ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

বাড়ছে পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা
প্রকাশ: শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০২৪, ২:৪৩ এএম  (ভিজিট : ৩২৬)
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় বন্যার করাল গ্রাসে দুর্বিষহ দিন পার করছেন হাজার হাজার মানুষ। দিনের পর দিন পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছেই। ভারতে চেরাপুঞ্জির বৃষ্টি, উজানের ঢল, ভারী বর্ষণ, নদ-নদীর পানি বেড়ে সৃষ্টি হয়েছে এই বিপর্যয়কর অবস্থা। গাইবান্ধায় তলিয়ে গেছে গ্রামের পর গ্রাম, তৃতীয় দফার বন্যায় ভাসছে সিলেট। সিরাজগঞ্জে দেড় লাখ, কুড়িগ্রামে ৯০ হাজার এবং জামালপুরে ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যাকবলিত এসব এলাকায় যোগাযোগব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে ভোগান্তি বাড়িয়েছে। তলিয়ে গেছে ফসলের ক্ষেত। সময়ের আলোর প্রতিবেদক, প্রতিনিধি ও সংবাদদাতাদের পাঠানো খবর-

গাইবান্ধা : ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢলে জেলার প্রধান নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ঢলের পানি হানা দিয়েছে সাঘাটা, ফুলছড়ি ও সদর উপজেলায়। উজানের তোড়ে সাঘাটায় একটি গ্রামীণ বাঁধ ভেঙে গেছে। এতে উপজেলার বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের পূর্বাংশের তিন ইউনিয়নের অন্তত ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। অন্যদিকে ফুলছড়ি উপজেলার বেশ কয়েকটি স্থানে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি উপচে লোকালয়ে প্রবেশ করছে। উপজেলার সাতটি ইউনিয়নই বানের পানিতে ডুবতে শুরু করেছে। এ ছাড়া সদর উপজেলার কামারজানি ও মোল্লারচর ইউনিয়নের বেশিরভাগ গ্রামের ফসলি জমি-বসতবাড়ি তলিয়ে গেছে। বাঁধভাঙা পানির তোড়ে জেলার বন্যা পরিস্থিতি প্রকট হচ্ছে।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি উপজেলার তিস্তামুখঘাট পয়েন্টে ৫১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৭৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, ঘাঘট নদীর পানি জেলা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে ৪৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, করতোয়ার পানি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার চকরহিমাপুর পয়েন্টে ৫০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১৫৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং তিস্তার পানি সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সংলগ্ন কাউনিয়া পয়েন্টে ২৩ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই পরিমাণ পানি বৃদ্ধি পায়। এই সময় জেলায় ৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।

পানি বৃদ্ধির কারণে গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি, মোল্লারচর, গিদারি, ঘাগোয়া ও ফুলছড়ি উপজেলার এরান্ডাবাড়ি, ফুলছড়ি ও ফজলুপুর এবং সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, হরিপুর ইউনিয়ন ও সাঘাটা উপজেলা ভরতখালী ও হলদিয়া ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। অন্যদিকে নদীতে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই নতুন করে সদরের মোল্লার চর ও ফুলছড়ির ফজলুপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। নদ-নদীবেষ্টিত জেলার চার উপজেলার ২৪টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়েছে অন্তত ৩০ হাজার মানুষ। প্লাবিত এলাকায় পাট ও গ্রীষ্মকালীন শাকসবজি পটোল এবং মরিচসহ অন্যান্য ফসল তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকরা দুঃশ্চিন্তায় দিন পার করছে।

গাইবান্ধা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক বলেন, সব ধরনের ঝুঁকি মোকাবিলায় পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রস্তুতি নিয়েছে। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুয়েল মিয়া  বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলায় পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী এবং শুকনো খাবার মজুদ রয়েছে।

সিলেট : উজানের পাহাড়ি ঢলের তীব্রতা এবং অতিবৃষ্টিতে সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না। সুরমা, কুশিয়ারাসহ বিভিন্ন নদীর পানি পরশু রাতের তুলনায় গতকাল সকালে ৩ থেকে ১০ সেন্টিমিটার করে বাড়লেও বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে স্থিতিশীল রয়েছে। সকালে পানি বাড়ায় নতুন করে কিছু এলাকা প্লাবিত হয়। দফায় দফায় বন্যায় বানভাসিরা পড়েছেন চরম বিপাকে। সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি ৬টি পয়েন্টে বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে।

ভারতের চেরাপুঞ্জিতে অতিবৃষ্টি আর উজানের পাহাড়ি ঢলে তৃতীয় দফার বন্যায় প্লাবিত সিলেটের বিভিন্ন এলাকা। বানের পানিতে গ্রামের পর গ্রাম তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগব্যবস্থা আবারও ভেঙে পড়ে। গ্রামীণ সড়কগুলোতে কোথাও হাঁটু, কোথাও বা কোমর পানি। এ ছাড়া হাটবাজারগুলো দফায় দফায় বন্যায় প্লাবিত হয়ে ভোগান্তি বাড়িয়েছে। গোয়াইনঘাট, জকিগঞ্জ, কানাইঘাটসহ বিভিন্ন উপজেলায় বাড়িঘর প্লাবিত হওয়ায় বন্যাকবলিতরা যেমন বিপাকে পড়েছেন, তেমনি গবাদি পশু নিয়ে রয়েছেন দুশ্চিন্তায়। 

