ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

বদলে যাওয়া পৃথিবীর স্থাপত্য
প্রকাশ: সোমবার, ২৯ জুলাই, ২০২৪, ২:৪৪ এএম  (ভিজিট : ২১৮)
পৃথিবী এখন প্রতি মুহূর্তে বদলে যাচ্ছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই পরিবর্তনের প্রভাব লক্ষ করা যাচ্ছে। বৈশ্বিক এই অগ্রযাত্রার সঙ্গে সমানতালে এগিয়ে যেতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গ্রহণ করেছে ‘রূপকল্প ২০৪১’ শিরোনামের একটি কৌশলগত পরিকল্পনা বা স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান। মূলত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধাণমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক প্রদত্ত ও জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিল প্রণীত একটি পরিকল্পনা এটি। 

‘রূপকল্প ২০৪১’-এর অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জন করতেই মূলত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প’ প্রণয়ন করা হয়েছে, যার মূল লক্ষ্য হলো ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করা এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে উদ্ভূত অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্বের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এগিয়ে যাওয়া। এ লক্ষ্যে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিটি খাতেই শুরু হয়ে গেছে কাজ করা। থেমে নেই কোনো সেক্টরই। চতুর্মুখী পরিবর্তনের এ প্রভাব আমাদের স্থাপত্য ও নির্মাণশিল্পে এসেও পড়েছে। পৃথিবীব্যাপীই বদলে যাচ্ছে স্থাপত্য পেশার চর্চা ও ধরন। 

পৃথিবী বদলে গেছে। বলা ভালো আমূল পরিবর্তনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে পৃথিবী। বিগত কয়েক বছরে শুধু মহামারি আর যুদ্ধই না, পৃথিবীবাসীর অভিজ্ঞতার ঝুলিতে এখন নতুন এক পরিবর্তন যুক্ত হয়েছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে প্রবেশ করেছে পৃথিবী। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দখল করে নিচ্ছে মানুষের বুদ্ধিবৃত্তিক জগতকে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ দূষণের মতো ভয়াবহ ঘটনাসমূহও। বিশ্ব  এখন ষষ্ঠ গণবিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে। প্রতিবছর বেড়ে চলেছে ভূপৃষ্ঠের উষ্ণতা। করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সব দেশেই মূল্যস্ফীতি ও অর্থনৈতিক মন্দার ঢেউ আছড়ে পড়েছে। এ বছর আবার যুক্ত হয়েছে ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ। সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে বোঝা যায়, নিকট অতীতে সামগ্রিকভাবে এতটা কঠিন সময় আর দেখেনি বিশ্ব বাসী। বৈশ্বিক পরিবর্তনের এ ধাক্কা এসে বাংলাদেশেও লেগেছে। 

অর্থনৈতিক মন্দার বিষয়টি আমরা খুব ভালোভাবে বুঝতে পারছি, জলবায়ু পরিবর্তনের যে প্রভাব পড়েছে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে তাও খুব তীব্রভাবেই ধরা পড়ছে আমাদের চোখে। যদিও চতুর্থ শিল্প বিপ্লব, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-এসবের সরাসরি প্রভাব এখনও আমাদের দেশে সেভাবে পড়তে শুরু করেনি, তবে অচিরেই বাংলাদেশেও এসে লাগবে এ পরিবর্তনের ঢেউ। 

সমগ্র বিশ্বেই স্থাপত্যচর্চা ভিন্ন আঙিকে অগ্রসর হচ্ছে। সেখানে শুধুই প্রযুক্তি নয় বরং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো জটিল বিষয়ও অগ্রাধিকার পাচ্ছে। 

বাংলাদেশে পেশাদার স্থপতিদের অভিভাবক প্রতিষ্ঠান হলো-বাস্থই বা ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস বাংলাদেশ, আইএবি। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের স্থপতিদের জন্য একটি পেশাদার সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। আইএবির প্রাথমিক লক্ষ্য হলো বাংলাদেশে স্থাপত্য পেশার প্রচার ও অগ্রগতি। এর মধ্যে রয়েছে স্থাপত্য শিক্ষায় উৎকর্ষতা বৃদ্ধি করা, স্থপতিদের স্বার্থ রক্ষা ও এর পক্ষ সমর্থন করা এবং নির্মিত পরিবেশ বা বিল্ট এনভায়রমেন্টের উন্নয়নে অবদান রাখা। বাস্থই তার নিজস্ব সংবিধান অনুসরণ করে কাজ করছে এবং এটি তার সদস্যদের জন্য ‘নৈতিকতা বিধি’ বা ‘কোড অব ইথিক্স’ প্রতিষ্ঠা করেছে। ছাত্রাবস্থায় একজন স্থাপত্যের ছাত্র বাস্থইয়ের ছাত্র সদস্য হিসেবে তালিকাভুক্ত হতে পারে। তবে স্নাতক পাস করার পর একজন নবীন স্থপতিকে দুই বছর বাস্থইয়ের সহযোগী সদস্য হিসেবে তালিকাভুক্ত থেকে একজন পূর্ণ সদস্যের অধীনে কাজ করতে হয় এবং দুই বছর পর নির্দিষ্ট পরীক্ষার মাধ্যমে একজন স্থপতি সহযোগী সদস্য হতে পূর্ণ সদস্যপদ লাভ করতে পারে।  

