ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

হিজলায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ৮ সদস্যের অনিয়মের অভিযোগ
প্রকাশ: শুক্রবার, ১২ জুলাই, ২০২৪, ৭:৫৫ পিএম  (ভিজিট : ৪৯২)
বরিশালের হিজলা উপজেলা এনায়েত হোসেন হাওলাদার নামে এক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ৮ ইউপি সদস্য অনিয়ম, দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ করেছে। গত বুধবার জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ইউপি সদস্যরা। 

অভিযুক্ত এনায়েত হোসেন হাওলাদার উপজেলার বড়জালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও হিজলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। 

অভিযোগকারীরা হলেন- বড়জালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ড সদস্য মো. ইলিয়াস হোসাইন, ৩নং ওয়ার্ড সদস্য মো. ঝন্টু বেপারী, ৪নং ওয়ার্ড সদস্য মো. আলী, ৫নং ওয়ার্ড সদস্য মো. মোশারফ হোসেন তালুকদার, ৬নং ওয়ার্ড সদস্য মো. হুমায়ন কবির, ৮নং ওয়ার্ড সদস্য মো. ঝন্টু হাওলাদার, ৯নং ওয়ার্ড সদস্য মো. জুয়েল রাড়ী এবং ১, ২, ৩নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মোসাঃ নাছরিন বেগম। 

অভিযোগে বলা হয়, এনায়েত হোসেন হাওলাদার ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ইউনিয়ন পরিষদ সচিব মো. রাকিবুল ইসলামের সহায়তায় বিভিন্ন ধরনের অসৎ কাজ ও দুর্নীতি করে আসছেন। ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে জেলেদের চাল ও নগদ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। চাল পরিবহনের সরকারি খরচ পাওয়ার পরেও ট্যাক্স ও রশিদ দিয়ে প্রতি জেলের ৩০০ টাকা করে মোট ১০৪৮২০০ টাকা আদায় করে কোন হিসাব না দিয়ে অধিকাংশ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। ভুয়া মাস্টার রোল তৈরি করে মৃত ব্যক্তির নামে চাল বিতরণ করেন এবং ১০৪ জন জেলের ৮.৩২০ মেঃ টন চাল আত্মসাৎ করেন। হোল্ডিং প্লেট থাকার পরেও নতুন হোল্ডিং প্লেট স্থাপন করে ১৪ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে আনা পুরাতন আয়রন ব্রিজের মালামাল ৬ লক্ষ টাকা গোপনে বিক্রি করেছেন। নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকার রাস্তার ১২ লক্ষ টাকার ইট বাড়ি ও ব্যক্তিগত ঠিকাদারি কাজে ব্যবহার করেছেন। 

এব্যাপারে বড়জালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ এনায়েত হোসেন হাওলাদার তার বিরুদ্ধে করা সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এটা উপজেলায় তদন্তে আসছে তারা তদন্ত করে বলতে পারবে আমি এ বিষয় কি বলবো। যে অভিযোগ গুলো করা হয়েছে তা সব মিথ্যা বনোয়াট। এটা রাজনৈতিক ভাবে আমাকে হেয় করা হচ্ছে।

নির্বাচনের পর থেকেই একটা চক্র আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। প্রয়োজনে আপনারা (সংবাদকর্মীরা) তদন্তে আসেন আসলেই দেখতে পারবেন। এ বিষয়ে জানতে হিজলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের মুঠোফোনে ফোন দেয়া হলে তিনি ফোন রিসিভি করেননি।

সময়ের আলো/জিকে




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close