লালমনিরহাটের আদিতমারি উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নে তিস্তা নদীর স্পার বাঁধে ধস দেখা দিয়েছে। এছাড়াও তিস্তা নদী তীরবর্তী এলাকায় ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। তাৎক্ষণিক পাউবো থেকে জিও ব্যাগ ফেলে ধস আটকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তবুও আতঙ্কে রয়েছে ভাটি এলাকার হাজারো পরিবার।
সোমবার (৮ জুলাই) সরেজমিনে দেখা যায়, উজানের পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টির কারণে তিস্তার পানি বাড়ার সাথে সাথে নিচু এলাকায় পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। এতে মহিষখোচা গোবর্ধন ২ নং স্পার বাঁধের সংযোগ স্থলে ধস দেখা দিয়েছে। ধীরে ধীরে ধস প্রকট আকার ধারণ করলে তাৎক্ষণিক পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে জিও ব্যাগ ফেলা শুরু হয়। এতে সাময়িক ভাবে ধস আটকালেও পানি বাড়তে থাকায় শঙ্কা রয়েছে। এতে ভাটিতে থাকা চার থেকে পাঁচ হাজার পরিবার ঝুঁকির মুখে পড়েছে। এদিকে তিস্তাসহ জেলার নদ নদীর পানি বাড়তে শুরু করায় শঙ্কায় রয়েছে লাখো মানুষ। ধীরে ধীরে নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করতে থাকায় নির্ঘুম রাত কাটবে এসব মানুষের।
এদিকে তিস্তার পানি বৃদ্ধির কারণে জেলা সদরের খুনিয়াগাছ, গোকুন্ডা, রাজপুর ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী এলাকায় ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। আতঙ্কে রয়েছে নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষজন।
সার্বিক বিষয়ে পাউবো লালমনিরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টা এই অঞ্চলের নদ-নদীর পানি হ্রাস পেতে পারে। ধস এলাকায় জরুরি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। আমরা সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছি।
সময়ের আলো/আরআই