ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

বাকৃবির সুবিশাল এক গম্বুজ মসজিদ
প্রকাশ: শুক্রবার, ২ আগস্ট, ২০২৪, ৪:৪৭ এএম  (ভিজিট : ২১৮)
দেশের ময়মনসিংহ জেলা সদরে প্রায় সাড়ে বারোশ একর জায়গাজুড়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)। সবুজ-শ্যামলে ভরপুর ক্যাম্পাসে ঢুকলেই কৃষি অনুষদের পাশে চোখে পড়ে বৃহৎ মিনারবিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন মসজিদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনন্য স্থাপত্যের মধ্যে এটি অন্যতম। মসজিদটির অসাধারণ নির্মাণশৈলী ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যকে এক নতুন রূপ দিয়েছে। দেশের বৃহত্তম এক গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদ এটি। 

চতুর্ভুজ আকৃতির এই মসজিদের মোট তিনটি অংশ রয়েছে। মূল ভবনটি মসজিদের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ জায়গায় অবস্থিত। মূল ভবনে মোট ২৬টি কাতারে নামাজ পড়া যায়। মসজিদের পূর্ব পাশে রয়েছে একটি বারান্দা। বারান্দায় নামাজ পড়ার জন্য মোট ১৩টি কাতার রয়েছে। মূল অংশ এবং বারান্দা মিলে ৩৯টি কাতারে প্রায় ৪ হাজার মানুষ একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারে। মূল মসজিদের ঠিক মধ্যখানে ১২টি পিলারের ওপর স্থাপিত একটি সুবিশাল গম্বুজ, যেটিকে দেশের এক গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদগুলোর মধ্যে সর্ববৃহৎ গম্বুজ বলে জানা যায়। এটিই মূলত এই মসজিদের স্থাপত্যশৈলীর সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক। গম্বুজের ওপর রয়েছে একটি অর্ধ চাঁদ।

মসজিদের আঙিনাকে মূল ক্যাম্পাস থেকে পৃথক করার জন্য চারধারে রয়েছে আকর্ষণীয় দেয়ালে ঘেরা তিনটি করিডোর। যা মসজিদের বারান্দার এক পাশ থেকে শুরু হয়ে অন্য পাশে গিয়ে শেষ হয়েছে। এসব করিডোরে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন বাগানবিলাস ফুলের সমারোহ। যা মসজিদটিতে এনে দিয়েছে এক স্বর্গীয় সৌন্দর্য। মসজিদের বারান্দায় প্রবেশ করার জন্য পূর্ব পাশে মোট ২টি, উত্তর এবং দক্ষিণে ২টিসহ মোট ৪টি দরজা রয়েছে। এরপর বারান্দা থেকে মসজিদটির মূল ভবনে প্রবেশ করতে মোট ৮টি দরজা রয়েছে। এ ছাড়া মসজিদের পশ্চিম পাশে মুসল্লিদের ওজু করার জন্য রয়েছে একটি ওজুখানা। পূর্ব পাশে রয়েছে একটি বিস্তৃত খোলা মাঠ।

মসজিদটির নির্মাণকাজ শুরু হয় ১৯৮৩ সালে। সে বছরের ৩০ এপ্রিল মসজিদটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির তৎকালীন উপাচার্য প্রফেসর ড. আবুল কালাম মুহাম্মদ আমীনুল হক। দুই বছর পর ১৯৯৫ সালে ২ জুন মসজিদটির উদ্বোধন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. শাহ মোহাম্মদ ফারুক।

মসজিদটিতে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ছাড়াও শুক্রবার জুমার নামাজ পড়ানো হয়। শুক্রবার যেন মসজিদটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। ওইদিন দুপুর ১২টা থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেদের হলগুলো থেকে দলবেঁধে শিক্ষার্থীরা নামাজ আদায় করতে আসেন বৃহত্তর এই মসজিদটিতে। শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীতে মসজিদটি ভরে ওঠে কানায় কানায়। জুমার নামাজ ছাড়াও বৃহৎ পরিসরে মসজিদে ঈদের নামাজও আদায় করা হয়। 

ঈদের দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মচারী-কর্মকর্তাসহ আশপাশের এলাকা থেকে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করতে আসেন। এ সময় মুসল্লিদের আগমন যেন মিলনমেলায় রূপ নেয়। এত মানুষের এই বৃহৎ জমায়েতের দৃশ্য এক মনোমুগ্ধকর দৃশ্যের অবতারণা করে।

সময়ের আলো/আরএস/





https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close