ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে জাবিতে মশাল মিছিল
প্রকাশ: শুক্রবার, ১২ জুলাই, ২০২৪, ৯:৪৫ পিএম  (ভিজিট : ৩৬০)
সরকারি চাকরির সকল গ্রেডে ‘অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক’ কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠী ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের জন্য কোটাকে ন্যায্যতার ভিত্তিতে ৫ শতাংশে এনে সংসদে আইন পাস করে কোটা পদ্ধতিকে সংস্কারের দাবিতে সারাদেশে  আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশের হামলায় জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার এক দফা দাবিতে মশাল মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। 

শুক্রবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যা পৌণে আটটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশ থেকে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি সড়ক ঘুরে শহীদ মিনারের পাদদেশে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে শিক্ষার্থীরা একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। 

মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘সংবিধানের মূলকথা, সুযোগের সমতা’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ,’ ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘কোটা প্রথা, বাতিল চাই বাতিল চাই’, ‘কোটা প্রথার বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট একশন’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাই নাই’'- ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন৷

সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী ও ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ জাবি শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক তৌহিদ সিয়াম বলেন, গতকাল আমরা যখন আমাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করতে গিয়েছিলাম তখন পুলিশের বাধার সম্মুখীন হয়েছিলাম। কিন্তু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণরা তাদেরকে হারিয়ে দিয়েছে। আমাদের যেরকম পুলিশ বাধা দিয়েছে ঠিক সেরকম ভাবে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এই পুলিশ বাহিনীর মাধ্যমে হামলা, নির্যাতন, গ্রেফতার হয়েছে। এর প্রতিবাদে সারা বাংলাদেশের ন্যায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় মশাল মিছিলের মাধ্যমে এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। আমাদের এক দফা দাবির পাশাপাশি আমরা বলতে চাই গতকাল আমাদের ভাইদের ওপর যে হামলা হয়েছে, নির্যাতন হয়েছে তার সুষ্ঠ বিচার করতে হবে। অতি দ্রুত যেসব অতি উৎসাহী পুলিশ, সরকারি গুন্ডা-পাণ্ডারা আমাদের ভাইদের ওপর হামলা চালিয়েছে তাদেরকে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে আর না হয় এর ফল রাষ্ট্রকে ভোগ করতে হবে। গতকালকে হাইকোর্টের সংক্ষিপ্ত রায় প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে সরকার চাইলে কোটা বাড়াতে কমাতে পারবে। আমরা সরকারকে বলতে চাই অতি দ্রুত কোটা সংস্কার করে আইন প্রণয়ন করে আমাদের পড়ার টেবিলে যাওয়ার সুযোগ করে দিন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাবি শাখার সদস্য সচিব মাহফুজুল ইসলাম মেঘ বলেন, আজকে মিছিল করতে গিয়ে আমাদের ঘাম ঝরেছে, এই আন্দোলন করতে গিয়ে যদি আমাদের  রক্তও ঝরে তবুও আমরা এই আন্দোলন থামাব না। গতকাল যে ভাইয়ের উপর হামলা হয়েছে, রক্ত ঝরেছে তার সুষ্ঠু বিচার আমরা চাই। আপনারা কয়জনকে মারবেন? কয়জনকে আটকাবেন? একজনের পরিবর্তে একলক্ষ শিক্ষার্থী দাঁড়াবে। দুইদিন আগে আমাদের জানানো হয়েছিল, তারা ২৮ দিনের মূলা ঝুলিয়েছে। অথচ কালকের আন্দোলন দেখে তারা রবিবারে রায়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার মানে বোঝা যায়, আমাদের এই আন্দোলন অতি শীঘ্রই সফল হতে যাচ্ছে। আপনারা হতাশ হবেন না, ভেঙে পড়বেন না। আমরা যে সাহস দেখাচ্ছি তা বাংলার মাটিতে একটি ইতিহাস হিসেবে রচিত হচ্ছে।

সময়ের আলো/জেডআই




এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close