ই-পেপার রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪
রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪

অফিসে বসেই ধূমপান করেন বাঁশখালীর নির্বাচন কর্মকর্তা
প্রকাশ: শনিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৪, ৫:০৭ পিএম  (ভিজিট : ৯৮৪)
টেবিলে গ্যাস লাইটার ও সিগারেটের উচ্ছিষ্টাংশ রাখার জন্য পাত্র। হাতে জলন্ত সিগারেট। গা-ছাড়া ভাব নিয়ে খুব আয়েশ করেই সিগারেট ফুঁকছেন অফিসে বসে। এসময় সেবা প্রার্থীদের দেখেও না দেখার ভান করছিলেন। দৃশ্যটির দেখা মিলে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হারুন মোল্লার কক্ষে। নির্বাচন কর্মকর্তার এমন তুঘলকি কাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে সেবা প্রার্থীদের।

বাঁশখালী উপজেলা নির্বাচন অফিসে কাগজপত্র জমা দিয়ে ভোটার হতে নির্বাচন অফিসের কর্মচারী দ্বারা ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। এমনকি কর্মচারীদের টাকাও দিতে হচ্ছে। সম্প্রতি এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে এ প্রতিবেদক উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হারুন মোল্লার কক্ষে গেলে দেখা যায় তিনি প্রতিবেদকের সামনেই ধূমপান করছেন। এসময় নির্বাচন অফিসে সেবা নিতে আসা মানুষকে নানা হয়রানির শিকার হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

২০১৩ সালে পাস হওয়া তামাক নিয়ন্ত্রণ সংশোধিত আইনে সরকারি-বেসরকারি কার্যালয়সহ ২৪ ধরনের স্থানকে পাবলিক প্লেস ঘোষণা দিয়ে সেসব জায়গায় ধূমপান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অথচ এই আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রতিদিন অফিস চলাকালীন সময়ে নিজ কক্ষে বসে ধূমপান করেন তিনি।

ধূমপান বন্ধে ২০০৫ সালের প্রণীত আইন অনুযায়ী, প্রকাশ্যে ধূমপানের জরিমানা ধরা হয়েছিল ৫০ টাকা। কিন্তু পরে ২০১৩ সালে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইনের সংশোধনী এনে জনসমাগম স্থলে ধূমপানের শাস্তির অর্থ ৫০ থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করা হয়।

নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করে উপজেলা নির্বাচন অফিসের এক কর্মচারী বলেন, ‘অফিসে বসেই একের পর এক সিগারেট ধরান তিনি। তার একহাতে থাকে সিগারেট, অন্যহাতে সেবাগ্রহীতাদের ফাইলে স্বাক্ষর করেন। দুর্গন্ধে তার কক্ষে যাওয়া কষ্টকর। অফিসে যত লোকই থাকুক না কেন তিনি সবার সামনেই ধূমপান করেন। এটা তার নিত্যদিনের অভ্যাস।’

সরকারি অফিসে বসে পাবলিক প্লেসে ধূমপান করার বিষয়ে জানতে চাইলে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হারুন মোল্লা বলেন, ‘জ্বি… জ্বি। আমি ধূমপান করি। তবে অফিসে পাবলিক থাকা অবস্থায় করি না। আসলে এটা আমার উচিত হয়নি। ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ আর করবো না। এখন থেকে বিষয়টি মাথায় রাখবো।’

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেসমিন আক্তার বলেন, ‘আগে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বক্তব্য কী সেটা জেনে আমাকে জানিয়েন।’

নির্বাচন কর্মকর্তা প্রকাশ্যে ধূমপান করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন বললে ইউএনও জেসমিন আক্তার বলেন, ‘আচ্ছা, প্রয়োজনে উনার যথাযথ কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলতে পারেন।’

সময়ের আলো/আরআই


আরও সংবাদ   বিষয়:  অফিসে বসেই ধূমপান   বাঁশখালী-চট্টগ্রাম  




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close