ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শূন্যতা
ছিনতাই-ডাকাত আতঙ্কে মাইকিং, স্বস্তি দিলেন সেনাসদস্যরা
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৮ আগস্ট, ২০২৪, ৮:১৬ এএম  (ভিজিট : ২৩৮)
ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শূন্যতার সুযোগে রাজধানীর মোহাম্মদপুরসহ বেশ কয়েকটি স্থানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতি রোধে এলাকার বাসিন্দারা মাইকিং করে প্রতিরোধের চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে সেনাবাহিনীকে সংবাদ দেওয়া হলে তাৎক্ষণিক সেনাবাহিনীর কয়েকটি গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছলে ডাকাতরা মোটরসাইকেলসহ পালিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয়রা ১১ জনকে আটক করে তাদের হাতে তুলে দেয়।

এর মধ্যে নবোদয় হাউজিংয়ের একটি বাড়ি থেকে ২ লাখ টাকা ডাকাতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সেখানকার একটি বাড়ির মালিক। মঙ্গলবার রাতে ঢাকার ওই এলাকায় ‘ডাকাতি হচ্ছে’ বলে মসজিদে মসজিদে মাইকিং করা হলে স্থানীয়রা লাঠিসোটা হাতে দলবেঁধে রাস্তায় নেমে যান ডাকাতি ঠেকাতে।
গত মঙ্গলবার রাতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি, চুরি ও ছিনতাইয়ের খবর পাওয়া গেছে। এ সময় অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ডাকাতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন। ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার কয়েকটি বাসার বাসিন্দারা জানান, মঙ্গলবার রাতে সেখানে ডাকাতি হয়েছে।

বছিলা এলাকার এক বাসিন্দা জানান, গভীর রাতে এক দল লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের পাশের বাসায় এসে হামলা করে। জোরপূর্বক বাসার মূল ফটক খুলে তারা নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় মসজিদের মাইকিংয়ে ডাকাতির খবর দেন। মোহাম্মদপুরের নবোদয় হাউজিং, মোহাম্মদিয়া হাউজিং, চান মিয়া হাউজিং, চাঁদ উদ্যান, ঢাকা উদ্যান, চন্দ্রিমা হাউজিং এলাকায় ডাকাতরা আতঙ্ক ছড়ায় মঙ্গলবার রাতে।

স্থানীয়রা বলেছেন, তারা দেখেন দেশীয় অস্ত্র হাতে তরুণ কিশোরদের ছোট ছোট দল রাস্তায় ঘোরাফেরা করছে। তারা বিভিন্ন বাড়ির দরজা ধাক্কা দিয়ে দরজা খুলতে বলছিল।

স্থানীয়রা জানান, পুলিশবিহীন অরক্ষিত রাতে তরুণ-কিশোরদের ওই আনাগোনা মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়ায়। ডাকাত পড়েছে বলে এলাকার মসজিদগুলোতে মাইকিং শুরু হয়। সেখানে বলা হয়, কেউ ঘুমাবেন না, আপনারা সজাগ থাকুন।

চান মিয়া হাউজিংয়ের বাসিন্দা ব্যাংক কর্মকর্তা আসিফ আহমেদ বলেন, মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে মসজিদ থেকে ডাকাত পড়েছে, ডাকাত পড়েছে বলে মাইকিং শুরু হয়। ভবনের লোকজন ব্যাপক আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। অনেকেই লাঠিসোটা হাতে নিচ তলার গ্যারেজে এসে দাঁড়ান। এক পর্যায়ে এলাকার তরুণ যুবকরা রাস্তায় নেমে আসেন। ডাকাত আতঙ্কের মধ্যে সেনাবাহিনীর একাধিক দল ঘটনাস্থলে পৌঁছলে মানুষের মধ্যে স্বস্তি আসে।

ঈসাম উদ্দিন নামে একজন বেসরকারি চাকরিজীবী জানান, অনেকেই রাস্তায় নেমে যান প্রতিরোধ করতে। এক পর্যায়ে জনতা একটি বালুর ট্রাকসহ ১১ জনকে আটক করে সেনাবাহিনীর কাছে তুলে দেয়। তবে তারা নিজেদের শ্রমিক হিসেবে দাবি করছিল ওই সময়।

মোহাম্মদপুরের বাঁশবাড়ির একটি বাড়ির নিরাপত্তা কর্মী ইমরান হোসেন জানান, একটি ট্রাক ও কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে কয়েকজন তরুণ এলাকায় ঢুকে এদিক-ওদিক টহল দিচ্ছিল।

প্রবল গণআন্দোলনের মুখে সোমবার শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিভিন্ন থানায় এবং স্থাপনায় হামলা হয়। এ অবস্থায় আতঙ্কের মধ্যে মঙ্গলবার পুরো ঢাকা পুলিশশূন্য হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের সড়কে নেমে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা যায়। পরে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও থানার নিরাপত্তায় আনসার নামানো হয়।

সময়ের আলো/আরএস/




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close