ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

গুলিতে রক্তাক্ত ট্রাম্প
রক্তাক্ত ট্রাম্প মঞ্চেই মুষ্টিবদ্ধ হাত উঁচিয়ে বললেন, ‘ফাইট ফাইট ফাইট’
প্রকাশ: সোমবার, ১৫ জুলাই, ২০২৪, ২:১৯ এএম  (ভিজিট : ৩০৬)
১৯৭২ সালে হামলায় মারাত্মকভাবে আহত হয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন অ্যালাবামার গভর্নর জর্জ ওয়ালেস। এর ঠিক ৫২ বছর পর আবারও ভয়াবহ রাজনৈতিক সহিংসতার সাক্ষী হলো যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার ‘হত্যাচেষ্টা’র উদ্দেশ্যে করা গুলিতে রক্তাক্ত হয়েছেন আসছে মার্কিন নির্বাচনের রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। গুলি ট্রাম্পের ডান কান চিড়ে বের হয়েছে। তবে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন শঙ্কামুক্ত ট্রাম্প। হামলায় প্রাণ গেছে এক রিপাবলিকান সমর্থকের, আহত হয়েছেন আরও দুজন। এদিকে সিক্রেট সার্ভিসের গুলিতে নিহত হয়েছেন আততায়ী।

ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের পত্রিকাগুলো একে অন্ধকার দিন আখ্যা দিয়ে খবর প্রকাশ করেছে। ট্রাম্প বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রে এমন হামলা অবিশ্বাস্য। দেশজুড়ে ঐক্যেরও ডাক দিয়েছেন তিনি। এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হামলার পর ট্রাম্পের খোঁজখবর নিয়েছেন। সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তিনি। 

গুলিবর্ষণ করার আগে হামলাকারী বা তার অবস্থান সম্পর্কে কিছুই জানত না যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা  সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)। এই নিরাপত্তা ঘাটতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পরে এফবিআই সন্দেহভাজন হামলাকারীর নাম প্রকাশ করেছে। তাদের দাবি অনুযায়ী, হামলাকারী টমাস ম্যাথিউ ক্রুকস হত্যার উদ্দেশ্যেই এই হামলা চালিয়েছেন। তবে হামলার উদ্দেশ্য সম্পর্কে রোববার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টার দিকে এই খবর লেখা পর্যন্ত মার্কিন প্রশাসন কিছু জানায়নি। গুলির এই ঘটনাকে হত্যাচেষ্টা ধরে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে সিক্রেট সার্ভিস। 

রক্তাক্ত ট্রাম্প: নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের ওপর হামলার সুদীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। এমনকি ১৯৬০ থেকে ১৯৭০-এর দশকে টানা তিন নির্বাচনে প্রার্থীদের ওপর আততায়ীর হামলার ঘটনা ঘটে। এতে একজন প্রেসিডেন্টসহ দুজন নিহত হন। একই সঙ্গে আরেক প্রার্থী বেশ গুরুতরভাবে জখম হয়।
 
রয়টার্স জানিয়েছে, শনিবার রাতে পেনসিলভানিয়ার বাটলারে নির্বাচনি প্রচারের মঞ্চে বক্তব্য দিচ্ছিলেন ট্রাম্প। সে সময় ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। গুলি তার ডান কান ছুঁয়ে যায় এবং তিনি মঞ্চে বসে পড়েন। 

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, তাকে লক্ষ্য করে একাধিক গুলি ছোড়া হয়। ওই মুহূর্তের ভিডিওতে দেখা যায়, গুলির শব্দে নিরাপত্তারক্ষীরা চারপাশ থেকে তাকে ঘিরে ধরেন। এরপর ট্রাম্প যখন আবার উঠে দাঁড়ান, তার কান থেকে গালের পাশ দিয়ে রক্ত গড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। আহত অবস্থায় উঠে দাঁড়িয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে মুষ্টিবদ্ধ হাত আকাশে ছুড়তে দেখা যায়। এ সময় তিনি বলছিলেন, ‘ফাইট! ফাইট! ফাইট!’

ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রচারে থাকা এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, রাইফেল হাতে এক ব্যক্তিকে কাছের একটি ভবনের ছাদে হামাগুড়ি দিয়ে চলতে দেখেছিলেন তিনি। এমনকি নিরাপত্তা বাহিনীকে সতর্কও করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার আগেই গুলি ছুড়তে থাকে হামলাকারী। ট্রাম্পের বক্তব্য শুরুর ৫ মিনিটের মাথায় এরকম দৃশ্য দেখেন তিনি।

হামলাকারীর গুলিতে সমাবেশে আসা এক রিপাবলিকান সমর্থকের প্রাণ যায়। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুজন। পরে এক গোয়েন্দা কর্মকর্তার গুলিতে ওই পুরুষ আততায়ী নিহত হয়েছে বলে সিক্রেট সার্ভিসের এক বিবৃতিতে জানানো হয়। 

এদিকে রয়টার্স লিখেছে, ৭৮ বছর বয়সি ট্রাম্প বক্তৃতা শুরু করার পরপরই গুলির শব্দ পাওয়া যায়। তিনি হাত দিয়ে ডান কান স্পর্শ করেন এবং রক্তে ভেজা হাত দেখে পডিয়ামের পেছনে হাঁটুর ওপর বসে পড়েন। সিক্রেট সার্ভিসের লোকজন তখন চারপাশ থেকে তাকে ঘিরে ধরেন। মিনিটখানেক পর ট্রাম্প যখন উঠে দাঁড়ান, তার মাথার ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ লেখা লাল রঙের টুপি আর জায়গামতো নেই। সিক্রেট সার্ভিসের লোকজন ঘিরে ধরে গাড়িতে তোলার সময়ও ট্রাম্প বলছিলেন, ‘দাঁড়াও দাঁড়াও’।

গুলির পরপর সমাবেশস্থলে যে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল, সেই বিবরণ রয়টার্সকে দিয়েছেন সমাবেশে উপস্থিত ট্রাম্প সমর্থক রন মুস। তিনি বলেন, ‘অন্তত চারটা গুলির শব্দ শুনলাম। দেখলাম, সবাই মাথা নুইয়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করছে। মঞ্চে ট্রাম্পও দ্রুত বসে পড়লেন। সিক্রেট সার্ভিসের লোকজন তখন ঝাঁপিয়ে পড়ল তাকে রক্ষা করার জন্য।’

মুস বলেন, এরপর তিনি এক লোককে দৌড়াতে দেখেন, সামরিক বাহিনীর পোশাক পরা কয়েকজন তাকে ধরার জন্য ছুটছিলেন। এরপর আরও কয়েকবার গুলির শব্দ পাওয়া যায়। তবে কে ওই গুলি ছুড়েছে, তা তিনি বুঝতে পরেননি। এরপর মঞ্চের পেছনের ওয়্যারহাউসের ছাদে স্নাইপার রাইফেলধারীদের অবস্থান নিতে দেখেন তিনি।

ঘটনার পরপরই ট্রাম্পকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তার প্রচারশিবিরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ট্রাম্প শঙ্কামুক্ত। তিনি এখন ভালো আছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদে টেক্সাসের সদস্য রিপাবলিকান নেতা রনি জ্যাকসন বলেছেন, তার ভাতিজা ওই জনসভায় আহত হয়েছেন। ‘একটা গুলি ওর ঘাড় কেটে দিয়ে গেছে। ওর রক্ত ঝরছিল।’

ট্রাম্প ও বাইডেন যা বললেন: পরে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লেখেন, ‘আমাকে গুলি করা হয়েছে। গুলি আমার ডান কানের ওপরের অংশ চিড়ে দিয়ে গেছে। অনেক রক্ত ঝরেছে।’ পরে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া দ্বিতীয় পোস্টে দেশজুড়ে ঐক্যের ডাক দেন ট্রাম্প। তিনি লিখেন, আপনাদের উদ্বেগ এবং প্রার্থনার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ, কারণ একমাত্র ঈশ্বর ছিলেন, যিনি অকল্পনীয় এই ঘটনা ঘটতে বাধা দিয়েছিলেন। আমরা ভয় পাব না, বরং আমাদের বিশ্বাসে স্থিতিশীল থাকব এবং দুষ্টচক্রের মুখোমুখি হব।... এই মুহূর্তে আমাদের ঐক্য আগের চেয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যেন আমেরিকান হিসেবে আমাদের প্রকৃত চরিত্র প্রদর্শন করি, অশুভকে যেন জয়ী হতে না দিই। 

