ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

কুড়িগ্রামে বন্যা ৯ উপজেলায় কৃষিতেই ক্ষতি ১০৫ কোটি টাকা
প্রকাশ: সোমবার, ১৫ জুলাই, ২০২৪, ২:১১ পিএম  (ভিজিট : ২৭২)
কুড়িগ্রামে বন্যায় কৃষিতেই ক্ষয়ক্ষতি প্রায় ১০৫ কোটি টাকা। বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় স্পষ্ট হয়ে উঠতে শুরু করেছে এসব ক্ষতচিহ্ন। ক্ষেতের মাচান থাকলেও নেই সবুজ গাছ। পানির নিচ থেকে ভেসে উঠছে পাট, পটল, আমন বীজতলা ও বেগুনসহ বিভিন্ন সবজি ক্ষেত। দ্বিতীয় দফায় দীর্ঘ স্থানীয় বন্যায় জেলার ৯ উপজেলায় শুধুমাত্র কৃষিতেই ক্ষতি হয়েছে ১০৫ কোটি টাকা।

জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৯ উপজেলায় শুধুমাত্র কৃষিতে ৮ হাজার হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল তলিয়ে যায়। এতে ক্ষতি হয়েছে ১০৫ কোটি টাকা। আর ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫০ হাজার।

অপরদিকে বন্যার পানির প্রবল স্রোতে গ্রামাঞ্চলের কাঁচা পাকা সড়কগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন যানবাহনে যাতায়াত করছে এ অঞ্চলের মানুষ জন। এসব গ্রামীণ কাঁচাপাকা সড়ক ও ঘর বাড়ির ক্ষতি নিরূপণে কাজ করছেন সংশ্লিষ্ট দপ্তর।

জেলা সদরের ঘোগাদহ ইউনিয়নের মহীসূন্না এলাকার কৃষক আজগার আলী বলেন, এখনও বাড়ীর চতুর্দিকে পানি আর পানি। আমার এক বিঘা জমির পটলের আবাদ সম্পূর্ণ শেষ হয়ে গেছে। আমন বীজতলা করবো তার জায়গা খুঁজে পারছি না। আমন আবাদও করতে পারবো কিনা তা নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ নেই।

ওই এলাকার আরেক কৃষক সোলায়মান হক বলেন, বানের পানিতে সব সবজি আবাদ ক্ষ্যায়া গেইছে। যে কয়টা সব জমি আছে  তাও এখনো পানির নিচে তলিয়ে আছে। বীজতলা তৈরি করার সময়ও শেষ হয়ে যাচ্ছে। এবার আমাদের এলাকার কৃষক কেমন করে আবাদ করবে এ নিয়ে চিন্তার ভাঁজ এসেছে।

ঘোগাদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল মালেক জানান, দীর্ঘ ১৪/১৫ দিনের বন্যায় এ অঞ্চলে রাস্তা ঘাট, ফসলি জমিসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে কৃষিতেই বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কৃষকদের সংগ্রহ করা বীজও বন্যার পানিতে নষ্ট হয়েছে। সামনে আমনের আবাদ। যাতে করে এ আবাদ সুষ্ঠু ভাবে উঠাতে পারে সে জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতি দাবি জানান।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, এবারের বন্যায় কুড়িগ্রামের ৯টি উপজেলায় কৃষি সেক্টরে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমাদের অফিসের সংশ্লিষ্টরা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা প্রস্তুত করছে। এছাড়াও কৃষকরা যাতে করে নির্বিঘ্নে আমন চাষাবাদ ভালোভাবে করতে পারে সেই দিকে পরামর্শ দিচ্ছি।

কুড়িগ্রাম পাউবো'র নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রাকিবুল হাসান জানান, প্রায় দুই সপ্তাহ পর ব্রহ্মপুত্রসহ জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত ১৬টি নদ নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে এই মুহূর্তে বন্যার কোন পূর্বাভাস নেই বলে জানান এ কর্মকর্তা।


সময়ের আলো/এএ/




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close