প্রকাশ: শনিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৪, ৬:১৩ পিএম (ভিজিট : ২০৮)
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের টয়লেট থেকে এক রোগীর মরদেহ উদ্ধার করছে পুলিশ। শনিবার (১৩ জুলাই) সকাল ১০টায় শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডের টয়লেট থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
টয়লেট থেকে উদ্ধারকৃত ব্যক্তির নাম বাবুল বেপারী (৪০) বলে জানা যায়। বেপারী বরিশাল জেলার মুলাদী উপজেলার পূর্ব তয়কা এলাকার আলী বেপারীর ছেলে বাবুল বেপারী।
রোগীর স্বজন ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে হৃদরোগ ও শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা নিয়ে বাবুল বেপারী শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন তার বৃদ্ধা মা রোকেয়া বেগম। মধ্যরাতে মা রোকেয়া বেগম ঘুম থেকে উঠে ছেলেকে শয্যায় দেখতে না পেয়ে হাসপাতালের বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেন এবং একসময় বিষয়টি কর্তব্যরত নার্সদের জানান। নার্সরাও খোঁজাখুঁজি করে তার কোনো খোঁজ না পেলে শুক্রবার সকালে বাবুল বেপারীর মা রোকেয়া বেগম গ্রামের বাড়ি চলে যান। বিকেলে পুনরায় হাসপাতালে এসে ছেলের খোঁজ করেন। এর পর শনিবার সকালে অন্য রোগীরা টয়লেটে গেলে বাবু বেপারীকে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখলে বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে জানালে মরদেহটি উদ্ধার করে।
নিহত বাবু বেপারীর ভাতিজি হেনা আক্তার বলেন, ‘আমার চাচ্চু বৃহস্পতিবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিল। তিনি টয়লেটে গিয়ে যদি মারাও যান, তাহলে এই দুই দিন কেন সেটি পরিষ্কার করা হয়নি? টয়লেট পরিষ্কার করলে আমার চাচ্চুকে আগে খুঁজে পাওয়া যেত। তারা চাচ্চুকে না খুঁজে উলটো রোগীকে পাওয়া যায়নি বলে আমার দাদিকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। আমরা এই ঘটনার বিচার চাই।’
শরীয়তপুর আধুনিক সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘একজন রোগী যখন ভর্তি হয় তার দেখাশোনার দায়িত্ব নার্সদের। রোগীটি যেহেতু বেশি অসুস্থ ছিল, তাদের দায়িত্ব ছিল রোগীটির খোঁজ করা। আমি বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করব। কারো গাফিলতি থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) আহসান হাবীব বলেন, পুলিশ খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলেই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সময়ের আলো/আরআই