প্রকাশ: রবিবার, ৭ জুলাই, ২০২৪, ১০:২৪ পিএম (ভিজিট : ২৪৪)
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ৫ হাজার ৫৯৪ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। রোববার (৭ জুলাই) রাজধানীর গুলশান-২ এ ডিএনসিসির নগর ভবনের হলরুমে দ্বিতীয় পরিষদের ২৯তম করপোরেশন সভা ও বাজেট সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটও অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভায় জানানো হয়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১ হাজার ৭৮ কোটি টাকা রেকর্ড রাজস্ব আদায় হয়েছে। তাছাড়া ডিএনসিসি বিগত অর্থবছর অর্থাৎ ২০১৯-২০ অর্থবছরে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৬১২ কোটি টাকা। ২০২০-২১ অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল ৬৯২ কোটি টাকা। তাছাড়া ২০২১-২২ অর্থবছরে রাজস্ব আদায় হয় ৭৯৪ কোটি টাকা। তবে ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়ায় এক হাজার ৫৮ কোটি টাকায়। গত চার বছরে ডিএনসিসির রাজস্ব আদায় প্রায় ৭৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে উল্লেখযোগ্য খাত হোল্ডিং ট্যাক্স বাবদ ৫১৭ কোটি ৮৫ লাখ, ট্রেড লাইসেন্স ফি বাবদ ৭৪ কোটি ৯৬ লাখ, সম্পত্তি হস্তান্তর কর বাবদ ২৮০ কোটি, সড়ক খনন ফি বাবদ ১০৪ কোটি ৭৯ লাখ, গরুর হাটের ইজারা বাবদ ৩২ কোটি ৭৭ লাখ, বিজ্ঞাপন ফি বাবদ ১০ কোটি ৫৯ লাখ টাকা রাজস্ব আয় করেছে ডিএনসিসি।
সভার শুরুতে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম সূচনা বক্তব্য শেষে ডিএনসিসির প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. বরকত হায়াত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করেন। এসময় উপস্থাপিত সংশোধিত বাজেট এবং নতুন বাজেট সভায় সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন পায়।
সভায় সভাপতির বক্তৃতায় মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, কর হার বৃদ্ধি না করেও রাজস্ব আদায়ে নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করেছে ডিএনসিসি। অনালাইনে হোল্ডিং ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহের ফলে রাজস্ব আদায় উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। নগরবাসী ঘরে বসেই অনলাইনে ডিএনসিসির হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করতে পারছে। ফলে নাগরিক ভোগান্তি কমেছে। অনলাইন পদ্ধতির ফলে দুর্নীতি ও অনিয়ম রোধ করা সম্ভব হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ডিএনসিসির মোট বাজেটের ৫৩ শতাংশ ব্যয় নিজস্ব তহবিল থেকে জোগান দেওয়া হবে। মোট ব্যয়ের অর্ধেকের বেশি বহন করা হবে ডিএনসিসির নিজস্ব তহবিল থেকে।
বাজেটে তিনটি বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, সুস্থ, সচল, আধুনিক স্মার্ট ডিএনসিসি গড়তে বাজেটে তিনটি বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। জনস্বাস্থ্য রক্ষা; জলাবদ্ধতা নিরসন; জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ডিএনসিসির অন্যতম উদ্দেশ্য। জনস্বাস্থ্য রক্ষায় ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করে পরিচ্ছন্ন শহর গড়তে ডিএনসিসির বাজেটে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং খাল উদ্ধারপূর্বক খালের উন্নয়ন তরান্বিত করা হবে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বাস্তবায়নসহ অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
সময়ের আলো/জিকে
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
ছুটি ছাড়াই পার তিন দশক
সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্মেলন জরুরি
দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনেও অস্বস্তিতে রিয়াল
দিয়াবাতেকে ছাড়বে না মোহামেডান
বিসর্জনে অর্জন
ডুবছে বাড়ি, ডুবছে ঘর
মৃত্যুঞ্জয়ী গাজা
হাতিয়ায় জামায়াতে ইসলামীর ব্যবসায়ী সমাবেশ
কালিহাতীতে কোটা আন্দোলনের মামলায় গ্রেফতার ৩
সোলস আমার পরিবারের একটি অংশ: তুষার
ছাত্রদলের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
টস জিতলো ভারত, ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী