ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

মধ্যরাতে শেষ হলো সমুদ্রে মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা
প্রকাশ: বুধবার, ২৪ জুলাই, ২০২৪, ৪:৩৭ পিএম  (ভিজিট : ২২৪)
মাছের প্রজনন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারিভাবে মাছ শিকারের ওপর দেওয়া নিষেধাজ্ঞা শেষ হয় মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে। এখন মাছ শিকারে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত নোয়াখালী ও হাতিয়ার লক্ষাধিক জেলে। গতকাল সকাল থেকে জেলেরা নৌকা ও ট্রলারে জাল তুলে নিতে শুরু করেন। অনেকে শেষ প্রস্তুতি হিসেবে জ্বালানি তেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামাল নিয়ে নেন।

সরকার প্রতি বছর এই সময় এলে গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এই বছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা ছিল। এই ৬৫ দিন গভীর সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ও পরিবহন বন্ধ ছিল। এ সময় গভীর সমুদ্রে নৌ পুলিশ, কোস্ট গার্ড ও মৎস্য অফিস দায়িত্ব পালন করে।

হাতিয়া সূর্যমুখী ঘাটের মৎসজীবী সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক জানান, সরকারের নিষেধাজ্ঞা মেনে এবারও জেলেরা গভীর সমুদ্রে মাছ ধরা থেকে বিরত ছিল। রাতে নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হয়েছে। জেলেরা এখন পুরোদমে মাছ শিকারের সুযোগ পাবে। এ জন্য জেলে পল্লীতে আনন্দ বিরাজ করছে। অনেকে মাঝি-মাল্লা নিয়ে ট্রলারে অবস্থান করেন। রাত ১২টার পরপরই সাগরে চলে যান মাছ শিকারের জন্য।

হাতিয়ার মোহাম্মদ আলী ঘাটের এমবি মায়ের দোয়া ট্রলারের জেলে নবির উদ্দিন জানান, ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকায় বেকার ছিলেন। অনেক ট্রলার হাতিয়ার চারপাশ ও মেঘনা নদীতে মাছ ধরে কিছুটা উপার্জন করেছে। তাদের ট্রলারটি অনেক বড় হওয়ায় ছোট নদীতে মাছ শিকারে যেতে পারেননি। এতে ৬৫ দিন ঘাটে বেকার সময় পার করতে হয়েছে। মাঝেমধ্যে অন্যান্য মাছ ধরার ট্রলারে জাল বোনার (দৈনিক চুক্তিভিত্তিক) শ্রমিক হিসেবে কাজ করে দৈনন্দিন ব্যয় মিটিয়েছেন। কিন্তু ভালোভাবে চলতে পারেননি। তিনি আরও জানান, সরকার ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞায় হাতিয়াতে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে চাল বিতরণ করেছে। কিন্তু জেলে হিসেবে নিবন্ধন না থাকায় কোনো সহযোগিতা পাননি তিনি।

হাতিয়া ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি রাশেদ উদ্দিন জানান, হাতিয়াতে ছোট-বড় প্রায় ১০ হাজার জেলে নৌকা আছে যারা গভীর সমুদ্রে গিয়ে মাছ শিকার করে। ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞায় এসব জেলে নৌকার লক্ষাধিক জেলে বেকার সময় পার করছেন। এদের অনেকেই অনাহারে-অর্ধাহারে থাকতে হয়েছে। এ সময় জেলেদের প্রণোদনা হিসেবে সরকারিভাবে যে চাল দেওয়া হয়েছে তা অনেক কম। হাতিয়াতে এক লাখের বেশি মানুষ এ পেশার সঙ্গে জড়িত। চাল দেওয়া হয়েছে ৫ হাজার জেলেকে।

এই বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফাহাদ হাসান জানান, মঙ্গলবার রাত ১২টার পর জেলেরা গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারের সুযোগ পায়। ৬৫ দিনের এই নিষেধাজ্ঞায় হাতিয়াতে ৪ হাজার ৮৭৬ পরিবারকে ৫৬ কেজি করে চাল দেওয়া হয়। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে দেওয়া তালিকা অনুযায়ী এই চাল বিতরণ করা হয়। এটি প্রথম ধাপ। দ্বিতীয় ধাপে সমপরিমাণ জেলেকে অনুরূপভাবে চাল দেওয়া হবে। তবে দ্বিতীয় ধাপের বরাদ্দ এখনও পাওয়া যায়নি। হাতিয়াতে এক লাখের বেশি জেলে রয়েছে। এর মধ্যে নিবন্ধিত জেলে প্রায় ২২ হাজার।

সময়ের আলো/জিকে




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close