প্রকাশ: শুক্রবার, ১২ জুলাই, ২০২৪, ১০:৪০ পিএম (ভিজিট : ৩৫০)
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে হামলার স্থান ‘আনসার ক্যাম্প মোড়’কে ‘ছাত্র আন্দোলন চত্ত্বর’ ঘোষণা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১২ জুলাই) শিক্ষার্থীদের উপর ‘কোটা সংস্কারের আন্দোলনে যাবার সময় হামলার প্রতিবাদে’ আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল যখন আনসার ক্যাম্প যায় তখন আন্দোলনকারী একজন মো. সাকিব হোসাইন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীদের ডেকে এই চত্ত্বরের নামকরণের ঘোষণা দেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিদিনের বাংলাদেশের প্রতিনিধি ও প্রেস ক্লাবের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাভেদ রায়হান রাস্তার পাশের একটি গাছে ‘ছাত্র আন্দোলন চত্ত্বর’ নামফলক লাগান। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা এই চত্ত্বরের নামকরণের স্মৃতিস্বরূপ এই চত্ত্বরে দুইটি গাছ লাগান।
এর আগে তারা বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে ক্যাম্পাস গেটে থেকে দক্ষিণ মোড় পর্যন্ত মিছিল নিয়ে যায়। দক্ষিণ মোড় থেকে কাল যেখানে পুলিশ হামলা চালায় সে রাস্তায় যায় এবং অবস্থান করে। সেখানে তারা জাতীয় সংগীত পাঠ করে। ১১ জুলাইয়ের নেক্কার জনক হামলার প্রতিবাদ স্বরূপ ১ মিনিট নিরবতা পালন করে। সবশেষে যে স্থানে শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের উপর গুলিবর্ষণ, টিয়ারসেল এবং লাঠিপেটা করেছিল, সে স্থানকে ‘আনসার ক্যাম্প মোড়’ থেকে পরিবর্তন করে ‘ছাত্র আন্দোলন চত্বর’ ঘোষণা করে। পরবর্তীতে সেখানে দুইটি বৃক্ষরোপণ করে মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্ত্বরের এসে কর্মসূচি শেষ করে।
এ ব্যাপারে আন্দোলনের সমন্বয়ক সাকিব হোসাইন বলেন, আমাদের এ আন্দোলন যৌক্তিক ছিল, আমরা বিশ্বরোডের দিকে যাচ্ছিলাম অবরোধ করতে। তখন আমাদের উপর হামলা করা হয় এবং লাঠিচার্জ করা হয় টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়, আজকে আমরা দেখিয়ে দিবো শিক্ষার্থীরা কী করতে পারে। আমরা এই আন্দোলন আরো জোরদার করবো।
উল্লেখ্য, গতকাল (১১ জুলাই) বিকাল তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আনসার ক্যাম্পের সামনে শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠি চার্জ করে পুলিশ। এর জবাবে শিক্ষার্থীরাও ইট-পাথর নিক্ষেপ করেন। পরবর্তীতে পুলিশ কাঁদুনে গ্যাস, টিয়ারশেল, ফাঁকা গুলি ছুড়েন। ফলে তিন সাংবাদিক সহ অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরবর্তীতে বিকাল ৪ টা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা৷
সময়ের আলো/জেডআই