এদিকে সিলেটে বৃষ্টি কম হওয়ায় নগরীর উপশহর, যতরপুর, শেখঘাটসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়ক থেকে পানি ধীরগতিতে নামছে। বানের পানি দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, বাড়ছে পানিবাহিত রোগের শঙ্কা। তৃতীয় দফার বন্যা দীর্ঘায়িত হলে ভোগান্তি চরমে পৌঁছার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। 

পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস জানান, সিলেটে বন্যা ভারতের চেরাপুঞ্জির বৃষ্টির ওপর নির্ভর করে। চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি কমে এলে সিলেটেও বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়। আর উজানে বৃষ্টি হলে নদীর পানি বাড়তে থাকে। 

জামালপুর : উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে জামালপুরে যমুনা নদী পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে ৭৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৮০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় ৫টি ইউনিয়ন ও ইসলামপুর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স জানান, বন্যার পানিতে উপজেলার চুকাইবাড়ী, চিকাজানী, বাহদুরাবাদ, চরআমখাওয়া এবং হাতিভাঙ্গা ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এ উপজেলায় এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যাকবলিত পরিবারগুলোর মাঝে শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। 

অপরদিকে ইসলামপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, বন্যার পানি বৃদ্ধি পওয়ায় এই উপজেলার পার্থশী, কুলকান্দি, বেলগাচা, চিনাডুলী, সাপধরী ও নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তবে এব এলাকার মানুষ এখনও বন্যায় পুরোপুরিভাবে আক্রান্ত হয়নি। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপজেলার বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রগুলোকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। 

কুড়িগ্রাম : নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। প্লাবিত হয়ে পড়েছে নতুন নতুন এলাকার নিম্নাঞ্চল। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে পাউবো জানায়, সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়াও ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে ৫১ সেন্টিমিটার এবং হাতিয়া পয়েন্ট বিপদসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি, পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমার এবং শিমুলবাড়ী পয়েন্টে ধরলার পানি সামান্য হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যার পানি প্রবেশ করায় জেলায় শতাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রতিদিনই প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। 

নদ-নদী তীরবর্তী চর ও নিম্নাঞ্চলের বসতভিটায় পানি প্রবেশ করায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ। অনেক পরিবার গবাদিপশুসহ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়ে দুর্বিষহ কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। বন্যায় তলিয়ে গেছে, আমন বীজতলা, পাট ও মৌসুমি ফসলের ক্ষেত। কাঁচা-পাকা সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় ভেঙে পড়েছে যোগাযোগব্যবস্থা। তা আরও দুর্ভোগ বােিয়ছে বানভাসিদের। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৩০ হাজার পরিবারের কমপক্ষে ৯০ হাজার মানুষ। 

জেলা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান জানান, জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্রসহ অন্য নদ-নদীর পানি আরও ৪৮ ঘণ্টা বাড়তে থাকবে। ব্রহ্মপুত্রের পানি তিনটি পয়েন্টে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্য নদ-নদীর পানি বিপদসীমার নিচে রয়েছে। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আবদুল হাই সরকার জানান, এখন পর্যন্ত বানভাসিদের জন্য ৯ উপজেলায় ১৭৩ টন চাল এবং ১০ লাখ টাকা বিতরণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মজুদ আছে ৬০০ টন চাল ও ৩০ লাখ টাকা। যা পর্যায়ক্রমে বিতরণ করা হবে। জেলা প্রশাসক মো. সাইদুল আরীফ বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।

সিরাজগঞ্জ : যমুনা নদীর পশ্চিম তীরবর্তী সিরাজগঞ্জের কাজিপুর পয়েন্টে যমুনার পানি গত ৩ দিনে অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় নির্ধারিত বিপদসীমা অতিক্রম করে ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে উপজেলার চরাঞ্চলের ৬টি এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত ৪  ইউনিয়নের বেশকিছু ওয়ার্ডের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ভাঙন দেখা দিয়েছে চরাঞ্চলের খাসরাজবাড়ী ইউনিয়নে। ঝুঁকিতে পড়েছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদসহ শতাধিক বসতি। বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে পাউবো। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে চরাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় দেড় লাখ  মানুষ। সিরাজগঞ্জ পাউবোর তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬০ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী কয়েক দিন পানি বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

চরাঞ্চলের তেকানি ইউপি চেয়ারম্যান হারুনার রশিদ জানান, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে, এভাবে পানি বাড়তে থাকলে যেকোনো সময় বাড়ি ঘরে প্রবেশ করবে, চরাঞ্চলের প্রধান সড়ক নাটুয়ারপাড়া-রূপসা সড়ক ডুবে গিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। নিশ্চিন্তপুর ইউপি চেয়ারম্যান খাইরুল ইসলাম বলেন, নিচু রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। খাসরাজবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, শানবান্ধা ঘাট এবং রাজবাড়ী গ্রাম এলাকা নদীভাঙনের কবলে পড়েছে, একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বিলীন হয়ে গেছে।  উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র, একাধিক মসজিদ এবং কয়েকশত বসতি ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার হাবিবুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত ৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। প্রাক-প্রাথমিক, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। পাউবো সিরাজগঞ্জের এসও হাফিজুর রহমান বলেন, খাসরাজবাড়ীতে ভাঙন নিয়ন্ত্রণে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। ভাঙন কিছুটা কমেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, বন্যার্তদের সহায়তায় প্রতিটি ইউনিয়নে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। চরাঞ্চল এবং তীরবর্তী সব আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত আছে। পর্যাপ্ত শুকনো খাবার রয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে।

সময়ের আলো/আরএস/ 




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close