ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

নগরায়ণ বৃদ্ধির সঙ্গে বাড়ছে দুর্যোগের ঝুঁকি
প্রকাশ: বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪, ১:৪৬ এএম আপডেট: ১৭.০৭.২০২৪ ৭:৫৩ এএম  (ভিজিট : ২৬৯)
নগরায়ণ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শহরাঞ্চলে দুর্যোগের ঝুঁকিও বাড়ছে দিনে দিনে। আর নগর যদি অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠে তা হলে দুর্যোগ ঝুঁকি বেড়ে যায় বহুগুণ। নগরাঞ্চলে সংঘটিত প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে সর্বাপেক্ষা বিপজ্জনক হলো ভূমিকম্প। কারণ নগরে খোলা জায়গা কম, জনবসতির আধিক্য এবং সেই অধিক জনঘনত্বের আবাসন, কর্ম, শিক্ষা, চিকিৎসা ও অন্যান্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য অনেক বহুতল ভবন তৈরি করতে হয়।

পরিকল্পিত নগরগুলোতে ভূমিকম্প, সুনামি, ঝড় ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা মাথায় রেখেই নগর পরিকল্পনা করা হয় এবং নগরের ভবনগুলোও দুর্যোগ সহনীয় করেই নকশা করা হয়। তাই উচ্চমাত্রার ভূমিকম্পেও মানুষ নিরাপদ থাকে অনেকটাই, প্রাণহানিও হয় অনেক কম। কিন্তু নগর যদি হয় আমাদের রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম বা অন্যান্য বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোর মতো অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠে তবে ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগে প্রাণহানি ও অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে যায় বহুগুণ।

ভূমিকম্প হলো সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক প্রাকৃতিক বিপদ যা যেকোনো সময় ঘটতে পারে কোনো সতর্কতা ছাড়াই এবং ভবন, অবকাঠামো এবং সর্বোপরি ধ্বংস করতে পারে মানুষের বসতি, জন্ম দেয় ট্র্যাজেডি। আমাদের রাজধানী ঢাকা ও অন্যান্য শহরগুলো রয়েছে ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকিতে। বলা হয়ে থাকে ৬.৫ মাত্রার ভূমিকম্পে ঢাকা শহর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হবে। এটি যে শুধু গবেষকদের আশঙ্কা তা কিন্তু নয়। প্রতিনিয়ত অপরিকল্পিত নগরায়ণ আমাদের ঠেলে দিচ্ছে নিশ্চিত মৃত্যুর দিকে। আজকের এ প্রবন্ধটিতে আমরা ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগ সহনীয় নগরের বৈশিষ্ট্য, বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ সংক্রান্ত নীতিমালা আইন সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব।

যেকোনো দুর্যোগের ক্ষেত্রে দুটি বিষয় মেনে চলা হয়; দুর্যোগ পূর্ব প্রস্তুতি বা ডিজাস্টার প্রিপেয়ার্ডনেস ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বা ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট। প্রথমটির অর্থ হলো যেকোনো দুর্যোগের জন্য আমরা আসলে অবকাঠামোগতভাবে কতটা টেকসই অবস্থানে রয়েছি। আর দ্বিতীয়টি হলো দুর্যোগ পরবর্তী ব্যবস্থাপনা যার মধ্যে পড়ে দ্রুত উদ্ধারকাজ শুরু করা, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা চালু করা, ত্রাণ বিতরণ ইত্যাদি।

প্রথমেই আসা যাক ভূমি ব্যবহার পরিকল্পনার বিষয়টিতে। দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে যথোপযুক্ত ভূমি ব্যবহার পরিকল্পনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। নগর পরিকল্পনার ভাষায় একে বলা হয় ‘রিস্ক সেনসেটিভ ল্যান্ড ইউজ প্ল্যানিং’। এই পদ্ধতির কিছু উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো এতে দুর্যোগ ঝুঁকি মোকাবিলা ও প্রশমন বিষয়টিকে নগর বা অঞ্চল পরিকল্পনার একেবারে শুরু থেকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ ক্ষেত্রে ভূমিকম্পের তথ্য বিশ্লেষণ করে সঠিক ঝুঁকি শনাক্তকরণের মাধ্যমে তা পরিকল্পনা প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

