ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

জনপ্রতিনিধি আসে-যায়, চেহারা বদলায় না রাস্তার
প্রকাশ: সোমবার, ৮ জুলাই, ২০২৪, ২:৩৮ এএম  (ভিজিট : ২৬৪)
অভয়নগর উপজেলার ১ নম্বর প্রেমবাগ ইউনিয়ন। গুরুত্বপূর্ণ ইউনিয়ন হওয়া সত্ত্বেও এ অঞ্চলের অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাই এখনও কাঁচা রয়ে গেছে। প্রতিবার নির্বাচন হয়, আশার ফুলঝুরি নিয়ে জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচিত হন বটে, তাতে চেহারা বদলায় না রাস্তার। উন্নয়নের ছোঁয়া লাগে না এই ইউনিয়নের মানুষের জীবনে। এসব নিয়ে জনমনে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। 

সরেজমিন ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, মাগরা বাজারের দক্ষিণ পাশে রামসরা পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তার বেহাল দশা। এ ছাড়া বুড়োর দোকান থেকে বাহিরঘাট স্কুল পর্যন্ত রাস্তাটি বৃষ্টির মধ্যে প্রায়ই হাঁটুপানিতে ডুবে থাকে। বুড়োর দোকান থেকে চাপাতলা পাচিলের কোনা ও মজুমদার মিলের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া পালপাড়া পাকেরগাতী যাওয়ার রাস্তাটি বৃষ্টি এলে পানির নিচেই থাকে। বৃষ্টি এলে এসব কাঁচা রাস্তা যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে ওঠে। পায়ে হেঁটে যাতায়াত করতে হয় বলে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়ে স্কুল কলেজ মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। এসবের মাঝে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তার দুরবস্থার অন্ত থাকে না। কাদাপানি মাখা রাস্তা আটকে যায় অ্যাম্বুলেন্সের চাকা। এলাকায় সবচেয়ে বিপাকে আছেন কৃষিসংশ্লিষ্ট লোকেরা। উৎপাদিত ফসল কেনাবেচা ও পরিবহনে প্রতিনিয়ত সমস্যায় পড়তে হয় তাদের।

প্রেমবাগ ইউনিয়নের ফরিদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আমরা উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত কেন বুঝে উঠতে পারি না। তবে ডিজিটালের যুগে এমন রাস্তার অবস্থা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জন্য লজ্জাজনক। 
বুড়োর দোকান এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য শাহাদাৎ হোসেন বলেন, সামান্য বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে ওঠে। প্রতিদিন ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড চেংগুটিয়ার পাঁচ থেকে ছয়টি গ্রামের কোমলমতি কয়েক হাজার ছেলেমেয়ে স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজে যাতায়াত করে কিন্তু বুড়োর দোকানের রাস্তাটা গত ২০-২৫ বছরে কারও নজরে আসেনি। কতবার করে চেয়ারম্যান, এমপি ও মন্ত্রীরা এসে দেখে গেছেন, নামিদামি লোকের সড়ক পরিদর্শনের শেষ নেই, পত্রপত্রিকায় কত লেখালেখি হলো কিন্তু আমাদের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হলো না। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রেমবাগ ইউনিয়নের পাশেই প্রেমবাগ স্কুল ও বাজার। বাজারের দুই পাশে দুটো রাস্তা। একটা রাস্তা প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ হাদিউজ্জামান সাহেবের আমলে অতি গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় নগরঘাট পর্যন্ত তৈরি হয়। কিন্তু তার বিপরীত রাস্তাটি প্রেমবাগ স্কুল থেকে মজুমদারপাড়া, শিকদারপাড়ার মধ্য দিয়ে কাটাখালি পর্যন্ত রাস্তাটি পাকা করার উদ্যোগ কেউ নেয়নি। এমনকি সর্বশেষ ওই রাস্তায় যে ইট বিছানো হয়েছিল বর্তমানে সেসবেরও বেহাল দশা। বিভিন্ন জায়গায় খানাখন্দে ভরা। এসব গর্তে দুর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছেন অনেকেই। প্রতি বছর বৃষ্টির মৌসুমে ডুবে যায় এমনকি তিন ফসলি জমির ধান-পাট সবই ডুবে যায়। এসব জনভোগান্তি দেখার কেউ নেই। 

এ বিষয়ে প্রেমবাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইউনিয়নে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলো হয়েছে। দুয়েকটা রাস্তা বাদ পড়লে পর্যায়ক্রমে সেসবও পাকা করা হবে। 
উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সরদার অলিয়ার রহমান বলেন, সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রয়েছে। তবে এ উপজেলার প্রতিটি রাস্তা চলাচলের উপযোগী করে তোলা হবে।

যশোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য এনামুল হক বাবুল বলেন, ডিজিটালের যুগে কোনো রাস্তাই কাঁচা থাকবে না। সরকার যে উন্নয়নের স্বাক্ষর রেখে চলেছে, তাতে এসব রাস্তা পাকা হতে খুব বেশি সময়ও লাগবে না।

সময়ের আলো/আরএস/




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close