প্রেসিডেন্ট বাইডেন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এ ধরনের সহিংসতার কোনো জায়গা এই আমেরিকায় হবে না। সমগ্র জাতির এক হয়ে এ ঘটনার নিন্দা জানানো উচিত।’

সন্দেহভাজন হামলাকারীর পরিচয় প্রকাশ: মার্কিন গণমাধ্যমের খবরের বরাত দিয়ে রয়টার্স বলছে, হামলাকারীর নাম টমাস ম্যাথিউ ক্রুকস। তার বয়স ২০ বছর। বিবিসির খবর বলছে, হামলাকারী ক্রুকস পেনসিলভানিয়ার বেথেল পার্ক এলাকার বাসিন্দা। বাটলার থেকে এই শহরের দূরত্ব ৭০ কিলোমিটার। 

২০২১ সালের যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল নির্বাচন কমিশনের জমা দেওয়া নথি অনুযায়ী, ক্রুকসের বয়স যখন ১৭ বছর, তখন ‘অ্যাক্টব্লু’ নামের একটি সংগঠনে ১৫ ডলার অনুদান দিয়েছিলেন তিনি। এই সংগঠন বামপন্থি ও ডেমোক্রেটিক পার্টির রাজনীতিবিদদের জন্য তহবিল সংগ্রহ করে থাকে। ক্রুকসের ওই অনুদান ‘প্রোগ্রেসিভ টার্নআউট প্রজেক্ট’ নামের ডেমোক্রেটিক পার্টি সমর্থিত একটি গোষ্ঠীকে দেওয়া হয়েছিল।

এদিকে পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের ভোটারদের তালিকা থেকে জানা গেছে, ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টিরই একজন নিবন্ধিত ভোটার ছিলেন ক্রুকস। আগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছেন ট্রাম্প। এই নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ভোট দেওয়ার জন্য প্রাপ্তবয়স্ক হতেন ক্রুকস। হামলা চালানোর সময় তার হাতে এ আর-১৫ আধা স্বয়ংক্রিয় রাইফেল ছিল বলে বিভিন্ন মার্কিন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।

বাটলার এলাকায় যেখানে ট্রাম্পের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে, সেখান থেকে প্রায় এক ঘণ্টার দূরত্বে বসবাস করতেন ক্রুকস। হামলার পর রোববার যুক্তরাজ্যের ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানিয়েছে, ‘বিশেষ নিরাপত্তার কারণে’ বেথেল পার্ক এলাকার আকাশপথ বন্ধ করে দিয়েছে তারা।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম পিটাসবার্গ ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে বেথেল পার্ক হাইস্কুল থেকে পাস করেছিলেন ক্রুকস। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ম্যাথ অ্যান্ড সায়েন্স ইনিশিয়েটিভ প্রকল্পের আওতায় ‘স্টার অ্যাওয়ার্ড’ হিসেবে ৫০০ ডলার পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। আর নিউইয়র্ক টাইমসের প্রকাশিত একটি ভিডিওতে এক অনুষ্ঠানে তাকে ডিপ্লোমা সনদ নিতে দেখা গেছে।

ক্রুকসের পরিচয় শনাক্তের বিষয়ে এফবিআই কর্মকর্তা রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘হামলাকারীর বায়োমেট্রিক তথ্য সম্পর্কে নিশ্চিত হতে তার ডিএনএ পরীক্ষা করা হচ্ছে। এ ছাড়া তার বিভিন্ন ছবিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

এদিকে ক্রুকসের বাবা ম্যাথিউ ক্রুকস (৫৩) সিএনএনকে বলেছেন, কী ঘটেছে, তা বোঝার চেষ্টা করছেন তিনি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার আগে ছেলের সম্পর্কে কিছু বলতে চান না তিনি। 

