প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১ আগস্ট, ২০২৪, ৮:৩৯ এএম (ভিজিট : ২৭০)
নাইক্ষ্যংছড়ি'র ঘুমধুমে টানা ৪ দিনের প্রবল বর্ষণ এবং পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় ৩ শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
বুধবার (৩১ জুলাই) সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় টানা ৪ দিনের ভারি বৃষ্টিপাত এবং পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। রাস্তাঘাট,বাসাবাড়িতে পানি উঠায় ঘরবন্দী হয়েছে তুমব্রু কোনারপাড়া, বাজার পাড়া ও মাঝের পাড়ার কয়েক শতাধিক পরিবার।
বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে প্রবল বেগে ঢলের পানি প্রবেশ করছে। যার কারণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢল এসে ইউপির ১, ২, ৪, ৫, ৭ ও ৯ নং ওয়ার্ডের পশ্চিমকূল, ক্যাম্প পাড়া, বাজার পাড়া ও কোনার পাড়া, জলপাইতলী, মধ্যম পাড়া, হেডম্যান পাড়া, আজুখাইয়া, মগঘাট, রেজু'র অন্তত কয়েক শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। যার ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। ভারী বৃষ্টি হওয়াতে ইউনিয়নের বিভিন্নস্থানে মৃদু পাহাড় ধস হয়েছে, তবে প্রাণহানীর কোন ঘটনা ঘটেনি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, ১ নম্বর ওয়ার্ডে যারা পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করে তাদেরকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বলা হয়েছে। ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আনোয়ারুল ইসলাম শিকদার বলেন, নাফ নদী লাগোয়া নয়াপাড়া, পশ্চিম পাড়ার বিলে-ঝিলে উজানী পানি ও পাহাড় থেকে নেমে আসা ঢলে থৈ-থৈ অবস্থা। ৪ ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কামাল উদ্দিন বলেন, তার নির্বাচনী এলাকায় প্রায় ২ শতাধিক পরিবার পানির কবলে পড়েছে।রাস্তাঘাট চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
রেজু এলাকার ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার বদিউল আলম জানান,পাহাড়ি ঢল ও অতিরিক্ত বৃষ্টির পানিতে কিছু-কিছু জায়গায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।দিন মজুর কামলারা কাজকর্মে যেতে পারেনি।তারাও এক প্রকার ঘরবন্দী হয়ে পড়েছে। অতিবৃষ্টিতে লন্ডভন্ড ঘুমধুম হাইস্কুল টু জলপাইতলী সড়ক! কয়েশ মানুষের চলাচলে দূর্ভোগ। ঘুমধুম ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ছৈয়দুল বশর বলেন,ঘুমধুমের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।সবচেয়ে বেশী সমস্যায় পড়েছে তুমব্রু এলাকার মানুষ।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ জানান,ইতিপূর্বে পূর্বে জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকারিয়াসহ ঘুমধুমের প্লাবিত এলাকায় পরিদর্শন ও তাদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়েছিল। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের খোঁজ খবর নিয়েছিলাম আমরা। গত ৪ দিনের টানা বৃষ্টির কারণে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা নিরুপন করা হচ্ছে। সে মতে সহায়তার উদ্যোগ নেয়া হবে।
তিনি আরো বলেন ভারী বৃষ্টির কারণে আবারও পাহাড়ি ঢল এসে সীমান্তবর্তী ঘুমধুমের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় অনেকেই দুর্ভোগে পড়েছে বলে খবর পাচ্ছি। উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে নিম্নাঞ্চলের মানুষকে সতর্কতাসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে আপনাদের মাধ্যমেও অনুরোধ জানাচ্ছি।
সময়ের আলো/এএ/