ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

খাল-বিলে নেই পানি, পাট নিয়ে দুশ্চিন্তায় চৌগাছার চাষিরা
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১ আগস্ট, ২০২৪, ৯:৫৬ পিএম  (ভিজিট : ৩৬০)
বর্ষা মৌসুমেও যশোরের চৌগাছার খাল-বিলে পানি নেই। পানির অভাবে পাট জাগ দেওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চাষিরা। মাঝে-মধ্যে দু-এক পসরা বৃষ্টি হলেও তা খাল বিলে জমেনি। উপজেলার বুক চিরে বয়ে গেছে কপোতাক্ষ নদ। তবে গেল বছর থেকে নদ খননের কাজ শুরু হয়েছে। ফলে নদে পাট জাগ দিতে পারছেন না নদের দু-পাড়ের চাষিরাও। এদিকে এলাকায় সরকারি বিল-বাওড়গুলো সরকার ব্যক্তি মালিকানায় লিজ দেওয়ায় বিল-বাঁওড়ে পাট জাগ দিতে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন চাষিরা। ফলে পাট জাগ দেওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চাষিরা।

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছরে উপজেলায় ১৮২০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় কিছুটা কম। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর বলছেন, সম্প্রতি উপজেলায় ফল চাষ বেড়ে যাওয়ায় অন্যান্য ফসলের চাষ কমেছে।  

উপজেলার চাঁদপাড়া গ্রামের পাট চাষি জহিরুল ইসলাম বলেন, এবার চাষের শুরুতে চাষিদের বৈরি আবহাওয়া মোকাবিলা করতে হয়। বৃষ্টি না হওয়ায় সেচ দিয়ে পাট বীজ বপন করতে হয়েছে। খরার সময়ে পাটের জমিতে মাঝেমধ্যে সেচ দিতে হয়েছে। এতে পাট চাষের খরচ বেড়ে গেছে। বর্তমানে কোন-কোন এলাকায় আগাম জাতের পাট কাটা শুরু হয়েছে। এ পাট কেটে অনেকে আমন ধান রোপণ করছেন। খাল-বিলে পানি না জমায় দূরে নিয়ে জাগ দিতে হচ্ছে। এতে খরচ বাড়ছে। চাষিরা বলছেন, মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হলেও এখন পর্যন্ত খাল-বিলে পানি জমেনি। এ বছর পাটের দামও ভালো। কিন্তু পানির অভাবে পাট জাগ দেওয়া নিয়ে ভোগান্তি বেড়েছে চাষিদের।

উপজেলার নারায়নপুর, পাশাপোল, ধুলিয়ানী, স্বরুপদাহ, ফুলসারা, চৌগাছা সদর ও সুখপুকুরিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কিছু কিছু এলাকায় পাট কাটা শুরু করেছেন চাষিরা। তবে পাট ভালো হলেও পানির অভাবে জাগ দিতে পারছেন না বলে জানায় চাষিরা। দেখা যায় অনেকে পাট কেটে জমিতে রেখে দিয়েছেন।

উপজেলার রাজাপুর গ্রামের চাষি আতিয়ার রহমান জানান, এবার চাষ করা পাটের ভালো ফলন হবে। তবে পাট জাগ দেওয়া নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় আছি। আমরা পাট কাটা শুরু করেনি। তবে আমাদের এলাকায় আগাম বুনা পাট অনেকে কাটছেন। নতুন পাট বাজারে প্রতি মণ দুই হাজার ৮৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

রামকৃষ্ণপুর গ্রামের জাকির হোসেন বলেন, বীজ বপন করতে সেচের পানি দিয়ে। আবার চারা পাটেও সেচ দিতে হয়েছে। এখন পাট জাগ দিতেও স্যালো মেশিনের পানি দিতে হচ্ছে। পাটের বাজার মূল্য ভালো হলেও খরচ বেশি হয়ে যাচ্ছে।

উপজেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা নিপা বিশ্বাস বলেন, উপজেলায় এ বছর ২ হাজার ৫’শ ৭৫ জন কৃষক পাট চাষ করেছেন। এ অঞ্চলে এবার পাট ভালো হয়েছে। তবে পানি ও জায়গার অভাবে পাট জাগে সমস্যা হচ্ছে। বৃষ্টির পরিমাণ বাড়লে সমস্যা কেটে যাবে বলে জানান তিনি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুসাব্বির হুসাইন বলেন, চলতি বছর উপজেলায় জি আর ও ৫২৪ জাতের পাট চাষ হয়েছে ১ হাজার ৬’শ ৩০ হেক্টর জমিতে এবং ও তুষা ৮ রবি জাতের ১’শ ৯০ হেক্টর জমিতে।

তিনি বলেন, পানির জন্য পাট পচানো ও আঁশ ছাড়ানোর কাজে চাষিদের কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তবে বৃষ্টি নামলে এ সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। এছাড়া পাট জাগ দিতে কাদা মাটি ব্যবহার না করে জাগের উপরে ঘাস, পট, অথবা খড় ব্যবহার করার পরামর্শ দেন তিনি।

সময়ের আলো/আরআই


আরও সংবাদ   বিষয়:  পাট নিয়ে দুশ্চিন্তায় চাষিরা   চৌগাছা-যশোর  




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close