প্রকাশ: বুধবার, ১০ জুলাই, ২০২৪, ৬:১৪ পিএম (ভিজিট : ৪২৬)
অবশেষে নতুন ঘর পেয়ে মাথা গুজার ঠাঁই হল ঘূর্ণিঝড় রিমালে বিধ্বস্ত নিঝুম দ্বীপের সেই লুবনা বেগমের। আলোকবর্তিকা মানবিক ইউনিট নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রিমালে বিধ্বস্ত লুবনার ঘরটি সম্পূর্ণ নতুন ভাবে পুনর্নির্মাণ করে দেয়।
বুধবার (১০ জুলাই) আলোকবর্তিকা মানবিক ইউনিট লুবনা বেগমের ঘরটি সম্পূর্ণ নতুন করে নির্মাণ কাজ শেষ করে। পরে আলোকবর্তিকা মানবিক ইউনিটের সমন্বয়কারী সদস্যরা উপস্থিত থেকে লুবনার কাছে আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘরটি হস্তান্তর করেন।
হস্তান্তরের সময় এক আবেগ ঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন এলাকার স্থানীয় ইউপি মেম্বার চাঁন মিয়া, আলোকবর্তিকার মানবিক ইউনিটের সমন্বয়কারী সদস্য মো. ফয়েজ উদ্দিন মো. মাকসুদের রহমান, মো. খাদেমুল ইসলাম বিপ্লব, আহসানুল করিম জুনায়েদ, মো. আজাদ উদ্দিন, কাওসার উদ্দিন, মো. আজিম উদ্দিন, সুলতান মাহমুদ, আবদুর রহমান ও আশিক এলাহীসহ এলাকার ব্যক্তিবর্গ।
ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে বিধ্বস্ত হয় নিঝুম দ্বীপের লুবনা বেগমের বসত ঘরটি। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী এক মাসের বেশি সময় ধ্বংসস্তূপের মধ্যে পড়ে থাকা এবং এর মধ্যে এক অমানবিক জীবনযাপনের চিত্র জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আলোকবর্তিকা মানবিক ইউনিট সেই ঘরটি পুনর্নির্মাণ করে দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করে।
ঘরটিতে প্রবেশ করে লুবনা বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের পর আমি অনেক কষ্ট করেছি। আলোকবর্তিকা মানবিক ইউনিটের ভাইয়েরা আমাকে ঘরটি করে দিয়েছে। আমি এখন ছেলে-মেয়ে নিয়ে শান্তিতে থাকতে পরবো। ছেলে-মেয়ে খুশি, আমি খুশি, আমার আল্লাহ খুশি। আমি নামাজ পড়ে আল্লাহ নিকট তাদের জন্য দোয়া করব। এসকল মানবিক ভাইদের কাছে আমি চিরদিন কৃতজ্ঞ থাকব।
আলোকবর্তিকা মানবিক ইউনিটের চেয়ারম্যান আশেক সুলতান জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে নিঝুম দ্বীপের লুবনা বেগমের ঘর সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে যায়। এই কঠিন সময়ে আলোকবর্তিকা মানবিক ইউনিট লুবনা বেগমের পাশে দাঁড়ায় এবং তার ঘর পুনর্নির্মাণের দায়িত্ব গ্রহণ করে। মানবিক ইউনিটের প্রতিষ্ঠাতা আজমির হোসেনের নেতৃত্বে এই প্রকল্পটি পরিচালিত হয় এবং সরাসরি কাজের দায়িত্ব পালন করেন ফয়েজ উদ্দীন ও মাকছুদুর রহমান। তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও নিরলস পরিশ্রমের ফলে লুবনা বেগমের ঘর পুনর্নির্মাণ সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি যারা অর্থনৈতিক সহায়তা দিয়ে ঘরটি পুনর্নির্মাণ করতে সহযোগিতা করছেন তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ‘সমাজের প্রতি দায়িত্ব পালনই প্রকৃত মানবতা’- এই বিশ্বাসে উজ্জীবিত হয়ে আমরা ভবিষ্যতেও এমন মানবিক কার্যক্রম চালিয়ে যেতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
সময়ের আলো/আরআই