চতুর্থ শিল্প বিপ্লব, জলবায়ু পরিবর্তন এবং দ্রুত প্রযুক্তিগত অগ্রগতির জন্য বিশ্ব ব্যাপী স্থাপত্য পেশা একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। উন্নত দেশগুলোতে স্থপতিরা এখন দক্ষ এবং উদ্ভাবনী ডিজাইনের জন্য এআই এবং রোবোটিক্সের মতো অত্যাধুনিক সরঞ্জাম ব্যবহার করেন। টেকসই স্থাপত্য যেমন অবিচ্ছেদ্য হয়ে উঠেছে তেমনি পরিবেশবান্ধব অনুশীলন এবং স্থিতিস্থাপক স্থাপত্যের দিকেও ঝুঁকে পড়ছে বিশ্ব। থ্রিডি প্রিন্টিং ও অন্যান্য স্মার্ট উপকরণের ব্যবহারের প্রসার বাড়াছে যা নির্মাণ পদ্ধতিতে এনেছে প্রভূত উন্নয়ন। প্রাকৃতিক ও ভৌত পরিবেশের রক্ষক হিসেবে স্থপতিরা একটি টেকসই, স্থিতিস্থাপক এবং প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত ভবিষ্যৎ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ কারণেই স্থপতিদের এখন আন্তঃবিভাগীয় সহযোগিতা, প্রযুক্তি সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান, টেকসই নির্মাণকাজ, স্থায়িত্ব এবং বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ একান্ত প্রয়োজন। এমন প্রেক্ষাপটে নতুন করে ভাবতে হবে বাংলাদেশে বহুযুগ ধরে চলে আসা স্থাপত্য চর্চা নিয়ে।

আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কি আদৌ যুগোপযোগী? তরুণ স্থপতিদের কি উন্নত প্রশিক্ষণের প্রয়োজন? যদি সে প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়ে থাকে তবে কোন কোন বিষয়ে জোরারোপ করতে হবে? কী কী পদক্ষেপ নিতে হবে? এ সম্পর্কিত দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবেই বা কারা দায়িত্ব পালন করবে? শুধুই বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট নাকি সমন্বিত উদ্যোগ, কৌশল, উদ্যোগ ও পরিকল্পনা গ্রহণ করা প্রয়োজন? এসব বিষয়গুলো ভাবার এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার উপযুক্ত সময় কিন্তু এটাই। 

বাস্থই ভবনের নকশা ও এ সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়, পরিবেশ ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণের আয়োজন করে থাকে। এসব প্রশিক্ষণ ছাড়াও অন্যান্য কিছু আন্তঃবিভাগীয় বিষয়ের ওপরও উন্নত প্রশিক্ষণের সুযোগ বাস্থইতে রয়েছে যা একেবারে তরুণ ও তুলনামূলক অভিজ্ঞ স্থপতিদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে যথেষ্ট সহায়ক ভূমিকা রাখছে। 

কিন্তু নতুন দিনের চাহিদা মেটানোর জন্য পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য প্রয়োজন সামগ্রিক একটি পদক্ষেপ যা শুধু বাস্থইয়ের বা সরকারি বা বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর একক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না, উপরন্তু সব অংশীজনের ওপরই দায়িত্ব বর্তায়। এসব অংশীজনের মধ্যে আছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন, স্থাপত্য অধিদফতর, গৃহায়ন ও গণপূর্ত অধিদফতর, পরিবেশ অধিদফতর, বন বিভাগ, সিটি করপোরেশন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, নগর উন্নয়ন অধিদফতর, বাংলাদেশ রফতানি কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ (বেজা), সড়ক ও জনপথ বিভাগ, স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষ ইত্যাদি। এ ছাড়াও বেসরকারি খাতে অংশীজন হলো-সাধারণ ক্লায়েন্ট, ডেভেলপার, শিল্প ক্ষেত্র, নির্মাণ ক্ষেত্র ইত্যাদি। সুতরাং নবীন স্থপতিদের দক্ষতা বৃদ্ধির কাজটিতে পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নে এগিয়ে আসবার দায়িত্ব কম-বেশি সব সংস্থারই। কারণ স্থাপত্যের সুবিধাভোগী হলো-মানুষ, সমাজ, পরিবেশ ও রাষ্ট্র। একটি বৃহদায়তন প্রকল্প থেকে শুরু করে যেকোনো প্রকল্পের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত যে শ্রম, মেধা ও সময় একজন স্থপতি ব্যয় করেন তার অন্যতম প্রধান সিবিধাভোগী হলো-সমাজের মানুষ। মানুষকে নিয়েই রাষ্ট্র ও সমাজ। একটি পরিকল্পিত রাষ্ট্র গড়তে তাই তরুণ স্থপতিদের দক্ষতা বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। এবার একটু বিশদে দেখা যাক দক্ষতা বৃদ্ধির কাজটি কী কী কৌশল অবলম্বনের মাধ্যমে পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করা যেতে পারে। 

