ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

ফের দুশ্চিন্তায় এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা
প্রকাশ: সোমবার, ৫ আগস্ট, ২০২৪, ৭:৩০ এএম  (ভিজিট : ৪৪৮)
আবার দুশ্চিন্তায় পড়েছে ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন এইচএসসি পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। নতুন করে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সহিংসতায় রূপ নিয়েছে। সরকারি চাকরির কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ১১ আগস্ট থেকে নতুন সময়সূচিতে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছিল আন্তঃশিক্ষা বোর্ড। স্থগিত করা পরীক্ষার নতুন সূচি প্রকাশ করা হয়। একইসঙ্গে গত দুইদিনে আন্দোলনে গ্রেফতার শতাধিক পরীক্ষার্থীকে জামিন দেওয়া হয়েছে। তবে চলমান পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নেওয়া হবে কি না এ নিয়ে সংশয় রয়েছে। বারবার পরীক্ষাসূচি পরিবর্তনে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটছে।

অভিভাবকরা জানান, এক অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন তারা। কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সহিংস রূপ নিলে গত ১৬ জুলাই রাতে সারা দেশে স্কুল, কলেজ ও পলিটেকনিকসহ সব বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর ১৮ জুলাইয়ের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়। পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে গেলে ১ আগস্ট পর্যন্ত উচ্চ মাধ্যমিকের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। গত ৩০ জুন থেকে সিলেট বোর্ড ছাড়া সারা দেশে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। তবে বন্যার কারণে সিলেট বোর্ডের পরীক্ষা ৯ জুলাই শুরু হয়।

পূর্বঘোষিত পরীক্ষাসূচি অনুযায়ী, ১১ আগস্ট লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখন ১১ আগস্টের পর স্থগিত পরীক্ষাগুলো নেওয়া হবে। নতুন পরীক্ষাসূচি অনুযায়ী ৫ সেপ্টেম্বর পরীক্ষা শেষ হবে।
শিক্ষার্থীরা জানান, যে পরীক্ষাগুলো স্থগিত করা হয়েছে, সেগুলোর জন্য আবার নতুন করে প্রস্তুতি নিতে হবে। পরীক্ষা পেছানোয় এইচএসসি পরীক্ষা শেষে বিশ্ববিদ্যালয় বা মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে সময় কম পাবে।বারবার পরীক্ষাসূচি পরিবর্তনে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটছে বলে জানিয়েছেন অভিভাবকরাও। 

তারা বলছেন, পরীক্ষা পেছানোয় আমরা তাদের পড়ার টেবিলে আর নিয়মিত হতে দেখছি না। আমরা বলার পরও তারা পড়াশোনায় মনোযোগী হতে পারছে না।

কোটা সংস্কারের আন্দোলনকে ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রভাব পড়েছে দেশের শিক্ষা কার্যক্রমের ওপর। অনির্ধারিত বন্ধের প্রভাব পড়েছে প্রাথমিক শিক্ষা থেকে উচ্চশিক্ষা স্তরে। এখনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার মতো পরিবেশ তৈরি হয়নি বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। একইসঙ্গে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রক্রিয়াটা পুনরায় শুরু করার চেষ্টার বিষয়ে তিনি জানান। 

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাস বন্ধের মধ্য দিয়েই যেতে পারে। শিক্ষার্থীদের নিয়ে কোনো ঝুঁকি নিতে চান না তারা। এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিলে আবার কোনো সমস্যা হয় কি না, সেটিই তাদের ভাবনার বিষয়।

রোববার থেকে সিটি করপোরেশন বাদে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরুর কথা থাকলেও তা হয়নি। শনিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধই থাকবে। এর আগে গত বুধবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল, রোববার থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শুরু হবে শ্রেণি কার্যক্রম। তবে সারা দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ওই দিন থেকে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হয়নি। ১২টি সিটি করপোরেশন ও নরসিংদী জেলার পৌরসভার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ৪ আগস্ট থেকে শুরু হয়নি শ্রেণি কার্যক্রম।

কোটা সংস্কার আন্দোলনে এক পর্যায়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর প্রেক্ষিতে গত ১৭ জুলাই থেকে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে প্রাথমিক বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

অভিভাবকদের সংগঠন অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি মো. জিয়াউল কবির দুলু বলেন, অনলাইনে পাঠদানের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। যদি কোনো শিক্ষার্থীর কোনো রকম জীবন বিপন্ন ঘটে বা কোনো রকম ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তার দায়ভার কে নেবে। সন্তানের ভবিষ্যৎ চিন্তায় সবাই অনিশ্চয়তায় পড়েছেন।

এ বিষয়ে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, করোনার ধাক্কা সামাল দিয়ে শিক্ষাসূচি এখনও ঠিক হয়নি। প্রতি বছরের এপ্রিলে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আমাদের টার্গেট ছিল আগামী বছর এপ্রিলে পরীক্ষা নেওয়ার।


সময়ের আলো/আরএস/





এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close