ই-পেপার রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪
রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪

সিরাজগঞ্জে এলাকায় নেই ছয় এমপিসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা
প্রকাশ: রবিবার, ১১ আগস্ট, ২০২৪, ৭:৩০ এএম  (ভিজিট : ৩৩৮)
সারা দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর সিরাজগঞ্জের ছয়টি আসনের সদ্য সাবেক এমপি, আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের শীর্ষ নেতারা গা ঢাকা দিয়েছেন। জেলার দাপুটে এমপি ও দলের নেতাদেরও আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

আত্মগোপনে থাকা জেলার ছয় সাবেক এমপি হলেন-সিরাজগঞ্জ-১ (কাজীপুর-সদরের একাংশ) প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়, সিরাজগঞ্জ-২ (সদরের একাংশ-কামারখন্দ) ড. জান্নাত আরা হেনরি, সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ) অধ্যাপক ডা. আবদুল আজিজ, সিরাজগঞ্জ-৪ (উল্লাপাড়া) শফিকুল ইসলাম শফি, সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আবদুল মমিন মণ্ডল ও সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) আসনের চয়ন ইসলাম।

জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়ায় এমপি ও দলের নেতারা নিজের মোবাইল ফোনও বন্ধ রেখেছেন। বাড়িতে খোঁজখবর নিয়েও কারও সন্ধান মেলেনি। হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে এমপি ও সরকারদলীয় নেতাদের বাড়িতে। এ হামলা ও অগ্নিসংযোগ থেকে বাদ যায়নি ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতারাও।

জেলার ছয়টি সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্যের সঙ্গে তাদের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সবার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। চলমান এ পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ছয় নেতাকর্মীকে হত্যা, বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটছে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের পদধারী জনপ্রতিনিধিরাও ভয়ে গা-ঢাকা দিয়েছেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সিরাজগঞ্জে অনেকটা কঠোরভাবে পালন করে ছাত্র-জনতা। গত ৪ আগস্ট শহরে এ আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর আওয়ামী লীগের হামলা ও গুলিবর্ষণের পর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে জেলা শহর। এতে শহর যুবদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রঞ্জু মিয়া (৪০), পৌর শহরের গয়লা মহল্লার আসু মুন্সীর ছেলে আবদুল লতিফ (২৬) ও একই মহল্লার গঞ্জের আলীর ছেলে সুমন সেখের (২২) মৃত্যু হয়। এরপর বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনের সাবেক এমপি ড. জান্নাত আরা হেনরির বাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। পরে ঘটনার দিন রাতে ওই বাড়ি থেকে শাহীন আহাম্মেদ (২৯) নামের একজন ছাত্রলীগ কর্মী ও এক অটোরিকশা চালকের কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়।

অপরদিকে একই দিনে জেলার রায়গঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতা ও সাংবাদিকসহ ছয়জন এবং এনায়েতপুর থানায় ১৩ জন পুলিশসহ ১৬ জনের মৃত্যু হয়। পরদিন আরও দুই পুলিশ সদস্য চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

বক্তব্য নেওয়ার জন্য জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও বেশিরভাগেরই মুঠোফোন বন্ধ ও কোথাও খোঁজখবর না পাওয়া যাওয়ায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। পরে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাকর্মী জানান, এমপি বা জেলার শীর্ষ নেতারা কে কোথায় আছেন কেউ জানি না। কারও সঙ্গে যোগাযোগও নেই। শুধু জেলার নেতারাই নন, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতারাও ভয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। তবে দেশের পরিস্থিতি ভালো হলে এসব নেতা কেন্দ্রের নির্দেশে সাংগঠনিক কার্যক্রম সচল রাখবেন বলে জানা গেছে।


সময়ের আলো/আরএস/ 




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close