার উপজেলায় চারজন সাধারণ সদস্য ও দুইজন সংরক্ষিত নারী সদস্য রয়েছেন। তারা প্রত্যেকেই আওয়ামী লীগের মনোনীত এবং দলীয় গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। দুটি পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিজয়ী হন। সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরও আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তৎপর এবং দলীয় পদধারী। জেলার চারটি উপজেলায় সদ্য অনুষ্ঠিত নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তৎপর এবং দলীয় গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন। জেলার ৩২টি ইউনিয়নের ৩১টিতেই চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিজয়ী হন। সদর উপজেলার কির্ত্তিপাশা ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রহিম মিয়া স্বতন্ত্র নির্বাচন করে জয়ী হন। সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য এবং সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্যও আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তৎপর এবং দলীয় পদধারী। আওয়ামী লীগের ক্ষমতা হারানোর পরে উল্লেখযোগ্য জনপ্রতিনিধিরা আত্মগোপনে আছেন। জেলা পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবা গ্রহণে জনসাধারণ গিয়েও ফিরে যায়। 

সংশ্লিষ্ট নির্ভরযোগ্য সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। তবে অনেকে পরিষদে না গেলেও কর্ম এলাকায় আছেন বলেও নিশ্চিত করেন সূত্রটি। 

একাধিক ইউপি সচিব ও সংশ্লিষ্টরা জানান, গত ৫ আগস্টের পরে দুর্বৃত্ত/রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের হামলায় আসবাবপত্র ভেঙে গেছে। পরিষদে বসে কাজ করার মতো অবস্থা নেই। তাই আসবাবপত্র ক্রয় করে বসতে একটু সময় লাগতেছে এজন্যই জনপ্রতিনিধিরা আসছেন না বলে দাবী সচিব ও উদ্যোক্তাদের। 

সময়ের আলো/আরআই


আরও সংবাদ   বিষয়:  জনপ্রতিনিধিরা আত্মগোপনে   ব্যাহত-নাগরিক সেবা   ঝালকাঠি-বরিশাল  




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close