এ ক্ষেত্রে ভূমি ব্যবহার কেমন হবে, রাস্তার প্রস্থ কতটা হবে, ভবনের ধরন, উন্মুক্ত স্থানের অবস্থান এবং সর্বোপরি জনঘনত্বের বিষয়টি অবশ্য বিবেচ্য। ঢাকা ও দেশের অন্যান্য শহরগুলোকে ভূমিকম্প ঝুঁকি থেকে বাঁচাতে হলে রিস্ক সেনসেটিভ ল্যান্ড ইউজ প্ল্যানিংয়ের নীতিমালা অনুসরণ ও বাস্তবায়নের কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আমাদের দেশে নগর পরিকল্পনার ক্ষেত্রে দুর্যোগ মোকাবিলার বিষয়টি মাথায় রাখা হয় কম। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ভূমি ব্যবহারের পরিকল্পনার প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রিত এবং মোটামুটি কঠোর। এ ধরনের পরিকল্পনা ভূমিকম্পের মতো ভয়াবহ দুর্যোগ ঝুঁকি প্রশমনে তেমন বিশেষ গুরুত্ব রাখতে পারে না এবং আমাদের নগরগুলোর ক্ষেত্রে হচ্ছেও তাই। এ ক্ষেত্রে সমন্বিত পরিকল্পনা অত্যন্ত প্রয়োজন। কিন্তু আমাদের দেশে বিভিন্ন সেক্টরগুলো একে অন্যের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ও সম্পূরক হলেও এদের কার্যপদ্ধতি ও বাস্তবায়নে দেখা যায় সমন্বয়হীনতা। ফলে নগরগুলোও গড়ে ওঠে অপরিকল্পিতভাবেই। 

উদাহরণস্বরূপ বলা যায় আমাদের সড়কগুলোর কথা। রাজপথ ও অন্যান্য মধ্যবর্তী সড়ক যেগুলো পরিকল্পিতভাবে তৈরি করা হয়েছে প্রশস্ততা ও উপযোগিতার বিচারে সেগুলো ঠিকঠাক থাকলেও বেশিরভাগ রাস্তাই অপরিকল্পিত তথা অপ্রশস্ত। এ ক্ষেত্রে বলা যেতে পারে, ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ২০০৮-এর বিধি মোতাবেক রাস্তার দৈর্ঘ্য ন্যূনতম ৯ ফুট (২.৭৫ মিটার) না হলে কোনো স্থাপনা নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হবে না। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে জমির মালিককে নির্দিষ্ট পরিমাণ জমি ছেড়ে রাস্তা প্রশস্ত করার জায়গা করে দিতে হবে। ভূমিকম্প বা অগ্নিনির্বাপণের ক্ষেত্রে সড়ক প্রশস্ততা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যদিও পরবর্তীতে ঢাকা বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা ২০২২-২০৩৫ এ এ বিধানকে শিথিল করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে ২.৭৫ মিটারের কম প্রশস্ত রাস্তার পাশেও বহুতল ভবন নির্মাণ করা যাবে, যা একটি ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগ প্রশমনের ক্ষেত্রে বিরাট অন্তরায়।

ঢাকা ও অন্যান্য শহরের জন্য একেবারে শুরু থেকেই পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহের যে ব্যবস্থা চালু আছে তা ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। ভূমিকম্পের ফলে পাইপলাইন ফেটে গিয়ে অগ্নিকাণ্ডের মতো দুর্ঘটনা শুধু যে জানমালের ক্ষতি করবে তাই নয়, ঘটাবে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়। সেভাবে দেখলে এ গ্যাস পাইপলাইনগুলো আমাদের নগরগুলোর নিচে ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরির মতো। এখন দেখার বিষয় হলো ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগের জন্য আমরা আসলে কতটা প্রস্তুত। এ কথা সহজেই অনুমেয় যে, অপরিকল্পিতভাবে নগরায়ণের উচ্চ হারের কারণে শহরগুলোতে ভূমিকম্পের ঝুঁকি বাড়ছে। জনঘনত্ব, ত্রুটিপূর্ণ ভূমি ব্যবহার পরিকল্পনা, দুর্বল নির্মাণ অনুশীলন, অপর্যাপ্ত পরিকাঠামো, পরিষেবার বিধান এবং পরিবেশগত অবনতি ইত্যাদি।

ভূমিকম্পের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় অনেকটা। উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় স্থাপনা নির্মাণ ও নগরায়ণের জন্য ভূমিকম্পের ঝুঁকিও বেড়ে যায় অনেকাংশেই। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা হলো অর্থনীতি, বাণিজ্য, রাজনীতি ইত্যাদির কেন্দ্রবিন্দু।

যদিও নিকট অতীতে ঢাকা শহরে মাঝারি থেকে বড় কোনো ভূমিকম্প আঘাত হানেনি, এটি প্রায় সারা বছরই ছোটখাটো কম্পন অনুভব করেছে যা অঞ্চলটিকে ভূমিকম্পগতভাবে সক্রিয় নির্দেশ করে। কিন্তু ঢাকা শহর যেভাবে গড়ে উঠেছে তাতে ভূমিকম্পে দুর্যোগ ঝুঁকি কল্পনাতীত।