স্থাপত্য শিক্ষার বিদ্যমান পাঠ্যক্রম সংশোধন করতে বিশ্ব বিদ্যালয় এবং পেশাদার সংস্থাগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন। এআই, বিল্ডিং ইনফরমেশন মডেলিং (বিআইএম), ভিআর, টেকসই স্থাপত্য নকশা বা সাস্টেইনেবল ডিজাইন এবং সবুজ প্রযুক্তি বা গ্রিন টেকনোলজির বিভিন্ন উপাত্ত বিকাশে কারিকুলামে পরিবর্তন ও পরিবর্ধন আনা একান্ত প্রয়োজন। শিক্ষক এবং ছাত্রদের জন্য প্রযুক্তি অবকাঠামো এবং প্রশিক্ষণে বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং ব্যবহারিক শিক্ষার সুযোগ প্রদান করতে অগ্রজ স্থপতি ও নির্মাণ শিল্পের সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে অংশীদারত্ব স্থাপন করা প্রয়োজন। এ ছাড়াও উন্নত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের জন্য তরুণ স্থপতিদের জন্য বৃত্তি এবং অনুদানের ব্যবস্থা করতে হবে এবং অভিজ্ঞ পেশাদারদের সঙ্গে তরুণ স্থপতিদের সংযোগ করার জন্য মেন্টরশিপ প্রোগ্রাম স্থাপন করতে হবে। তরুণ স্থপতিদের নিজস্ব প্রতিষ্ঠান শুরু করার জন্য ঋণ এবং বিনিয়োগের সুযোগ দিতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে অংশীদারত্ব্ গড়ে তোলা প্রয়োজন। 

পরিবেশবান্ধব কাঠামো তৈরি করতে স্থপতিদের জন্য নির্দেশিকা তৈরি করা এখন সময়ের দাবি। টেকসই স্থাপত্যের সুবিধা ও এর প্রয়োগ নিয়ে গবেষণা এবং সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান পরিচালনা করা, স্থপতিদের সার্টিফিকেশন অর্জনে সহায়তা করার জন্য সংস্থান এবং উপযুক্ত উপকরণের ব্যবহার সম্পর্কে জ্ঞান বিকশিত করার ক্ষেত্রে বাস্থই ও অন্যান্য অংশীজনের এগিয়ে আসা একান্ত প্রয়োজন। টেকসই উন্নয়নকে উৎসাহিত করে এমন নীতি গ্রহণের জন্য সরকারি সংস্থাগুলোকে জোর দিতে হবে। এ ছাড়াও স্থপতিদের জন্য টেকসই নকশা এবং নির্মাণ অনুশীলনের ওপর কর্মশালা এবং প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম সংগঠিত করতে হবে। 
নগর উন্নয়ন সম্পর্কিত জনসাধারণের পরামর্শ এবং নীতি আলোচনায় অংশগ্রহণ, স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে কথোপকথন এবং সহযোগিতার প্রচারের জন্য সম্মেলন এবং কর্মশালার আয়োজন করার দায়িত্ব বাস্থইর। বর্তমানে এমন ব্যবস্থা চালু থাকলেও এর ব্যাপ্তি আরও বৃদ্ধি করতে হবে। এ ছাড়াও টেকসই উন্নয়ন উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য সরকারি সংস্থা এবং এনজিওগুলোর সঙ্গে অংশীদারত্ব জোরদার এবং স্থাপত্য ও নগর পরিকল্পনার গুরুত্বের ওপর জনসচেতনতামূলক প্রচারাভিযান পরিচালনা করা প্রয়োজন।

বাংলাদেশের স্থাপত্য পেশার বিকাশে এখন তিনটি চ্যালেঞ্জ ও তিনটি সুযোগ-চতুর্থ শিল্প বিপ্লব (৪ওজ), জলবায়ু পরিবর্তন, এবং একটি স্মার্ট বাংলাদেশের রূপকল্প। একজন স্থপতির ছাত্রজীবন থেকে শুরু করে তার পেশার প্রথম তিন বছরকে একটি প্যাকেজ হিসেবে গ্রহণ করে উপরিউক্ত কৌশলগুলো প্রয়োগের মাধ্যমে তাদের দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মানের স্থাপত্যশিল্পের জন্য প্রস্তুত করতে হবে। আশা করা যায় এসব প্রচেষ্টার মাধ্যমে পেশাটি প্রযুক্তিগতভাবে আরও উন্নত, স্থিতিস্থাপক (রেজিলিয়েন্ট) এবং টেকসই পরিবেশ তৈরি করতে সক্ষম হবে, যা শুধু তরুণ স্থপতি নয় বরং সমগ্র সমাজ, দেশ, জাতি, পরিবেশ ও পুরো পৃথিবীর ওপর ইতিবাচক প্রভাব রাখবে। নতুন বছরে তরুণ সতীর্থদের জন্য একটি দক্ষ পেশাজীবন-এই হোক আমাদের কামনা ও প্রচেষ্টা।

স্থপতি ও নগর পরিকল্পনাবিদ 

সময়ের আলো/আরএস/





https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close