প্রশ্নের মুখে গোয়েন্দা ব্যর্থতা: বিবিসি বলছে, সংবাদ সম্মেলনের সময় এফবিআই নিশ্চিত করেছে, গুলি না চালানো পর্যন্ত ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমাবেশের কাছাকাছি একটি ভবনের ছাদে অবস্থানরত হামলাকারী ব্যক্তি থাকার কথা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা জানতেন না। হামলাকারী স্নাইপারের অবস্থান সম্পর্কে এফবিআই আগে থেকে কিছু জানত কি না, একজন সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে এফবিআইয়ের স্পেশাল এজেন্ট কেভিন রোজেক এ কথা বলেন।

বিবিসি বলছে, পেনসিলভানিয়ায় প্রচার সমাবেশে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর হওয়া আক্রমণটি আপাত নিরাপত্তার ত্রুটি সামনে এনেছে এবং কেউ কেউ আক্রমণকারীর সেখানে পৌঁছে যাওয়া এবং হামলার জন্য সিক্রেট সার্ভিসের দিকে আঙুল তুলেছেন। যদিও হামলার পরপরই দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ায় সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই সিক্রেট সার্ভিস এবং অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। কিন্তু অনেকেই এই ঘটনায় প্রশ্ন তুলছেন এবং কেউ কেউ আবার এটিকে সিক্রেট সার্ভিসের ‘সম্পূর্ণ ব্যর্থতা’ বলে অভিহিত করছেন।

ট্রাম্পের ওপর হামলার ঘটনায় হাউস সম্পূর্ণ তদন্ত পরিচালনা করবে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মার্কিন হাউস স্পিকার মাইক জনসন। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেছেন : ‘আমেরিকান জনগণের সত্য জানার অধিকার রয়েছে।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘আমাদের সিক্রেট সার্ভিসের ডিরেক্টর কিম্বার্লি চিটল এবং ডিএইচএস ও এফবিআইয়ের অন্যান্য কর্মকর্তা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমাদের কমিটির সামনে শুনানির জন্য হাজির হবেন।’

এ ছাড়া সিক্রেট সার্ভিস হাউস ওভারসাইট কমিটিকে হামলার বিষয়ে ব্রিফ করতে সম্মত হয়েছে বলেও একজন মুখপাত্র দ্য হিলকে নিশ্চিত করেছেন। আর সিক্রেট সার্ভিসের অবসরপ্রাপ্ত সুপারভাইজার ববি ম্যাকডোনাল্ড রয়টার্সকে বলেছেন, ‘তিনি (ট্রাম্প) খুব শক্তিশালী নিরাপত্তা পান, যা সর্বদা তার সঙ্গে থাকে। কিন্তু তিনি উপলব্ধ বিভিন্ন সম্পদ-সরঞ্জামের সবগুলো পান না। তাই আমি মনে করি এই ঘটনার কিছু দিক রয়েছে, যা তদন্ত করা হবে।’

ববি ম্যাকডোনাল্ড আরও বলেন, ‘সিক্রেট সার্ভিস এখন দেখবে আসলে কী ঘটেছে এবং কীভাবে তারা নিজেদের আরও উন্নত করতে পারে এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে তা নিশ্চিত করার জন্য তাদের প্রতিরক্ষামূলক পদ্ধতিগুলোও উন্নত করতে পারে।’

বাইডেনকে দুষছেন জ্যেষ্ঠ রিপাবলিকানরা: রিপাবলিকান সিনেটর জেডি ভান্সকে ট্রাম্পের রানিংমেট বা পরবর্তী ট্রাম্প প্রশাসনে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে ভাবা হচ্ছে। তিনি বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘হত্যার চেষ্টা’ প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রচার শিবিরের ‘বাড়াবাড়ির’ ফল।

ট্রাম্পের রানিংমেট হিসেবে আরেকটি নাম নিয়ে জোর গুঞ্জন রয়েছে। তিনি ব্যবসায়ী ও রাজনীতিক বিবেক রামাস্বামী। এবারের নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টি থেকে তিনি প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। রামাস্বামী বলেন, ‘আজকের রাজনৈতিক সহিংসতার পর বাইডেন যেভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, সেটা অপর্যাপ্ত ও অপ্রাসঙ্গিক হবে।’

সময়ের আলো/জিকে




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close