প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৮ আগস্ট, ২০২৪, ১০:০৭ পিএম (ভিজিট : ২৬০)
মুন্সীগঞ্জ সিরাজদিখানে পূর্নিমা মন্ডল (২১) নামে এক গৃহবধূর লাশ তার শ্বশুর বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পারিবারিক কলহের জের ধরে তিনি আত্মহত্যা করেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে। তবে পরিবারের লোকজন বলছে তাকে গলায় ফাঁস দিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সকালে এ ঘটনা ঘটে। এদিন দুপুরে সিরাজদিখান টেংগুরিয়াপাড়া গৃহবধূর শ্বশুর বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
পূর্নিমা মন্ডল মুন্সীগঞ্জ লৌহজং উপজেলার মেদেনিমন্ডল ইউনিয়নের জসলদি গ্রামের আনন্দ মন্ডলের মেয়ে। ৩ বছর আগে পূর্নিমা মন্ডলকে সিরাজদিখান উপজেলার ইয়াপুরা ইউনিয়নের টেংগুরিয়াপাড়া গ্রামের নারায়ন বাড়ৈয়ের ছেলে নিলকান্ত বাড়ৈয়ের সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে দেওয়া হয়। তাদের সংসারে নির্জন বাড়ৈ (২) একটি পুত্র সন্তান আছে।
নিহত পূর্নিমা মন্ডলের মা সীমা রানী মন্ডলের অভিযোগ, পূর্নিমা মন্ডলের স্বামী ইতালি প্রবাসী দেশে এসে নিলকান্ত বাড়ৈ ও শ্বশুর বাড়ির অন্যান্য লোকজন পূর্নিমা মন্ডলকে হত্যা করেছে। তাকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত সহযোগিতা দাবি করেন সীমা রানী মন্ডল।
পূর্নিমা মন্ডলের স্বামী নিলকান্ত বাড়ৈ বলেন, আমি ইতালি প্রবাসী। আমার স্ত্রী পূর্নিমার এক ছেলের সাথে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। আমি এর আগেও বহুবার পূর্নিমাকে নিষেধ করে আমার শ্বশুর-শাশুড়ি ও তাদের আত্মীয়-স্বজনদের জানিয়ে বিচার করেছি। আগামী সোমবারও এ বিষয়ে বসার কথা ছিল কিন্তু পূর্নিমা গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে ফেললো। আমি ও আমার পরিবারের কেউ পূর্নিমাকে মারিনি। আমি ওকে মেরে ফেললে পালিয়ে যেতাম।
সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাব্বির আহম্মে জানান, থানা পুলিশ না থাকায় আমাকে ফোন করেছিলেন এলাকার মেম্বার-চেয়ারম্যান। শুনেছি পারিবারিক কলহের জেরে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছি।