খুলনা সহ সারা দেশেই হামলার আতঙ্ক বিরাজ করছে। এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার অফিস-আদালত চালু করা হলেও বুধবারও দেখা মেলেনি সড়কে কোনো ট্রাফিক পুলিশ। পুলিশের ৯ দফা দাবি পুলিশকর্মীদের খুনে অভিযুক্তদের সাজা ও ক্ষতিপূরণ সহ মোট ন’দফা দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেছে পুলিশকর্মীদের ওই সংগঠন। পুলিশের কর্মবিরতির কারণে সারাদেশসহ খুলনার দক্ষিণাঞ্চলের রাস্তায় পুলিশ দেখা যায়নি। ছাত্র-যুবদের রাস্তায় নেমে ট্র্যাফিক সামলাতে দেখা গেছে বলে দেখা যায়। তবে সড়কের শৃঙ্খলা ফেরাতে মাঠে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের। তারা বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে সড়কের গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করেছেন।
বুধবার (৭ আগস্ট) সকাল থেকে খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গা বাস স্ট্যান্ডে দূরপাল্লার বাসে যাত্রীদের যেতে দেখা গিয়েছে।
এছাড়া নগরীর ডাকবাংলার মোড়, শিববাড়ির মোড়, নিউমার্কেটের মোড়, বয়রা, বৈকালী, নতুন রাস্তার মোড়, দৌলতপুর, ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। সোনাডাঙ্গা বাস স্ট্যান্ড এলাকায় ট্রাফিকের দায়িত্ব পালনকালে শিক্ষার্থী মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন, আমরা আমাদের দেশ স্বাধীন করেছি। এখন এটা গোছানোর পালা। যেহেতু এখনো কোনো সরকার গঠন হয়নি, এই মুহূর্তে পুলিশ বা ট্রাফিক পুলিশও নেই। রাস্তায় যেন যান চলাচলে সমস্যা না হয় তাই আমরা শিক্ষার্থীরা ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছি।
নগরীর শিববাড়ির মোড়ে শিক্ষার্থী মোঃ সোহান আহমেদ বলেন, এই দেশটা আমাদের, এই দেশের সম্পদ রক্ষা করার দায়িত্বও আমাদের। এই ব্যাপারে সকল শিক্ষার্থীদের সতর্ক ও সচেতন থাকার আহ্বান জানান তারা।
এছাড়া বিভিন্ন স্থানে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুব্ধরা। বিভিন্ন আবাসিক ভবনের সিসি ক্যামেরাও ভাংচুর করা হয়। আমরা শিক্ষার্থীরা এজন্য এ দেশকে বিজয়ী করিনি। এ ধরনের ঘটনা যারাই ঘটিয়েছে তারা কোন দলের হতে পারে না।
সময়ের আলো/এএ/