ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

মাঠে ছিলেন না কুমিল্লার সংসদ সদস্যরা, অনেকেই বিদেশ ভ্রমণে
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই, ২০২৪, ১:৫৪ এএম  (ভিজিট : ৩৪০)
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে বিএনপি-জামায়াত যখন কুমিল্লা দখলে নেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছিল তখন আওয়ামী লীগের বেশিরভাগ নেতাই ছিলেন নিষ্ক্রিয়। বড় পদবিধারী নেতাদের বেশিরভাগই ছিলেন ‘হাওয়া’। 
তবে এক দিন কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ পৃথকভাবে উদ্যোগ নিয়েছিল মিছিল ও সমাবেশের। এর বাইরে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় মহানগর আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের কিছুটা উপস্থিতি দেখা গেলেও, তৎপরতা দেখা যায়নি অন্য উপজেলার নেতাকর্মীদের।

অন্যদিকে বিএনপি-জামায়াতের নাশকতা রোধে দলের এই ভূমিকায় ক্ষুব্ধ তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। কঠিন সময়ে মাঠে ছিলেন না বেশিরভাগ সংসদ সদস্যই। দলীয় ১১ জন সংসদ সদস্যকে এখনও দেখেননি এলাকার মানুষ। এ ছাড়া আন্দোলন ভয়াবহভাবে দেখা দেওয়ায় চিকিৎসাসহ নানা অজুহাতে বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমান কয়েকজন সংসদ সদস্য।

জানা গেছে, গত ১৮ জুলাই থেকে কোটবাড়িতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় শিক্ষার্থীরা।

এই সংঘর্ষ কুমিল্লার পদুয়াবাজার পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। গত ১৯ জুলাই রাত ১২টার দিকে কারফিউ জারির আগ পর্যন্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) সামনে থেকে কোটবাড়ি পর্যন্ত ছিল রণক্ষেত্র। ওই এলাকায় শিবিরের অনেক মেস ও ছাত্রাবাস থাকায় দলটির নেতাকর্মীরা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে মিশে দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। গত ১৮ জুলাই ছাত্রলীগ কুবি ক্যাম্পাসের দিকে অগ্রসর হতে গেলে তাদের সঙ্গেও সংঘর্ষ বাধে। ওইদিন বিকালে টিকতে না পেরে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরাও পিছু হটতে বাধ্য হন।

একই দিন বিকাল পৌনে ৪টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কোটবাড়ি এলাকা অবরোধ করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়সহ জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এ সময় পুলিশের অবস্থান লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এ সময় সদর দক্ষিণ মডেল থানার ওসির ব্যবহৃত গাড়িটি ব্যাপকভাবে ভাঙচুর করা হয়। পরদিনই পুলিশ এবং আন্দোলনকারীদের মধ্যে দিনভর সংঘর্ষে ছাত্র-সাংবাদিকসহ আহত হন শতাধিক ব্যক্তি। এ সময় পুলিশের একটি গাড়ি ও বিজিবির গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে আন্দোলনকারীরা।

জানা গেছে, সংকটময় এই সময়ে ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্যরা ছিলেন ‘রিলাক্সড’ মুডে। ১১ জন সংসদ সদস্যের মধ্যে ওই সময় এলাকায় ছিলেন না কেউই। 

জানা যায়, কুমিল্লা-১১ আসনের সংসদ সদস্য মুজিবুল হক মুজিব কোটা আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতা শুরু হলে সৌদি আরবে চলে যান। কুমিল্লা-৮ আসনের সংসদ এসকে শামীম চলে যান চীনে। এ ছাড়া বাকি দুই সংসদ সদস্যও বিদেশে রয়েছেন বলে বিশ^স্ত সূত্রে জানা যায়। বাকি সাতজন অবস্থান নেন ঢাকায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিভিন্ন উপজেলার শতাধিক নেতাকর্মী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নেতারা তো মাঠে নেই, আমরা কর্মীরা কি যুদ্ধ করব নাকি? নেতাদের তো কোনো নির্দেশনা দিতে হবে।

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লোটাস কামাল সংসদ সদস্যকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রওশন আলী মাস্টার বলেন, প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে সব খোঁজখবর রাখছেন। এ বিষয়ে আমার আর কিছু বলার নেই।

সময়ের আলো/জিকে




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close