অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে ফেনীর মুহুরী নদীর বেড়িবাঁধে ফের ভাঙন দেখা দিয়েছে। পানি নেমে গেলেও থমকে আছে বেড়িবাঁধের সংস্কার কাজ। এমন পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগীরা বরাবরের মতো আবারও স্থায়ী টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবি তুলেছেন। এ বিষয়ে ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহরিয়ার হাসান বলেন, টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানির চাপে এক মাস আগে বেড়িবাঁধের কয়েকটি স্থানে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছিল। সেগুলোর মেরামত কাজ চলাকালীন সম্প্রতি আবারও বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। বেড়িবাঁধের ভেঙে যাওয়া অংশ দ্রুত মেরামত করা হবে বলেও জানান ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহরিয়ার হাসান।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মুহুরী, বিলোনিয়া ও কহুয়া নদীর পানি ফুলগাজী ইউনিয়নের নিলক্ষী, গাবতলা, মনতলা, গোসাইপুর, শ্রীপুর, বাসুরা ও মুন্সিরহাট ইউনিয়নের বদরপুর, করইয়া, নোয়াপুর, পৈথারা, জাম্মুরা, ফকিরের খিল, কমুয়া, দক্ষিণ তাড়ালিয়া এবং উত্তর আনন্দপুর ও দরবারপুর ইউনিয়নের জগৎপুর, বসন্তপুর, ধলীয়া, চকবস্তা, উত্তর শ্রীপুর এবং আমজাদহাট ইউনিয়নের তালবারিয়া, উত্তর ধর্মপুর, দক্ষিণ ধর্মপুর, মনিপুর, ইসলামিয়া বাজার ও আনন্দপুর ইউনিয়নের বন্দুয়া, দৌলতপুর, তালপুকুরিয়াসহ ২৮টি গ্রাম প্লাবিত হয় সম্প্রতি। বন্যার কারণে ফেনী-বিলোনিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কটি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
এছাড়া অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে সৃষ্ট ভাঙনে পরশুরাম পৌরসভার বাউরখুমা, বাউরপাথর, বিলোনিয়া, দুবলাচাঁদ, বেড়াবাড়িয়া, উত্তর গুথুমা, কোলাপাড়া এবং বাসপদুয়া গ্রামে প্রায় সাত হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। উপজেলার পশ্চিম মির্জানগর, কাউতলী, উত্তর মণিপুর, দক্ষিণ মণিপুর, কালী কৃষ্ণনগর, গদানগর, উত্তর কাউতলী, দক্ষিণ কাউতলী, দাসপাড়া, চম্পকনগর, মেলাঘর গ্রাম, চিথলিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ শালধর, মালীপাথর, পশ্চিম অলকা, পূর্ব অলকা, নোয়াপুর, ধনীকুন্ডা, দক্ষিণ শালধর, জঙ্গলঘোনা, কুণ্ডেরপাড়, মালীপাথর, পাগলীরকুলে পানিবন্দি হযে পড়েন বহু মানুষ। বাঁধের ভাঙনে বক্সমাহমুদ ইউনিয়নের টেটেশ্বর, সাতকুচিয়া, জমিয়ারগাঁও, বাঘমারা, চারিগ্রাম কহুয়া ও তালবাড়িয়া গ্রামেও পানিবন্দি হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা।
সময়ের আলো/আরএস/