প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৮ আগস্ট, ২০২৪, ৬:৪০ পিএম (ভিজিট : ৩৯০)
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন জেলায় সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতা, লুটপাট, উপাসনালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার নিন্দা এবং ছাত্র-জনতা হত্যাকারীদের গ্রেফতার, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও পূর্ণ গণতান্ত্রিক অধিকারের দাবিতে জানিয়েছে বামপন্থী রাজনৈতিক দলসমূহ। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে গাইবান্ধা নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংস্থার (গানাসাস) সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এসব দাবি জানান দলগুলোর নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে তারা বলেন, গত সোমবার (৫ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীত্ব থেকে পদত্যাগ ও দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করলে ঢাকাসহ সারা দেশের লাখো মানুষ রাজপথে উল্লাস করেন। এত ব্যাপক হতাহতের দায় নিয়ে তার পদত্যাগের দাবি পূরণ হওয়ায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থী-জনতা একে ঐতিহাসিক বিজয় হিসেবে দেখছেন। নিঃসন্দেহে এটি আমাদের সামনে গণতন্ত্রকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার এক সুবর্ণ সুযোগ এনে দিয়েছে। কিন্তু এক শ্রেণির সুযোগসন্ধানী মানুষ ও দুষ্কৃতকারী গাইবান্ধাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় এই পরিস্থিতির শূন্যতাকে কাজে লাগিয়ে লুটপাট চালাচ্ছে। বিশেষ করে সংখ্যালঘু হিন্দু, খ্রিষ্টান, আহমদিয়া সম্প্রদায় ও আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মানুষের বাড়িঘরে হামলা করছে, অগ্নিসংযোগ ও শারীরিক নির্যাতনে লিপ্ত হয়েছে। একই সঙ্গে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এ পরিস্থিতিতে মানুষ যেকোনো সময় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা ও নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে আছেন। এ অবস্থা কোনো ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
সমাবেশে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মনজুর আলম মিঠু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) জেলা আহ্বায়ক গোলাম রব্বানী, সদস্য সচিব সুকুমার চন্দ্র মোদক, বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্রের জেলা সভাপতি অধ্যাপক রোকেয়া খাতুন, সমাজতান্ত্রিক খেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্ট জেলা আহ্বায়ক জাহিদুল হক, সবুজ মিয়া, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম নেত্রী আফরোজা আব্বাস প্রমুখ।
বিজয়-পরবর্তী যে সহিংসতা, ভিন্ন ধর্মাবলম্বী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ওপর হামলা, থানা, রাজনৈতিক কার্যালয় ও ভাস্কর্য ভেঙে পুড়িয়ে দেওয়া এবং মানুষ হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বক্তারা বলেন, শত শত মানুষের প্রাণহানির মাধ্যমে অর্জিত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা যেন অঙ্কুরে বিনষ্ট না হয়, সে জন্য দল-মত নির্বিশেষ সবাইকে যার যার দায়িত্ব পালন করতে হবে। হিংসা-বিদ্বেষ, হানাহানি ও সংঘাত পরিহারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সব শ্রেণি, পেশা, বিশ্বাসের মানুষকে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহবান জানান তারা।
সময়ের আলো/আরআই