ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

স্কুলে যেতে মৃত্যুঝুঁকি
প্রকাশ: শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০২৪, ৮:৩০ পিএম  (ভিজিট : ২৫৮)
প্রবাহমান খালের উপর দুই ফুট প্রস্থের কাঠের সেতু। পাটাতনের তক্তার অবস্থাও নড়বড়ে। এটি পারাপারে হরহামেশাই ঘটছে দুর্ঘটনা। পা পিছলে খালে পড়ছে পথচারীরা। খাল পারাপারে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। তাই দুর্ঘটনা এড়াতে একে অপরের হাত ধরাধরি করে খাল পার হয় তারা।

সরেজমিনে কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া চড়াপড়া সড়কের শিলখালী খালের উপর নির্মিত বিকল্প কাঠের সেতুতে এ চিত্রের দেখা মেলে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কক্সবাজারের পেকুয়ায় উপজেলার অন্যতম প্রসিদ্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিলখালী উচ্চ বিদ্যালয়সহ আশেপাশের পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাত শতাধিক শিক্ষার্থীর একমাত্র যাতায়াতের পথ চড়পাড়া-বারবাকিয়া সড়ক। শিলখালী ও বারবাকিয়া ইউনিয়নের একাংশের সহজ যাতায়াতের পথও এটি। কিন্তু ব্রীজ নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকায় গত দুই বছর ধরে সড়কটি ব্যবহার করা যাচ্ছে না। বর্তমানে ব্রীজ নির্মাণ কাজ শেষ হলেও সংযোগ সড়ক তৈরির উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। তাই বিকল্প কাঠের ব্রীজ ব্যবহার করে খাল পার হতে হচ্ছে। এটি পারাপারে প্রতিদিনই কেউনাকেউ খালে পিছলে পড়ে আহত হচ্ছেন।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) পেকুয়া অফিস সূত্র জানায়, যান চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় শিলখালী খালের উপর প্রায় এক কোটি টাকার বাজেটে ২০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি ব্রীজ নির্মাণের কার্যাদেশ পায় চট্টগ্রামের নিপা এন্টারপ্রাইজ। পুরনো ব্রীজ ভেঙে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে নতুন ব্রীজ নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়। যার ৮০ শতাংশ কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।

স্কুলের শিক্ষার্থীরা জানান, বর্ষা মৌসুমে খালে পানি বাড়ায় মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে তাদের স্কুলে যাতায়াত করতে হচ্ছে। অনেক সময় অভিভাবক বা স্থানীয়রা তাদের পারাপারে সহযোগিতা করছে। দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত ব্রীজটা চালুর দাবি তাদের।

শিলখালী ইউনিয়নের বাসিন্দা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা কাজীউল ইনসান বলেন, সংযোগ সড়ক তৈরি করে দিলে আপাতত ব্রীজটি ব্যবহার করা যেতো। কিন্তু ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে অন্তত দশ হাজার মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছে। ব্রীজের কারণে সড়কটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ায় এ এলাকার অর্থনীতিতে রিরূপ প্রভাব পড়ছে।

শিলখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, কার্যাদেশের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও ব্রীজ নির্মাণ সম্পন্ন করা হয়নি। আড়াই বছর সময় নিয়ে ব্রীজটি নির্মাণ করা হলেও সংযোগ সড়কের অভাবে তা ব্যবহার অনুপযোগী। খাল পারাপারের সময় কোন শিক্ষার্থী কোনভাবে খালে পড়ে গেলে অপমৃত্যু নিশ্চিত। তাই স্কুলের শিক্ষার্থী সহ স্থানীয় বাসিন্দাদের দুর্ভোগের বিষয় বিবেচনায় আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে দ্রুত ব্রীজটি চালুর দাবি জানিয়েছি।

এব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিপা এন্টারপ্রাইজের দায়িত্বশীলদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর পেকুয়া উপজেলা কার্যালয়ের প্রকৌশলী আসিফ মাহমুদ বলেন, ব্রীজের এপ্রোজ রোডের ভ্যারিয়েশন অনুমোদনের জন্য হেড কোয়ার্টারে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে ব্রীজের বাকি কাজ দ্রুত শেষ করা হবে। 

সময়ের আলো/জিকে




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close