প্রকাশ: শুক্রবার, ২ আগস্ট, ২০২৪, ৩:৩৫ পিএম (ভিজিট : ২৩২)
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় সেচ পাম্প চালানোর জন্য দূর থেকে নেওয়া বৈদ্যুতিক লাইনে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এক দিনমজুরের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলার বলরামপুর গ্রামের ফজোখালীর মাঠে ধান লাগানোর জন্য জমি প্রস্তুতের কাজে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত বজলুর রহমান (৪০) আলমডাঙ্গা উপজেলার বলরামপুর গ্রামের মন্ডলপাড়ার ছানোয়ার হোসেনের ছেলে। বজলুর রহমানের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। ছেলেটি ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ালেখা করে। মেয়েটি বিবাহিত।
প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বজলুর রহমান দিনমজুরের কাজ করে। শুক্রবার সকালে সে গ্রামের মৃত ফরিদ মন্ডলের ছেলে বুদো মন্ডলের জমিতে ধান লাগানোর জন্য জমির আইল কাটার কাজে যায়। জমির পাশেই বোরহান উদ্দিনের ছেলে সাজ্জাদ হোসেনর সেচ পাম্প রয়েছে। সেচ পাম্পের জন্য দূর থেকে বৈদ্যুতিক তার টেনে নিয়ে আসা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টিতে বৈদ্যুতিক তার নিচু হয়ে গেছে। জমির আইল কাটার সময় কোদালে বেধে যাবে ভেবে বজলুর হাত দিয়ে তার সরাতে যায়। এসময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে সে মারা যায়।
গ্রামবাসীর অনেকে জানান, সাজ্জাদ হোসেন একটি সেচ পাম্পের লাইসেন্স দিয়ে গ্রামের বিভিন্ন মাঠে ৯টি সেচ পাম্প চালান। সে বিদ্যুৎ অফিসকে টাকা দিয়ে নরমাল তার ব্যবহার করে বৈদ্যুতিক লাইন টেনে নিয়ে এ সেচ পাম্প চালান।
এ বিষয়ে সাজ্জাদ হোসেন জানান, তার ৫টি লাইসেন্স দিয়ে ৯টি সেচ পাম্প চালান। বিদ্যুৎ অফিস তাকে অনুমতি দিয়েছে বলেই সে সেচ পাম্প চালান। সে কভার তার ব্যবহার করে লাইন নিয়ে সেচ পাম্প চালান। কিভাবে এ ঘটনা ঘটলো বুঝতে পারছি না।
আলমডাঙ্গা থানার ওসি শেখ গনি মিয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, বজলুর রহমান দিনমজুরের কাজ করেন। শুক্রবার সকালে মাঠে কাজ করতে গিয়ে সেচ পাম্পের বৈদ্যুতিক তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায়। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু হয়েছে।
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত বজলুর রহমানের পরিবারের আহাজারি। ছবি: প্রতিনিধি