নগর পরিকল্পনার প্রথম ধাপ হলো ভূমি ব্যবহার এলাকা ও ভূমি ব্যবস্থাপনা। সঠিক ল্যান্ড ইউজ প্ল্যানিংয়ের মাধ্যমে ভবনগুলো জোন মোতাবেক স্থাপিত হয়। এরপর আসে রাস্তাঘাট। ঢাকা শহরে রাস্তার পরিমাণ অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের তুলনায় অনেক কম। পুরান ঢাকা তো বটেই সমগ্র ঢাকা শহরের বেশিরভাগ জায়গাতেই রাস্তার পরিমাণ কম এবং রাস্তাগুলো যথোপযুক্ত প্রশস্তও নয়। উপরন্তু ঢাকাসহ অন্যান্য অঞ্চলের বহুতল ভবনগুলোর একটা বড় অংশ যথাযথ নিয়ম মেনে তৈরি হয়নি বলে সেগুলো কাঠামোগতভাবে দুর্বল হয়ে থাকে। এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে দুর্বল কাঠামো দুর্যোগ, বিশেষ করে ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগে প্রাণহানি ও সম্পদহানির ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় বহুগুণে। এ ছাড়াও ঢাকাসহ আমাদের অন্যান্য শহরগুলোতে পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ করা হয়ে থাকে যা ভূমিকম্প হলে ফেটে গিয়ে ঘটাতে পারে অগ্নিকাণ্ডের মতো ভয়াবহ বিপর্যয়। সুতরাং দেখা যাচ্ছে নগর পরিকল্পনা ও স্থাপনা নির্মাণের দিক থেকে আমরা ভূমিকম্পের ভয়াবহতা মোকাবিলার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত নই।

সবার শেষে আসছে ভবনের স্থাপত্য ও নির্মাণ প্রযুক্তির কথা। ভূমিকম্প মোকাবিলায় টেকসই ভবনের কোনো ব্যত্যয় নেই। কিন্তু এটি অত্যন্ত হতাশাজনক যে, ঢাকাসহ অন্যান্য শহরে ভূমিকম্পের বিষয়টি বিবেচনায় রাখা হয়নি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভূমি মালিকরা স্থপতি ও প্রকৌশলীদের ওপর আস্থা রাখেন না এবং সামান্য কিছু অর্থ সাশ্রয়ের জন্য নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার ও রডের পরিমাণ কমিয়ে ভবন নির্মাণ করেন। আবার সরু রাস্তার ওপর বহুতল নির্মাণ করাও একটি নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা আজকাল। নিয়মবহির্ভূতভাবে নির্মিত এসব ভবনের বৈধতা দেওয়া হয় সম্পূর্ণ অবৈধ ও বেআইনি প্রক্রিয়ায়। তাই কাগজে-কলমে ভবনগুলো নিরাপদ হলেও আদতে সেগুলো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এ কথা ভাবতেও ভয় হয় যে একটি মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প কি বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ গাজিয়ানতেপে ঘটে যাওয়া ভূমিকম্পে ২০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যম নিশ্চিত করছে যে, সে অঞ্চলের ভবনগুলো আধুনিক স্থাপনা নির্মাণের নীতিসমূহ তো মেনে চলেইনি, উলটো বেআইনি প্রক্রিয়ায় অবৈধ ভবনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

অনেকের মনেই একটা ভুল ধারণা আছে যে, হাইরাইজ বিল্ডিং বা উঁচু ভবন মানেই ভূমিকম্পের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া। এটি সম্পূর্ণ ভুল। ভবনের আয়ু উচ্চতার ওপর না, তার শক্তিশালী কাঠামো, যথোপযুক্ত নির্মাণশৈলী ও উন্নত নির্মাণ প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করে আর সঙ্গে তো মানসম্পন্ন নির্মাণসামগ্রী আছেই।

ভূমিকম্প ও অন্যান্য দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকার বেশ কিছু নীতিমালা গ্রহণ করেছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা ২০২১-২০২৫, দুর্যোগ বিষয়ক স্থায়ী আদেশাবলি-২০১৯, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন ২০১২, দ্রুত পুনরুদ্ধার দিকনির্দেশনামূলক মূল নীতিমালাগুলো। এ ছাড়াও ভূমিকম্পের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় প্রণয়ন হয়েছে আর্থ কোয়েক কন্টিনজেন্সি প্ল্যান ২০১৯। সরকারি উদ্যোগে গড়ে তোলা হচ্ছে দক্ষ স্বেচ্ছাসেবক দল। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কারিগরি দক্ষতা বাড়িয়ে তোলা হচ্ছে। কিন্তু এসব উদ্যোগই ব্যর্থ হবে যদি সঠিক নগর পরিকল্পনা, উপযুক্ত উপায়ে স্থাপত্য নির্মাণ করা না হয়। পুরাতন ভবনগুলোকে রক্ষা করার সময় এটিই। বড় মাত্রার ঢাকা মেডিকেল কলেজ একটি আপতকালীন চিকিৎসাকেন্দ্র হিসেবে কাজ করে। সুতরাং এর রেট্রোফিটিং অত্যন্ত জরুরি।

বাংলাদেশ ভূমিকম্পের উচ্চমাত্রার ঝুঁকিতে আছে। আতঙ্ক নয়, প্রয়োজন সতর্ক হওয়া এবং সেভাবে নগরগুলোকে গড়ে তোলা। তা না হলে কে জানে, তুরস্কের মতো এমন মৃত্যুর মিছিলে আমরাও শামিল হব।

লেখিকা: স্থপতি ও নগর পরিকল্পনাবিদ

সময়ের আলো/আরএস/ 




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close