চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার পশ্চিম সহদেবপুর ও পালাখাল মডেল ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার মানুষকে একটিমাত্র গ্রামীণ কাঁচা রাস্তার কারণে বছরের পর বছর চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। গ্রামে চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি নিয়ে মানুষের দুর্ভোগ সীমাহীন। মাত্র দেড় কিলোমিটার এ কাঁচা সড়ক পাকাকরণের কাজ পান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স আশ্রাফ এন্টারপ্রাইজ। কিন্তু ওই সড়কে নামমাত্র বালি ও ইটের টুকরো ফেলে আর কাজ করেনি। এতে ওই এলাকার মানুষের যাতায়াতের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বন্ধ রয়েছে বক্সগঞ্জ-সেঙ্গুয়া সড়কের কাজ।
জানা যায়, কচুয়া উপজেলা সদর থেকে ৯ কিলোমিটার দূরে বক্সগঞ্জ গ্রামে অবস্থিত ইউনিয়ন ভূমি অফিস। দু’ইউনিয়নের মানুষের ইউনিয়ন ভূমি সেবা নিতে আসেন এই সড়ক দিয়ে। কিন্তু এই গ্রামে চলাচলের প্রধান রাস্তাটি এখনো কাঁচা। রাস্তা দিয়ে গ্রামে যাওয়া আসা করতে গিয়ে বর্ষা মৌসুমে প্রতিদিনই গ্রামবাসীকে ফেলতে হয় দীর্ঘশ্বাস। দেশে রাস্তাঘাটের উন্নয়ন ঘটলেও তার ছোঁয়া এই গ্রামে লাগেনি। যে কারণে প্রতিদিন ২০ হাজার মানুষকে পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ। ওই রাস্তার পাশে রয়েছে দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইউনিয়ন ভূমি অফিস ও ১০টি মসজিদ ও দুটি বাজার। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিশাল জনগোষ্ঠীর চলাচলের জন্য একটিমাত্র রাস্তা থাকলেও তা চলাচলের প্রায় অযোগ্য।
স্থানীয় অধিবাসী গোলাপশাহ,মহিউদ্দিনসহ একাধিক লোকজন জানান, স্বাধীনতার পূর্ব থেকেই এ গ্রামের মানুষ হেঁটে এবং নৌকায় যাতায়াত করতেন। কিন্তু একটু বৃষ্টি হলেই এ রাস্তা দিয়ে চলাচল বিপজ্জনক হয়ে পড়ে। তবুও প্রয়োজনের তাগিদে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে চরম ভোগান্তিতে প্রতিনিয়ত পড়ছে গ্রামবাসী। তবে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এ রাস্তা পাকাকরনের কাজ পেলেও তা এখনো করেনি। এ সড়কের কাজ বন্ধ করে অন্য সড়কের কাজ করছে বলে শুনেছি। তবে দ্রুত রাস্তাটি পাকাকরনের দাবি আমাদের।
যানবাহন চালকরা জানান, দুটি ইউনিয়নের বক্সগঞ্জ-সেঙ্গুয়া গ্রামের একমাত্র চলাচলের জন্য আর কোনো রাস্তা নেই। এতে মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বর্ষাকালে একটু হালকা বৃষ্টি হলেই রাস্তায় কাদামাটি ও পিচ্ছিলসহ বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়। দিনের বেলায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমাদের যাতায়াত করতে হয়। গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটি দ্রুত মেরামত করার দাবি জানান তারা।এ বিষয়ে ঠিকাদারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
কচুয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুল আলীম লিটন জানান, কচুয়ার বক্সগঞ্জ-সেঙ্গুয়া সড়কের কাজ পাকাকরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। ঠিকাদার অন্যত্র কাজ করায় একটু দেরি হয়েছে। আশাকরছি কিছুদিনের মধ্যে কাঁচা সড়ক পাকাকরনের কাজ শুরু করা হবে।
সময়ের আলো/এএ/