ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

ব্রিজ ধসে যোগাযোগে অচলাবস্থা দুই গ্রামে
প্রকাশ: রবিবার, ২৮ জুলাই, ২০২৪, ২:৫২ এএম  (ভিজিট : ২৪২)
পাহাড়ি ঝিরির খরস্রোতে ভেসে গেছে প্রায় দুই যুগ আগে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশনের দেওয়া ব্রিজ। দুই যুগ আগের ছোট ঝিরিটি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিণত হয়েছে গভীর খাদে। ফলে পারাপারে বিঘ্ন ঘটেছে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী পাহাড়ি গ্রাম আন্দারুপাড়া ও খলচন্দার প্রায় আড়াইশ পরিবারের। দুর্ভোগে পড়েছে এসব পরিবারের নারী-পুরুষসহ শিক্ষার্থীরা। দফায় দফায় পাহাড়ি ঢলে বিধ্বস্ত ব্রিজটি নির্মাণে এক বছর আগে প্রস্তাবনা পাঠানো হলেও আসছে না অনুমোদন ও বরাদ্দ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০০২ সালের দিকে সীমান্তের বারমারী বাজারের সন্নিকটে বুরুঙ্গা চেল্লাখালী ব্রিজ সংলগ্ন চৌরাস্তা থেকে আন্দারুপাড়া গ্রামের পাহাড়ি অংশ ও কোচপল্লী খলচন্দা গ্রামের মানুষের যাতায়াত সুবিধার্থে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন বক্স কালভার্ট জাতীয় একটি ছোট ব্রিজ নির্মাণ করে দেয়। এটি নির্মাণের ফলে পাহাড়ে বসবাসরত অধিবাসীদের যাতায়াতে সুবিধা বাড়ে।

কিন্তু বছরের পর বছর ধরে পাহাড়ি ঝিরি দিয়ে ঢলের সময় প্রবল স্রোত প্রবাহিত হয়ে তা গিয়ে পড়ে পাশের চেল্লাখালী নদীতে। এর ফলে ঝিরিটি ক্রমেই গভীর খাদে পরিণত হয়। অন্যদিকে গত কয়েক বছরে বালুবাহী ভারী ট্রাক চলাচলের ফলে ব্রিজে চাপ পড়ে অধিক। এসব নানা কারণে গত তিন বছর আগেই ব্রিজটি চলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে পড়ে।

স্থানীয়ভাবে পাইলিং করে মাটি কেটে ব্রিজের দুই পাশ মেরামত করে কোনোমতে চলাচল স্বাভাবিক রাখা হয়। গত বছর বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ি ঢলে বাড়ে ঝিরির গভীরতা। ফলে ব্রিজটি দেবে গিয়ে চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এমতাবস্থায় চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দ থেকে সরু আকারে একটি স্টিল ব্রিজ নির্মাণ করা হয় ঝিরির ওপর।

কিন্তু চলতি বর্ষায় পুনরায় পাহাড়ি ঢল নামলে ঝিরিটি এতটাই গভীর হয়ে পড়ে যে, আগের দেবে যাওয়া পাকা ব্রিজ সম্পূর্ণ দেবে যায় এবং স্টিল ব্রিজটি ভেসে যায়। ফলে একেবারেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে যোগাযোগব্যবস্থা।

আন্দারুপাড়া গ্রামের বাসিন্দা জমির উদ্দিন জানান, ব্রিজটি চার-পাঁচ বছর ধরে ভেঙে রয়েছে। এর মধ্যে গত দুই-তিন বছরে একেবারেই বিধ্বস্ত। ফলে চলাফেরা, ধান-চাল আনা নেওয়া থেকে শুরু করে যাবতীয় জিনিসপত্র আনা-নেওয়া করতে পারি না। পানি থাকলে হাট-বাজার করতে পারি না। পানি কমলে চলাচল করতে হয়। সন্তানদের কাঁধে করে পার করে দিতে হয়।

একই গ্রামের আনোয়ার হোসেন জানান, পসবচেয়ে সমস্যা হয় ছোট ছোট বাচ্চাদের। তারা স্কুল-মাদরাসায় যেতে পারে না। আমরা না হয় কোনো উপায়ে পার হতে পারি। তারা তো পারে না।

একই গ্রামের রফলা চাম্বুগং জানান, বৃষ্টি হলে ঝিরি ভরে যায়। আড়াইশ পরিবারের রাতে-দিনে চলাফেরা কষ্ট হয়। ছেলেমেয়েরা চলাফেরা করতে পারে না।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবদুল হান্নান জানান, এখানে বক্স কালভার্ট নির্মাণ করলে টিকবে না। তাই গত বছর ব্রিজটি দেবে যাওয়ার পর পাইলসহ একটি গার্ডার ব্রিজের প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। আশা করছি এ অর্থবছরের মধ্যেই অনুমোদন আসবে।

সময়ের আলো/আরএস/ 




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close