হাঁকডাকে সরগরম চাঁদপুরে ইলিশের বাজার

পরিবহন সংকটে বিক্রি কম

প্রকাশ: বুধবার, ২৪ জুলাই, ২০২৪, ৩:২২ পিএম (ভিজিট : ৩০৮)

মৌসুম শুরু হলেও গত কয়েকদিন ইলিশের বাজার ছিল নিম্ন। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে আমদানি বাড়ায় চাঁদপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র সরগরম হয়ে উঠেছে ইলিশ বাজার। যদিও কারফিউ প্রভাবে ক্রেতা সংকট চাঁদপুর বড়স্টেশন মাছঘাটে।

বুধবার (২৪ জুলাই) দুপুরে শহরের বড় স্টেশন মাছঘাটে গিয়ে দেখা গেছে ব্যবসায়ী-শ্রমিকদের হাকডাকে সরব ইলিশ ঘাট। প্রতিদিন দেড়শ থেকে ২০০ মণ ইলিশ সরবরাহ হচ্ছে। তবে কারফিউর কারণে গত কয়েকদিন মাছঘাটে আসা ইলিশ দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠাতে পরিবহন সংকটে পড়েন ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ী নবির হোসেন জানান, চলমান পরিস্থিতি ও কারফিউর কারণে গত কয়েকদিন ইলিশের আমদানি হলেও দেশের পরিবহন সংকটে অন্যান্য জেলাগুলোতে ইলিশ পাঠানো সম্ভব হয়নি এবং ব্যবসায়ীরাও আসতে পারেনি। কারফিউর কারণে অনেক পরিবহন মালিক তাদের গাড়ি ভাড়ায় চালাতে নারাজ। বর্তমানে ইলিশের ৮শ থেকে ৯শ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতিকেজি ১৩০০ থেকে ১৪০০ টাকা এক কেজি ওজন ও এর চাইতে বেশি ওজনের প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ থেকে ১৭০০ টাকা।

ঘাটে মাছ ক্রয় করতে আসা ক্রেতা হানু চন্দ্র দাস বলেন, ঘাটের কয়েকটা আড়ত ঘুরে দেখেছি লোকাল ও আমদানি সব ইলিশেরই দাম বেশি। সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে ইলিশের দাম।

হাজীগঞ্জ থেকে আসা ক্রেতা মামুন ও মোজাম্মেল বলেন, আমরা ইলিশের বাড়ি চাঁদপুরের বাসিন্দা হলেও ইলিশের স্বাদ নিতে পারি না। কারণ কয়েকটি খুচরা দোকানে ইলিশ দেখে মনে হলেও আমাদের কেনার সাদ্য নেই। দামদর করছি যদি মিলে যায় তাহলে কিনবো।

চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির সভাপতি আবদুল বারী জমাদার মানিক বলেন, গত বছর ইলিশের মৌসুমের এই সময় আড়াই থেকে ৩ হাজার মণ ইলিশ আমদানি হয়েছে। কিন্তু এবার অনেক নিছে চলে এসেছে ইলিশের আমদানি। এখন প্রতিদিন স্থানীয় পদ্মা-মেঘনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের গড়ে দেড়শ থেকে ২২০ মণ ইলিশ আমদানি হচ্ছে। ইলিশের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ভাবতে হবে।

চাঁদপুর সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম জানান, চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় বছর জুড়েই জেলেরা ইলিশ পায়। এখন ভরা মৌসুম হলেও সামনে ইলিশের আমদানি বাড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। হতাশ হওয়ার কিছু নেই।

সময়ের আলো/আরআই