প্রকাশ: শনিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৪, ১:৫৮ এএম (ভিজিট : ৪৮২)
গত ১০ দিনের ব্যবধানে দিনাজপুরে আবারো বেড়েছে চালের দাম। প্রকারভেদে ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে চালের। এতে মিনিকেট, কাঠারী, নাজিরশাাইল, গুটি স্বর্ণ, আঠাইশসহ সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে কেজিতে দুই থেকে চার টাকা। পাইকাররা বলছেন, মিল মালিকরা প্রতি বস্তায় দাম বাড়িয়েছে। ফলে তাদেরকে বেশি দামেই চাল বিক্রি করতে হচ্ছে। এদিকে চালের দাম বাড়ায় বিপাকে সাধারন ক্রেতারা ।
উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বৃহৎ চালের বাজার বাহাদুর বাজারের চিত্র এটি। সারি সারি বস্তা ভরপুর চালের মার্কেট। বাজারে যোগানের কোন ঘাটতি না থাকা সত্ত্বেও প্রকারভেদে মিনিকেট, কাঠারী, নাজিরশাইল, গুটি স্বর্ণ, ২৮ সহ সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে। গত ১০ দিন আগেও ৫০ কেজি চালের বস্তা বিক্রি হতো ৩ হাজার টাকায়, এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৩২শ থেকে ৩ হাজার ২৫০ টাকায়। অযৌক্তিক ভাবে চালের দাম বাড়ায়, ক্রেতাদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ পাইকার ও আড়ৎদারদের। সেই সাথে এর দায় চাপালেন মিলারদের দিকে।
এদিকে ক্রেতারা বলছেন, বাজারে সবকিছুর দাম বাড়তি। সেই সাথে চালের বাজারে উর্ধ্বগতি বেশ বেকায়দায় ফেলেছে তাদের। এ যেন বাজার ঘূরে দীর্ঘ নাভিশ^াস ফেলে, আরেক অস্বস্তি। প্রতিদিনের আয় ও খরচের ব্যবধানের হিসাব মেলাতে হিমসিম খাচ্ছেন তারা ।
বাংলাদেশ অটো মেজর এন্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির সহ-সভাপতি শহিদুর রহমান পাটোয়ারি মোহন জানান, কারা (লাইসেন্স বিহীন) ধান মজুদ করছে এবং বাজারে নিয়ে আসছে তা সরকারের খতিয়ে দেখা উচিত। সেই সাথে সরকারের কঠোর মনিটরিংয়ের দাবী জানান এই মিল মালিক নেতা।
ধান ভরা মৌসুমে চালের দাম বৃদ্ধি অপ্রত্যাশিত। তবে দিনাজপুরে হঠাৎ করে চালের দাম বেড়ে যাওয়া নতুন নয়, তবে এর নিয়ন্ত্রণে সংম্লিষ্টদের আরো নজরদারি প্রয়োজন বলে দাবী দিনাজপুরবাসীর।
সময়ের আলো/আরএস/